প্রভা আত্রেও চলে গেলেন।
ওনার মরু বিহাগ শুনতে শুনতে বৌকে বলতাম, যদি কোনদিন ওনাকে প্রেম নিবেদনের সুযোগ হয়, আর উনি যদি নিবেদনে সাড়া দিয়ে ফেলেন, তাহলে আমাকে কিন্তু আর পাওয়া যাবে না কিছুতেই !
শুধুমাত্র গান-বাজনাতেই না, একাডেমিক কাজেও শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের অনেক খেদমত করেছেন তিনি।
শান্তিতে থাকুন প্রভা আত্রে।
কিরানার সঙ্গীতের উপযুক্ত খাদেম হিসেবে আপনার নাম উজ্জ্বল থাকুক।
আত্মস্থ করা তো দূরে থাক, ইদানীং একটা শোক হজম করার সময় হয় না, অন্য আরেকটি খবর দরজায় এসে দাড়ায়। ক্লান্ত, ঘর্মাক্ত মনে শুনি। শুনে আচারিক অভিব্যক্তি বা খারাপ লাগার অভিনয়। তারপর আবার সেই একই ….। কাজের মাঝে কখনো চোখ ভিজে আসলেও গোপনে মুছতে হয়, পাছে লোকে পাগল না ভাবে।
এইসবের মধ্যেও মনে করি.. আজাদ রহমান চলে গেলেন, তার বাংলা খেয়ালের সব মিলিয়ে হয়তো ২০ ঘণ্টারও আর্কাইভ নই। ওস্তাদ নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরীর কাছ থেকে তার দুই ঘরানার গান-গল্প কতটুকু সংরক্ষণ হল? কবীর সুমনের ব্লটিং পেপারের কতটুকু বের করে রাখ গেল?
এই সকাল-বিকেল তারকার যুগে আর কাউকে দেখা যাবে না ওনাদের মতো। কেউ আর অমন বনস্পতির মতো দাঁড়াবেন না, ছায়াও দেবেন না।
আগামী প্রজন্মের জন্য যত্ন করে সংরক্ষণের শেষ সময়ও চলে যাচ্ছে। কিন্তু এমন এক সময়ের মধ্যে দিয়ে চলেছি, যখন সিস্টেমের লোকজন এসবের কোন গুরুত্ব দেবার বদলে, দুটো টাইলস বেশি লাগানো গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন।