২০০৪ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ এ আওয়ামী লীগের সমাবেশে বিএনপি-জামাত সরকারের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে ও সরাসরি সরকারি কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় এক ভয়াল গ্রেনেড হামলা হয়। গ্রেনেড হামলার উদ্দেশ্য ছিল আওয়ামীলীগের পতাকাবাহী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা করা। সেই সাথে আওয়ামীলীগের সকল গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দকে হত্যা করা। নেতা কর্মীরা মানব ঢাল তৈরি করে শেখ হাসিনাকে বাঁচান। নিহত হন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আইভি রহমানসহ ২৪ জন। ৩০০ জনের অধিক নেতাকর্মী গুরুতর আহত হন।
হামলার পটভূমি:
২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি-জামাত সরকার নির্বাচিত হবার দিন থেকেই সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের রাজত্ব কায়েম শুরু করে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরে থেকে শুরু হয় সংখ্যালঘু নির্যাতন। প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমানের নেতৃত্বে পাকিস্তান মডেলে সন্ত্রাস বাণিজ্য ভিত স্থাপিত হয় বাংলাদেশে। সরাসরি রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে ওঠে অসংখ্য জঙ্গি সংগঠন। এসব সংগঠন ব্যবহার করে জামাত বিএনপি সরকার বিরোধী দলকে হত্যার মাধ্যমে দমন, সাংস্কৃতিক কর্মাদের উপরে হামলা, বিচার বিভাগের উপরে হামলা, বিদেশি কূটনীতিক এর উপরে হামলা সহ পাকিস্তানের মডেলে যাবার সকল ক্ষেত্র প্রস্তুত করছিল। “২০০১ এর গঠিত জামাত-বিএনপি সরকারের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের ভয়াবহ ঘটনা সমূহ” লিংকে পাওয়া যাবে ভয়াবহ সেসব ঘটনার একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা।
https://www.youtube.com/watch?v=YVIK6UTfhE4
এসময় বিরোধী দল হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকারের এসব কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে মাঠে সোচ্চার হয়ে ওঠে। বিএনপি-জামাত সরকার সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদী হামলার মাধ্যমে আওয়ামীলীগ কে দমন করার পরিকল্পনা করে। মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামী জঙ্গি মুফতি হান্নানের জবানবন্দী অনুযায়ী তারেক রহমান সহ সকল কেবিনেট এর গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের উপস্থিতিতে বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা হয়।
হামলার উদ্দেশ্য:
হামলার মুল টার্গেট ছিল প্রধান বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা। তাকে গ্রেনেড ছুড়ে হত্যা করা হবে। তাকে ঘিরে থাকা আওয়ামীলীগের নীতি নির্ধারনী পর্যায়ের সিনিয়র নেতৃবৃন্দও মারা যাবে।
হামলার প্রস্তুতি:
তৎকালীন পাওয়ার হাউজ তারেক রহমানের কার্যালয় হাওয়া ভাবনে ২১ শে আগস্ট হামলার প্রথম প্রস্তুতি সভা হয়। সভায় তারেক রহমান সহ বিএনপি-জামাতের কেবিনেটের কয়েকজন মন্ত্রী, যুদ্ধাপরাধী আলি আহসান মুজাহিদ, বঙ্গবন্ধুর খুনি সহ জঙ্গি নেতারা উপস্থিত ছিল। সেখানে ২১ শে আগস্ট সমাবেশে গ্রেনেড মেরে শেখ হাসিনাকে হত্যার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ বিষয়ে ২য় মিটিংটিও সেখানেই হয়। গ্রেনেড সরবরাহের দায়িত্ব নেয় তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। সে সরকারি পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকদের সহায়তার বিষয়টি নিশ্চিত করে। পরবর্তী মিটিং এ তার মিন্টু রোডের বাসায় গ্রেনেডগুলো হস্তান্তর করে।
হামলার দিনের ঘটনা:
https://www.youtube.com/watch?v=0uW3kLHoh3I
হামলা পরবর্তি ঘটনাপ্রবাহ:
– আহতরা পায়নি মেডিকেল সেবা
– মামলা নিয়ে টালবাহানা ও জর্জ মিয়া নাটক
২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় নিহতদের তালিকা:
–
২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় আহতদের তালিকা:
–
তদন্ত ও বিচার:
প্রাথমিক মামলা ও তদন্তের ইতিহাস
পরবর্তি অধিকতর তদন্ত ও বিচারের ইতিহাস
এই দিনে রাজনৈতিক কর্মসূচি:
এই দিবসে আওয়ামী লীগ সহ বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ বিরোধী সংগঠনগুলো আলোচনা সভা, প্রতিবাদ ও স্বরণসভার আয়োজন করে।
সংশ্লিষ্ট আর্টিকেল লিংক: