গবেষণা সহকারী (খণ্ডকালীন পেশা) | পেশা পরিচিতি | পেশা পরামর্শ সভা

গবেষণা সহকারীর প্রয়োজন হয় গবেষণা ও সমীক্ষার জন্য তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করতে। সম্মান বা স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থী কিংবা সদ্য পাস করেছেন – এমন শিক্ষার্থীদের জন্য গবেষণা সহকারী হিসেবে কাজ করা একটা ভালো সুযোগ। জীবনবৃত্তান্তে এ ধরনের চাকরির অভিজ্ঞতা বাড়তি মাত্রা যোগ করে। সুফি ফারুক এর পেশা পরামর্শ সভার জন্য লিখেছেন – শামস্ বিশ্বাস

গবেষণা সহকারীর কাজের সুযোগ :

সারা বছরই নানা ধরনের প্রকল্প ও গবেষণা পরিচালনা করে থাকে গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলো। এসব প্রকল্প ও গবেষণায় প্রয়োজন হয় তথ্য সংগ্রাহক বা গবেষণা-সহকারীদের। প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণত গবেষণা, সহকারী হিসেবে সদ্য স্নাতক পাস কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়োগ দিয়ে থাকে। প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়োগের পর সাধারণত প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। তাই গবেষণা-সহকারী হিসেবে কাজ করতে চাইলে পূর্বাভিজ্ঞতার চেয়ে আগ্রহ, উৎসাহ ও একাগ্রতা জরুরি। খণ্ডকালীন গবেষণা-সহকারীর জন্য সাধারণত উদ্যমী ও মানুষের সঙ্গে সহজে মিশতে পারে- এমন তরুণদের নেওয়া হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে ভ্রমণ করতে আগ্রহী ও দুর্গম এলাকায় গিয়ে থাকতে পারবে- এমন শিক্ষার্থীদের জন্য কাজের সুযোগ বেশি থাকে।

পেশা পরামর্শ সভা | পেশা পরিচিতি | গবেষণা সহকারী (খণ্ডকালীন পেশা)

শিক্ষাগত যোগ্যতা :

সম্মান বা স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পড়ালেখা করছেন কিংবা সদ্য পাস করেছেন – এমন শিক্ষার্থীরা কাজ করতে পারেন। নির্দিষ্ট কোনো অভিজ্ঞতার দরকার না হলেও নৃবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, ইংরেজি, পরিসংখ্যান, অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থীরা অগ্রাধিকার পান। তবে মাঠপর্যায়ে গবেষণার প্রাথমিক তথ্য সংগ্রাহক হিসেবে কাজের সুযোগ যে কোনো বিষয়ের শিক্ষার্থীর রয়েছে। সম্মান বা স্নাতকোত্তরের শিক্ষাসূচিতে গবেষণা পদ্ধতি (রিসার্চ মেথোডলজি) বিষয় আছে – এমন শিক্ষার্থীদের জন্য কাজের ভালো সুযোগ আছে।

কাজ যেভাবে খোঁজ পাবেন :

প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণত তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে বা চাকরি বিষয়ক ওয়েবসাইটগুলোয় গবেষণা-সহকারীর জন্য বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে। খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে প্রার্থী বাছাই ও নিয়োগ চূড়ান্ত হয়ে থাকে বলে নিয়মিত খোঁজ রাখতে হয়।

দায়িত্ব :

গবেষণা-সহকারী বা তথ্য সংগ্রহকারী হিসেবে নানারকমের কাজ করতে হয়। এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের জরিপের কাজ, সাক্ষাৎকার গ্রহণ, গবেষণার প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ, গভীর সাক্ষাৎকার (ইনডেফথ ইন্টারভিউ), দলগত আলোচনা ( ফোকাস গ্রুপ ডিসকাশন) বা বিদেশি গবেষকদের সঙ্গে অনুবাদক হিসেবে কাজ করার সুযোগ আছে। এসব কাজ সাধারণত মাঠপর্যায়ে গিয়ে বেশি করতে হয়।

বেতন ও সুযোগ-সুবিধা :

গবেষণা সহকারীর বেতন সাধারণত দৈনিক হিসেবে নির্ধারিত হয়ে থাকে। বেতনের পরিসীমা নির্ভর করে প্রতিষ্ঠান এবং কাজের ধরনের ওপর। দৈনিক বেতনের পরিমাণ ১ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এ ছাড়া কাজের প্রয়োজনে মাঠপর্যায়ে যেতে হলে প্রতিষ্ঠান ভ্রমণ ও থাকা-খাওয়ার খরচও দিয়ে থাকে। ঢাকার ভেতরে হলে প্রতিষ্ঠানগুলো শুধু ভ্রমণ ও খাওয়ার খরচ দিয়ে থাকে। গবেষণা সহকারী হিসেবে কাজের মেয়াদ কমপক্ষে তিন দিন থেকে সর্বোচ্চ ছয় মাস পর্যন্ত হতে পারে।

জীবনবৃত্তান্তে অভিজ্ঞতা :

গবেষণা সহকারী হিসেবে খণ্ডকালীন কাজ ভবিষ্যতে জীবনবৃত্তান্তে অভিজ্ঞতা হিসেবেও মূল্যবান হতে পারে।

আরও পড়ুন: