কোরআন হেফাজত বা বলবত করা কি মানুষের দায়িত্ব?
সংবিধান জনগণের সৃষ্টি। সেটা হেফাজত ও বলবত করার জন্য মানুষ প্রয়োজন আছে। এজন্য সেসব লোকের নিয়োগ-পালন-বিয়োগ-ক্ষমতা বিধান সংবিধানে সুস্পষ্টভাবে লিখে দেয়া হয়েছে।
পবিত্র কুরআন সৃষ্টি করেছেন মহান আল্লাহ। সেই কোরআন হেফাজতের দায়িত্ব তিনি নিজে নিয়েছেন, মানুষকে দেন নি। এই মর্মে তিনি কুরআনে স্পষ্ট ভাবে ঘোষণাও দিয়েছেন।
কোরআন হেফাজত বা বলবত করা কি মানুষের দায়িত্ব? [ ইসলাম ও মুসলিম ]
মহান আল্লাহ যদি মানুষ দিয়েই তার কুরআন রক্ষা ও বলবত করতে চাইতেন, তাহলে সেই দায়িত্ব তিনি কুরআনের মধ্যে দিয়ে দিতেন। এছাড়া সেসব মানুষদের নিয়োগ-পালন-বিয়োগ-ক্ষমতা বিষয়গুলোও কোরআনেই খুব স্পষ্ট করে দিতেন। তিনি একাধিক বার সে বিষয়ে উল্লেখ করতেন। যেমন বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো কোরআনে তিনি একাধিক বার উল্লেখ করেছেন। তিনি সেটা চাননি এবং সেই জন্যই করেন নি। উপরন্তু তিনি আমাদের সাবধান করে দিয়ে, স্পষ্ট ভাবে নিজে কুরআনের রক্ষাকর্তা হিসেবে কুরআনের মধ্যেই ঘোষণা দিয়েছেন, ওয়াদা করেছে।
কিন্তু আমরা মানুষেরা ক্ষমতা লোভী। আর ক্ষমতা পাওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে ক্ষমতাবানের প্রতিনিধিত্ব। তাই আমরা বারবার প্রতিনিধি সাজতে চেয়েছি। বিভিন্ন ব্যক্তি-গোত্র মহান আল্লাহর কোরআন এবং তার দ্বীনের হেফাজত করার দায়িত্ব নিজ দায়িত্বে নিজ কাঁধে তুলে নিয়েছে। এসব করতে গিয়ে কোন ওলামা আসল আর কে নকল তাই নিয়ে নিজেদের মধ্যে গণ্ডগোল লেগেছে। প্রতিনিধিত্বের জন্য যত ফেতনা হয়েছে, অন্য কোন কিছুতে তত ফেতনা-ফ্যাসাদ হয়নি।
ক্ষমতার রাজনীতি ধর্মের ইতিহাসকে কুৎসিত করেছে সবচেয়ে বেশি।
তাই যারা ইসলাম ভালো বাসেন তারা এর সাথে রাজনীতি মেলানোকে সমর্থন করতে পারেনা না।
আরও দেখুন: