আমি একসময় আমার এলাকার টোল সেতুর টোল দিতাম না।
বিষয়টি যে অপরাধ, সেরকম কিছু অনুভবও করতাম না।
একদিন আমার স্ত্রী খেয়াল করে খুব রেগে গেলেন। বললেন – যে সাধারণ মানুষের নেতৃত্ব দিতে চায়, সমাজ বদল করতে চায়, সে যদি নিয়ম না মানে, তবে সাধারণ মানুষ মানবে কেন? তুমি টোল না দিয়ে নিজে অপরাধ করছ, পাশাপাশি অন্য আরও বেশ কিছু লোক তৈরি করছ, যারা নেতা হতে চাইবে নিয়ম ভাঙ্গার জন্য।
ওই দিনটির পর থেকে আমি নিয়মিত টোল দেই। কখনও পরিচিত টোল কর্মী ছেড়ে দিলেও জোর করে দেই। যদিও তাতে আমার সারথি/ড্রাইভার সাহেবকে অখুশি হন। আমার কর্মীরাও অখুশি হন। তাদের নেতা পাছে ক্ষমতাহীন প্রমাণ হয় কি না ভেবে।এরকম বহু অপরাধ আমরা নিয়মিত করছি। কখনও গর্বের সাথেই করছি। যেটা আমরা হয়ত অনুভবই করি না, কিছু ক্ষেত্রে পাশ থেকে উৎসাহও পাই।
অথচ পাশে থেকে কেউ একজন ঠিক করে দিলেই হয়ত আমরা আর সেটা করবো না।
অথচ পাশে থেকে কেউ একজন ঠিক করে দিলেই হয়ত আমরা আর সেটা করবো না।
আমার এরকম অনেক অভিজ্ঞতা থেকে বলি, একটি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, ডিসিপ্লিন্ড জাতি নির্মাণের মুল যুদ্ধটা আসলে ঘরে।
[ আমি একসময় আমার এলাকার টোল সেতুর টোল দিতাম না। ]
আরও পড়ুন: