ক্রিকেটার সালমার ইন্টার্ভিউ, উর্দু ও মাতৃভাষা?

ক্রিকেটার সালমার ইন্টার্ভিউটা দেখলাম। তেমন কোন উর্দু ভাষণ তো দেখলাম না। কারও কাছে ফুটেজ থাকলে একটু আমাকে একটু দয়া করে ট্যাগ করবেন।

বরং সম্প্রতি যে আফ্রিদি পাকিস্তানের নারী ক্রিকেটারদের সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে, “ওরা রান্নাঘরেই ভাল” বলে উত্তর দিলেন, সালমা নারী খেলোয়াড় হিসেব তার সাথে এত উৎসাহ নিয়ে সেলফি তোলা দেখে আমার ঘেন্না লেগেছে।

তবে ম্যানেজার সাহেবকে দেখে মনে হল উনি পাকিস্তান গিয়ে একদম বর্তে গেছেন। বহুদিন পরে যেন “পেয়ারে ওয়াতান, আপনা ওয়াতান, পাক ওয়াতান” এ ফিরেছেন! উনি একটা ভাল “ডলা” ডিজার্ভ করেন।

আর ভাষার প্রশ্ন যতদূর, আমার পৃথিবীর কোন মাতৃভাষার প্রতি বিদ্বেষ নাই।
প্রতিটি মাতৃভাষা এবং ভাষাভাষী জাতিগোষ্ঠীর প্রতি শ্রদ্ধা দেখানো, বাঙালী হিসেবে আমাদের শোভা বাড়ায়, আমাদের ভাষা সংগ্রামের গর্বের পলক আরও চকচকে করে।
তাছাড়া নরেন্দ্র মোদী আমার দেশে এসে, আমার মাতৃভাষায় জীবনানন্দের লাইন বললে যদি আমি খুশি হই, তবে অন্য ভাষাভাষীদের দেশে গিয়ে তাদের ভাষায় দুটো কথা বলে খুশি করলে কেন দোষ ধরবো।

তবে আসলে ঘটনা টা কি? উর্দুটা তো পাকিস্তানিদের মাতৃভাষা নয়। ভারত থেকে এক্সপোর্ট করা ভাষা (পাকিস্তানের অন্য সব কিছুর মতোই ফ্যাব্রিকেটেড)।
কিছু মোহাজির ছাড়া আজও পাকিস্তানে খুব বেশি লোক উর্দু বলতে পারে না। সব মিলিয়ে সংখ্যা বড়জোর ৭%। তাদেরও কেউকেউ হয়ত বাড়িতে তাদের মাতৃভাষা- পাঞ্জাবী, পাশতু, সারাইকি, সিন্ধি বা বালুচ ভাষা বলে।

তাই কারও যদি পাকিস্তানে গিয়ে নেটিভ ভাষায় কিছু বলে খুশি করার ইচ্ছে হয়, তবে ওদের মাতৃভাষায় কিছু শিখে যাইয়েন। উর্দু বলার অপচেষ্টার কোন মানেই হয় না। যাদের মাতৃভাষা, তাদের সামনে ভুল বললে তারা হাসে না। কিন্তু সেকেন্ডারি ল্যাঙ্গুয়েজ হিসেবে যারা শেখে, তাদের সামনে শুদ্ধ না হলে নিশ্চিত হাসির পাত্র হবেন।

Leave a Comment