বাংলা কৌতুকী সংগ্রহ [ কৌতুক ]- শচীন ভৌমিক [ Bangla Jokes Collection – Sachin Bhowmick]

 

[ বাংলা কৌতুকী সংগ্রহ [ কৌতুক ]- শচীন ভৌমিক [ Bangla Jokes Collection – Sachin Bhowmick] ]

লেখকের নিবেদন:
বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় পাঠক-পাঠিকাদের অনুরোধে আমি প্রচুর কৌতুকী শুনিয়েছি। সেই সব ভাণ্ডার থেকে কিছু কৌতুকী নির্বাচিত করে এখানে মুদ্রিত করা হল। সংখ্যা গুরু পাঠকবৃন্দ এই সব চুটকী পড়ে আনন্দ পেয়েছেন। স্বল্প সংখ্যক পাঠক-পাঠিকা ‘শচীন ভোমিকটা কি যাচ্ছে তাই লেখে’ বলে রেগে-মেগে (হয়তো জোকগুলো একবারের জায়গায় দু’তিনবার পড়ে নিয়ে!)

কৌতুকী সংগ্রহ [ কৌতুক ]- শচীন ভৌমিক
ফর এডাল্টস্ ওনলি – শচিন ভৌমিক | For Adults Only – by Sachin Bhowmik
নির্মম ভাষায় পাত্রঘাত করেছেন আমাকে। সন্মান ও সখার্জনী লেখক হিসেবে আমি মাথা পেতে নিয়েছি। এবারও এই দ্বিবিধ প্রাপ্যের জন্য প্রস্ত্তত রইলাম। কৌতুকী মানে হাস্য রসের সমুদ্র। যাঁরা উৎসুক, যাঁরা এই হিসির সমুদ্রে অবগাহন করতে চান, মাপ করবেন, ‘হিসি’র নয়, হাসির সমুদ্রে অবগাহন করতে চান, তাঁরা চটপট সব বসন খুলে, না না, আমি বলতে চাই, সব শাসন ভুলে, ঝাঁপিয়ে পড়ুন এই প্রমোদ সাগরে। ভয় নেই, কেউই ডুববেন না। কেননা ইংরেজীতে রয়েছে He who laughs—lasts. (Losts নয়!) অতএব মাভৈঃ।
–শ. ভৌ.

Table of Contents

কৌতুক এক: আমি ওর মাসী

ডাক্তারের চেম্বার।
তরুণী মেয়েটি রুগ্ন শিশু কোলে নিয়ে এসে দাঁড়ালেন।
মেয়েটি বললেন,– দেখুন ডাক্তারবাবু, খোকা একেবারে খেতে চায় না। দিন দিন কেমন রোগা হয়ে যাচ্ছে।

হুঁ,– বললেন ডাক্তারবাবু,– দাঁড়ান দেখছি।

বলেই ডাক্তার মেয়েটির জামাটামা খুলে ভালো করে বুকটা পরীক্ষা করলেন। তারপর হতাশকণ্ঠে বললেন,– বাচ্চার স্বাস্থ্য কি করে ভালো হবে বলুন, আপনার বুকে এক ফোঁটা দুধ নেই। মেয়েটি বললেন,– আমি ওর মা নই ডাক্তারবাবু, আমি ওর মাসী।

কৌতুক দুই: নিমুনিয়া কি করে সারাতে ..

একটি মহিলা ডাক্তারবাবুর কাছে এসেছেন।
ডাক্তার : বলুন আপনার সিমটমস্ কি কি?

মহিলা : আমার মাথার বাঁদিকটা ব্যথা হয়, তলপেট কেমন গরম ভাপ বেরুচ্ছে মনে হয়, বাঁ-কানটা কটকট করে আর পায়ের বুড়ো আঙুল ফুলে উঠেছে, চোখ দিয়ে জল পড়ছে, জল খেলে খালি হেচঁকি ওঠে, ঘুম হচ্ছে না একদম আর চুল পড়ে যাচ্ছে খুব।

হুঁ,– বললেন ডাক্তার,
— এক কাজ করুন। ঠাণ্ডা বরফ-গোলা জলে বেশ ঘণ্টাখানেক ভালো করে স্নান করুন। তারপর পাখা খুলে তার নিচে ন্যাংটো হয়ে আধঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকুন।

ভদ্রমহিলা অবাক। বললেন,– এতে আমার রোগ সেরে যাবে?
না,– বললেন ডাক্তার,– এতে আপনার নিমুনিয়া হবে। আর নিমুনিয়া কি করে সারাতে হয় আমি জানি।

কৌতুক তিন: কিন্তু মা বলেছেন,– না

একটি বাচ্চা মেয়ের স্বভাব ছিল কেউ নাম জিজ্ঞেস করলে জবাব দিত “আমি শিশির সেনের মেয়ে জয়শ্রী”। একদিন মা মেয়েকে ধমক লাগিয়ে বললেন,– শোন, কেউ নাম জিজ্ঞেস করলে “আমি শিশির সেনের মেয়ে” বলবি না। বাবার নাম বলার দরকার নেই। বুঝেছো? মেয়ে ঘাড় কাৎ করল।

পরদিন এক ভদ্রলোক মেয়েটিকে প্রশ্ন করলেন,– আরে তুমি শিশির সেনের মেয়ে জয়শ্রী না?
: কাল পর্যন্ত তো তাই জানতাম। কিন্তু মা বলেছেন,– না, — জবাব দিল ছোট্ট মেয়েটি।

কৌতুক চার: বাকি দু’বার বদলাতে

জজসাহেব বললেন,– একই শাড়ির দোকানে এক রাত্রিতে তুমি তিন তিনবার চুরি করতে ঢুকেছিলে কেন?
চোর :ধর্মাবতার, চুরি একবারই করতে গিয়েছিলাম। বৌর জন্য শাড়ি চুরি করেছিলাম। বাকি দু’বার শাড়ি বদলাতে গিয়েছিলাম হুজুর।

কৌতুক পাঁচ: পাস্ট্ টেন্স

শিক্ষয়িত্রী : আচ্ছা বলতো অজয় “আমি একটি সুন্দরী মেয়ে” কোন টেন্স্?
অজয় মাস্টারনীর আপাদমস্তক একবার দেখে নিল, তারপর জবাব দিল,– পাস্ট্ টেন্স।

কৌতুক ছয়: আমি কি পাঞ্জাবী জানি?

নববিবাহিত দম্পতি হানিমুন করতে দিল্লী এসেছিল। একদিন দিল্লী থেকে বেশ দূরে এক নির্জন জায়গায় ওরা পিকনিক করতে গিয়েছিল। হঠাৎ চারটে পাঞ্জাবী গুণ্ডা এসে মেয়েটিকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে সবাই মিলে বলাৎকার করে চলে গেল। স্বামী চুপচাপ সব দেখল, টুঁ শব্দাটি করল না।

গুণ্ডরা চলে যাবার পর স্ত্রী বেচারী শাড়ি কাপড় গুছিয়ে ক্লান্ত শরীরকে কোন রকম টেনে তুলে ঘৃণ্য চোখে স্বামীর দিকে তাকিয়ে বলল,– তুমি মানুষ না ইদূরেরও অধম। ওরা এভাবে আমার ওপর অত্যাচার করল তুমি একটা কথাও বললে না?

বোকার মতো কথা বলো না,– বলল স্বামী ভদ্রলোক,– কথা বলব কি করে? আমি কি পাঞ্জাবী ভাষা জানি যে কথা বলব।

[ বাংলা কৌতুকী সংগ্রহ [ কৌতুক ]- শচীন ভৌমিক [ Bangla Jokes Collection – Sachin Bhowmick] ]

কৌতুক সাত: হ্যাণ্ডসেক্

বলুন তো ওটা কি কাজ যেটা পুরুষমানুষ দাঁড়িয়ে, কুকুর তিন পায়ে আর মেয়েরা বসে করে থাকে, কেননা সেটাই রীতিসম্মত। বলুন কি কাজ সেটা?
না, যা ভাবছেন তা নয়। এর জবাব হল,– হ্যাণ্ডসেক্।

কৌতুক আট: রায়, রায়, রায় ও রায় কোম্পানী

রায়, রায়, রায় ও রায়, কোম্পানীতে ফোন এল।
: হ্যাল্লো, আমি কি মিস্টার রায়ের সঙ্গে কথা বলতে পারি?

জবাব : মিস্টার রায় এখন আউট অফ স্টেশন, একটা কাজে দিল্লী গেছেন।
: আচ্ছা, তাহলে আমি কি মিঃ রায়ের সঙ্গে কথা বলতে পারি?

জবাব : মিস্টার রায় এখন একটা কনফারেন্স এটেণ্ড করছেন। ব্যস্ত রয়েছেন।
: আচ্ছা, তাহলে আমি কি মিঃ রায়ের সঙ্গে কথা বলতে পারি?

জবাব : মিস্টার রায়ের ফ্লু হয়েছে। উনি আজ অফিসে আসেন নি।
: আচ্ছা, তাহলে আমি কি মিঃ রায়ের সঙ্গে কথা বলতে পারি?

জবাব : কথা বলছি।

কৌতুক নয়: কাপুরুষ আমি? আমি ভীতু?

স্বামী স্ত্রী জঙ্গলের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন গাড়ি করে। পথে ডাকাতের আক্রমণ হল। ডাকাতের সর্দার স্বামী পুঙ্গবের চারদিকে একটা গোল চক্র বানালো কাঠি দিয়ে মাটির উপর দাগ কেটে। তারপর কম্পমান স্বামীটিকে বলল,– এই চক্রের বাইরে যাবে না। চক্রের বাইরে পা বার করেছো কি জানে মেরে দেবো। বুঝলে।

তারপর বৌকে মাটিতে ফেলে সে ধর্ষণ করে চলে গেল। ধর্ষিতা স্ত্রী উঠে স্বামীকে বলল,– ছিঃ ছিঃ। তুমি এরকম কাপুরুষ। এত ভীতু।

কাপুরুষ আমি? আমি ভীতু?
—স্বামী রীতিমতো রেগে উঠলেন—তুমি তাহলে আমাকে চিনতেই পারো নি।
বেটা যখন এদিকে তাকাচ্ছিল না তখন একবার নয়, দু’দুবার আমি এই চক্রের বাইরে পা বার করেছিলাম তা জানো?
আামাকে বলছো কিনা কাপুরুষ !

কৌতুক দশ: বাঁধানো অবস্থায় এই প্রথমবার দেখছি !

মিস্টার মেহরা নতুন বাড়ি কিনে পার্টি দিয়েছেন।

সব কিছু নতুন চকচকে ঝকঝকে। পার্টি বেশ জমে উঠেছে। এক সময় পার্টির বিশেষ অতিথি মিসেস দময়ন্তী সাহানীর বাথরুমে যাবার প্রয়োজন হল। কমোড সিট ছেড়ে উঠতে গিয়ে এক বিপত্তি হল। কমোড সিটে নতুন বার্নিশ লাগানো হয়েছিল সেটা দময়ন্তী দেবীর নিতম্বে আটকে গেল আঠার মতো। কিছুতেই ছেড়ে ওঠা যাচ্ছে না। একেবারে চিপকে গেলে।

বিশ্রী কাণ্ড। হোস্টেস মিসেস মেহরাকে কোনরকমে ডাকলেন উনি। শত চেষ্টাতেও সিট খুলতে পারলেন না মিসেস মেহরা। শেষ পর্যন্ত স্ক্রু খুলে সিটটাই কমোড থেকে উনি খুলে দিলেন। সিটটা দময়ন্তী দেবীর পেছনে একটা বৃত্তের মতো আটকে রইল। তারপর তাকে বেডরুমে রেখে তাড়াতাড়ি ডাক্তার ডেকে পাঠালেন। দময়ন্তীর মরে যেতে ইচ্ছে করছিল। যাই হোক, ডাক্তার এলেন।

ডাক্তারকে বেডরুমে নিয়ে গিয়ে পরিস্তিতি দেখিয়ে প্রশ্ন করলেন মিসেস মেহরা, ডাক্তারবাবু, এরকম কোনদিন আপনি আগে দেখেছেন?

ডাক্তারি বললেন,– দেখেছি বহুবার। হবে অস্বীকার করব না, বাঁধানো অবস্থায় এই প্রথমবার দেখছি !

কৌতুক এগার: নতুন জুতোর দোকান

নতুন জুতোর দোকান খুলেছেন জনার্দন বসাক।
বন্ধু সন্তোষ এসে প্রশ্ন করলেন জনার্দনকে,– কি রে, ব্যবসা কেমন চলছে তোর?

জনার্দন বলছেন,– গতকাল এক জোড়া জুতো বিক্রি করে-ছিলাম। আজ তার চেয়েও খারাপ অবস্থা।
সন্তোষ বললেন,– কালকের চেয়েও খারাপ অবস্থা কি করে হতে পারে?

জনার্দন বললেন,– কালকের খদ্দের আজ সেই জুতোজোড়া ফেরত্ দিয়ে গেছে।

[ কৌতুকী সংগ্রহ [ কৌতুক ]- শচীন ভৌমিক [ Bangla Jokes Collection – Sachin Bhowmick] ]

কৌতুক বারো: লাল রুমাল

সেলুন। এক ভদ্রলোক দাড়ি কামাচ্ছিলেন নাপিতের কাছে।
নাপিত : স্যার, আপনি যখন সেলুনে ঢুকেছিলেন তখন কি গলায় লাল রুমাল জড়িয়ে এসেছিলেন?

ভদ্রলোক : না আমি সাদা রুমাল জড়িয়ে এসেছিলাম।
নাপিত : তাহলে মনে হচ্ছে আমি আপনার গলাটা কেটে ফেলেছি।

কৌতুক তেরো: ঐ অসভ্য নোংরা কাজে এক পয়সাও না, এক আধলাও না।

একজন অশিক্ষিত ধনকুবের একটি কলেজে টাকা দান করতে রাজী হয়েছেন। বিপক্ষদলের এক ভদ্রলোক তাই শুনে একদিন দেখা করতে এলেন সেই ধনী ব্যক্তির সঙ্গে।

ভদ্রলোক : আপনি যে কলেজে টাকা ঢালতে চলেছেন সে কলেজে এককসঙ্গে ছেলেমেয়েরা গ্র্যাজুয়েট করে থাক সে খবর রাখেন?

ধনী : ছিঃ ছিঃ, কি বলছেন আপনি?
ভদ্রলোক : এ তো কিছুই নয়। আপনি কি জানেন সে কলেজে ছেলেমেয়েদের একই ক্যারিকুলাম ব্যবহার করতে হয়?

ধনী : কি ঘেন্নার কথা। এত জঘন্য কাণ্ড হয় সেখানে?
ভদ্রলোক : আর জানেন কি, পুরুষ প্রফেসাররা যখন-ই চাইবেন মেয়েদের থিসিস্ দেখতে, মেয়েরা তাদের থিসিস্ দেখাতে বাধ্য হয়?
ধনী : এ যে নরক মশাই। না না, আমি ঐ অসভ্য নোংরা কলেজে এক পয়সাও দান করব না, এক আধলাও না।

কৌতুক চোদ্দ: মেয়েদের দুটো হাতই ফ্রি থাকে

ছেলেদের বাথরুম ও মেয়েদের বাথরুম দু’জায়গায়-ই অশ্লীল ছবি ও লেখা দেখা যায়। ইংরেজীতে বলে গ্রাফিটি।

একজন যুক্তিবিজ্ঞানের প্রফেসরের মতে ছেলেদের বাথরুমের চেয়ে মেয়েদের বাথরুমে অশ্লীল লেখা ডবল থাকা উচিত !!!

কেননা ছেলেরা এক হাতে লিখে থাকে, কিন্তু মেয়েদের দুটো হাতই ফ্রি থাকে সুতরাং ওরা দু’হাতেই লিখতে পারে। ডবল সুযোগ। অকাট্য যুক্তি। কি বলেন?

কৌতুক পনেরো: Professor will not take his asses today

কলেজের ক্লাসরুম।

একটি ছেলে প্রফেসরের অনুপস্থিতিতে ব্ল্যাকবোর্ডে এসে লিখল The Proffessor will not take his classes today..

একটি মস্তান ছেলে এসে Classes-এর “C”টা কেটে দিল। হয়ে গেল—The Professor will not take his lasses today.

একটি তুখোড় ছাত্রী লেখা দেখে স্বভাবতঃই রেগে গেল। সে lasses-এর থেকে “L” টা কেটে দিল। মস্তান আচ্ছা ঢিট।

কেননা এখন লেখাটা দাঁড়ালো Professor will not take his asses today. কে বলে মেয়েদের বুদ্ধি নেই?

কৌতুক ষোল: মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন

Sunil, don’t park the car here
Sunil, don’t park the car
Sunil, don’t park
Sunil, don’t
মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন।

কৌতুক সতেরো: NOT GRILLS, YOU STUPID, GIRLS

কলেজের ছেলেদের য়ুরিনালস্-এর দেওয়ালে একটি লেখা ছিল—
I LIKE PUNJAB GRILLS

নিচে আরেকজন লিখেছে—NOT GRILLS, YOU STUPID, GIRLS.

কৌতুক আঠারো: IF YOU WANT TO SEE OUR JAIL—DRIVF FAST

আমেরিকার হাইওয়েতে মোটরচালকদের উদ্দেশ্যে যে সব বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয় সেগুলো তাদের রসিক মনের কৌতুক প্রিয়তার উচ্চতম নিদর্শন হিসেবে গন্য করা যায়। নমুনা শুনুন।

(ক) IT IS GOOD TO BE LATE, MR. MOTORIST THAN TO BE THE LATE MR. MOTORIST

(খ) THE DRIVER IS SAFE IF THE ROAD IS DRY
THE ROAD IS SAFE IF THE DRIVER IS DRY

(গ) ‘SLOW’ HAS GOT FOUR WORDS
SO HAS—‘LIFE’
`SPEED’ HAS GOT FIVE WORDS
SO HAS—‘DEATH’

(ঘ) IF YOU ARE KISSING A GIRL AND DRIVING
A CAR YOU ARE NOT GIVING PROPER
ATTENTION TO BOTH

(ঙ) DO NOT DRIVE AS IF YOU OWN THE ROAD
DRIVE AS IF YOU OWN THE CAR

(চ) IF YOU WANT TO SEE OUR CITY—DRIVE SLOW
IF YOU WANT TO SEE OUR JAIL—DRIVF FAST

কৌতুক উনিশ: পঁয়ত্রিশ থেকে চল্লিশ বছরের মেয়েরা ..

পনেরো থেকে কুড়ি বছরের মেয়েরা হল ভারতবর্ষের মতো। মানে রহস্যময় আকর্ষণীয়।

কুড়ি থেকে পঁচিশ বছরের মেয়েরা হল ইউরোপের মতো। উপোভাগ্য। আনন্দময়। চঞ্চল, উজ্জ্বল।

পঁচিশ থেকে ত্রিশ বছরের মেয়েরা হল আমেরিকার মতো। অভিজ্ঞ। বস্তুতান্ত্রিক। ব্যবসাবুদ্ধিস্পন্ন।

ত্রিশ থেকে পঁয়ত্রিশ বছরের মেয়েরা হল বৃটেনের মতো। গম্ভীর। ঐতিহ্যবাহী। স্মৃতিভারাক্রান্ত।

পঁয়ত্রিশ থেকে চল্লিশ বছরের মেয়েরা হল অস্ট্রেলিয়ার মতো। সবাই জানে অস্ট্রেলিয়া কোথায় কিন্তু কেউ সেখানে যেতে বিন্দু-মাত্র উৎসাহী নয়?

কৌতুক কুড়ি: কত টাকা বাজি ধরতে চান বলুন?

এক ভদ্রলোকের কথায় কথায় বাজি ধরার বিশ্রী অভ্যাস ছিল। তার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু মোটর একসিডেন্টে মরে গেল।
সবাই ভদ্রলোকেকে বলল,– দেখো বাপু, মৃতব্যক্তির স্ত্রীকে খবর দিতে হবে কিন্তু দুঃসংবাদ চট করে দেবে না বুঝলে। আস্তে আস্তে ভাঙবে।

ভদ্রলোক : আপনারা ভাববেন না। আমি ধীরে ধীরে খবরটা দেবো।
ভদ্রলোক এসে সেই মৃতব্যক্তির বাড়ির দরজার বোতাম টিপলেন। বন্ধুস্ত্রী বেরিয়ে এলেন।

ভদ্রলোক : আপনিই তো আমার বন্ধু গণেশ বসাকের বিধবা?
ভদ্রমহিলা : কি যা তা বলছেন, আমি তাঁর বিধবা কেন হতে যাবো? আমি তাঁর স্ত্রী।
ভদ্রলোক : কত টাকা বাজি ধরতে চান বলুন?

কৌতুক একুশ:

বলুন তো পুরুষ-মাছি আর মেয়ে-মাছি চেনার উপায় কি? উপায় হল যে মাছিগুলো দেখবেন মদের গেলাসে এসে বসছে সেগুলো হল পুরুষ-মাছি আর যে মাছগুলো আয়নার উপর বসছে সেগুলো হল মেয়ে-মাছি।

কৌতুক বাইশ: কি সুন্দর ছেলে হয়েছে !

শিশুসদন।
নার্স বাচ্চা কোলে নিয়ে ডেলিভারী রুম থেকে বেরিয়ে আসতেই বাচ্চার ছোট মাসী দৌড়ে গিয়ে বাচ্চা দেখতে লাগল। হাত দিয়ে আদর করতে করতে বলল,– কি সুন্দর ছেলে হয়েছে দিদির। জামাইবাবুর মতো নাক চোখ হয়েছে। থুতনি হয়েছে দিদির মতো।

এ্যাই, মাসীকে একটা স্মাইল দাও না বাবা। আমি জানতাম দিদির ঠিক ছেলে হবে। যা ভেবেছি তাই, সোনার টুকরো ছেলে হয়েছে দিদির।
নার্স : দেখুন, আপনার দিদির ছেলে নয়, মেয়ে হয়েছে। এবার আমার আঙুলটা ছেড়ে দিন প্লিজ।

[ কৌতুকী সংগ্রহ [ কৌতুক ]- শচীন ভৌমিক [ Bangla Jokes Collection – Sachin Bhowmick] ]

কৌতুক তেইশ: যদি আঁটো শাড়ি পরেন !

একটা কারখানার বিজ্ঞপ্তি।

“মহিলা কর্মচারীদের জন্য: আপনারা যদি ঢিলে শাড়ি পরেন তবে মেশিন থেকে সাবধান থাকবেন।
আর আপনারা যদি আঁটো শাড়ি পরেন তবে মেকানিকদের থেকে সাবধান থাকবেন।”

কৌতুক চব্বিশ: কিন্তু আমি এসেছিলাম !

ডাক্তারের কাছে বেশ ভিড়।
নার্স বলল : নেকসট্।

ভদ্রলোক এসে বললেন, দেখুন আমি এসেছিলাম-
নার্স : কথা বলে সময় নষ্ট করবেন না। কাপড়-চোপড় খুলে এখানে শুয়ে পড়ুন।

ভদ্রলোক : কিন্তু আমি এসেছিলাম—
নার্স : বললাম কাপড় খুলুন। ভিড় দেখছেন না? চট পট খুলে ফেলুন।
নার্স আর কথা না বলতে দিয়ে ভদ্রলোককে নগ্ন করে বিছানায় শুইয়ে দিলেন। তারপর ডাক্তারবাবু এলেন।

ডাক্তার : বলুন কি কমপ্লেন?
ভদ্রলোক : স্যার, আমি আপনার টেলিফোন ঠিক করতে এসেছিলাম।

কৌতুক পঁচিশ: রোগীর পালস্ বেড়ে যাচ্ছে !

নার্স : ডাক্তারবাবু, আমি যতবার নীচু হয়ে রোগীর পালস্ দেখতে যাচ্ছি রোগীর পালস্ বেড়ে যাচ্ছে। কি করি বলুন তো?

ডাক্তার : ব্লাউজের বোতাম দু’টো বন্ধ করে নিন।

কৌতুক ছাব্বিশ: সোমবার না হয়ে যদি ঘটনাটা রোববার ঘটত !

একটি লোকের অভ্যাস ছিল কথায় কথায় বলার “এ তো কিছু না, এর চেয়েও সাংঘাতিক হতে পারতো”। লোকে তার বাচালতায় ও চালিয়াতীতে রীতিমত বিব্রত। একদিন অপর এক ভদ্রলোক বললেন,– ঘটনাটা শুনেছেন?

সুকুমার ঘোষাল গত সোমবার দিন বাইরে থেকে ফিরে এসে বাড়িতে দেখলেন তার আদরের স্ত্রী পাড়ার এক মাস্তান ছেলে লোকেনের সঙ্গে উলঙ্গ হয়ে চুটিয়ে প্রেম করছেন। সুকুমার রিভালবার বার করে বৌ আর লোকেন দু’জনকে গুলী করে মেরেছে তারপর নিজে গুলী খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। কি ট্র্যাজেডী।

চালিয়াৎ মশাই : এ তো কিছু নয়, এর চেয়েও সাংঘাতিক হতে পারতো।
ভদ্রলোক : দেখুন গুলবচন্দ্র, বাজে বকবেন না। এরকম ট্রিপল ট্র্যাজেডীর চেয়ে সাংঘাতিক কি হতে পারতো বলতে পারেন আপনি?

চালিয়াৎ মশাই : নিশ্চয়ই পারি। সোমবার না হয়ে যদি ঘটনাটা রোববার ঘটত তবে লোকেনের জায়গায় আমি গুলী খেয়ে মরতাম।

কৌতুক সাতাশ: পলাশীর যুদ্ধ কত সালে হয়েছিল ?

হঠাৎ শরীর খারাপ হওয়ার অবিনাশবাবু অফিস থেকে ছুটি নিয়ে বাড়ি ফিরে এলেন। এসে দেখালেন তার স্ত্রী তাঁরই এক পরম বন্ধুর সঙ্গে যৌনযুদ্ধে লিপ্ত। রাগে কাঁপতে কাঁপতে চেঁচিয়ে উঠলেন অবিনাশবাবু—এখন আমি সব জানি।

সব জানো?—স্ত্রী উঠলেন বিছানা থেকে,– তাহলে বলো তো দেখি নিউজিল্যাণ্ডের রাজধানীর নাম কি? পলাশীর যুদ্ধ কত সালে হয়েছিল ???!!!

কৌতুক আটাশ: এই নিন পাঁচ হাজার টাকা !

ঘোষক : আসুন আসুন, বুদ্ধির পরীক্ষার খেলা। আমি মাত্র দু’টো প্রশ্ন করব। প্রথম প্রশ্নের সঠিক জবাব দিতে পারলে এক হাজার টাকা পুরষ্কার, দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর দিতে পারলে পাঁচ হাজার। প্রথম প্রশ্ন—পৃথিবীর সর্বপ্রথম পুরুষ ও নারী কে ও তাঁদের নাম কি?

একটি সুশ্রী মেয়ে : প্রথম পুরুষের নাম এডাম ও প্রথম নারীর নাম ইভ।

ঘোষক : গুড। সঠিক জবাব দিয়েছেন। এই নিন হাজার টাকা।

এইবার দ্বিতীয় প্রশ্ন—এডাম ও ইভের যখন প্রথম দেখা হয় তখন ইভ এডামকে দেখে প্রথম কি কথা বলেছিলেন? মেয়েটি বড্ড চিন্তিত হয়ে পড়ল। ভাবতে লাগল।

ঘোষক বললেন—কাম্ অন্, বলুন। আধ মিনিটের মধ্যে বলতে হবে। সময় চলে যাচ্ছে।

দুশ্চিন্তাগ্রস্ত মেয়েটি বিড়বিড় করে বলল : এটা বেশ শক্ত।

ঘোষক : গুড্। সঠিক জবাব দিয়েছেন। এই নিন পাঁচ হাজার টাকা।

কৌতুক উনত্রিশ: ওগুলো অবিবাহিতদের দিলে হয় না?

একজন প্রৌঢ়া আইবুড়ো মহিলার ইচ্ছে হল যুদ্ধের সময় সৈন্যদের জন্য কিছু দান করেন। মহিলা খুবেই ধনী। উনি গরম উলের আণ্ডারওয়ার নিজের হাতে সেলাই করতে বসলেন। তারপর তিনশ’ আণ্ডারওয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দপ্তরে পাঠিয়ে দিলেন।

কয়েকদিন পর সেনাদপ্তর থেকে চিঠি এল, “প্রিয় মহাশয়া, আপনার সহৃদয় দানের জন্য ধন্যবাদ। কিন্তু আপনি একটা ভুল করে ফেলেছেন। আণ্ডারওয়ারের সামনের দিকে প্রয়োজনীয় ‘ওপনিং’ রাখতে ভুলে গেছেন।”

ভদ্রমহিলা দু’দিন পর্ সৈন্যদপ্তরে জবাব লিখে পাঠালেন। উনি লিখেছেন,– “ওগুলো অবিবাহিত সৈন্যদের ব্যবহার করতে দিলে হয় না?”

কৌতুক ত্রিশ: তোমাদের মধ্যে একজনকে আজ চলে যেতে হবে !

একজন বিখ্যাত চিত্রতারকা রাত্তিরে বাড়িতে এসে দেখলেন তাঁর দু’জন প্রণয়ী ড্রঈংরুমে বসে আসে।

উনি বললেন,– দেখো, আজ সকাল থেকে কটকটে রোদ্দুরে আমি সুটিং করেছি। বড্ড ক্লান্ত এখন। তোমাদের মধ্যে একজনকে আজ চলে যেতে হবে।

কৌতুক একত্রিশ: ঠিক বলেছিস তো!

বৃদ্ধ মহেনবাবুর মাথায় মস্ত টাক। অফিসের সদ্যবিবাহিত যুবক গৌতম রসিকতা করে বলল,– মহেনদা, তোমার মাথায় টাকটা মাইরী আমার বৌর পাছার মতো মসৃণ।

মহেনবাবুর গম্ভীরভাবে নিজের টাকে দু’বার আস্তে আস্তে হাত বুলিয়ে বলল,– ঠিক বলেছিস তো রে। হুবহু তোর বৌর পাছার মতো মসৃণ।

কৌতুক বত্রিশ: তোমাদের চালাকি আমি জানি না ভাবছো?

হাট থেকে ফিরছিল বটুকমাঝির মেয়ে বাতাসী। হঠাৎ দেখল তাদের পাশের বাড়ির ছেলে নিমাইও হাট থেকে ফিরে যাচ্ছে। বাতাসী বলল,– নিমাইদা, তোমার সঙ্গে বাড়ি ফিরি। আপত্তি নেই তো?
নিমাই বলল,– আপত্তি কি, চল্।

সন্ধ্যা হয়ে গেছে। হাঁটতে হাঁটতে একটা নির্জন জঙ্গলে এসে বাতাসী বলল,– এখানে তোমার কাছে আমার ভয় হচ্ছে। তুমি যদি আমাকে একা পেয়ে জোর করে কিছু করে বসো।

নিমাই বলল,– কি বোকার মতো কথা বলছিস তুই। দেখছিস না আমার দু’হাতই বাঁধা। এক হাতে শাবল, মুরগী, বালতি, অন্য হাতে ছাগলটা নিয়ে যাচ্ছি। কি করে সম্ভব?

বা রে,– বলল বাতাসী,– আমি যেন ছেলেদের চিনি না। তুমি বুঝি ইচ্ছে করলে শাবলটা মাটিতে গেঁথে ছাগলটা তার সঙ্গে বাঁধতে পারো না, আর বালতিটা উল্টো করে তার নিচে মুরগীকে রাখতে পারো না? তোমাদের চালাকি আমি জানি না ভাবছো?

কৌতুক তেত্রিশ: ছেলেটির চাকরি হয়েছিল

একটা স্টেশনারী দোকানে একটি স্মার্ট ছেলে কাজ চাইতে এসেছে। ছেলেটি বলল,– প্লিজ আমাকে সেলসম্যানের একটা চাকরি দিন আমি খদ্দেরের চেহারা দেখে বলে দিতে পারি যে সে কি কিনতে এসেছে।

দোকানের মালিক : তাই নাকি? ঠিক আছে, দেখা যাক পরীক্ষা করে তুমি কতটা ঠিক অনুমান করতে পারো। ঐ যে ভদ্রলোক ঢুকছেন, উনি কি কিনবেন বলতে পারো? ছেলেটি আগন্তুককে দেখেই বলল,– উনি ব্লেড কিনতে এসেছেন।

দেখা গেল ভদ্রলোক ব্লেড কিনে চলে গেলেন।
দোকানের মালিক : ঐ যে মহিলা আসছেন?

ছেলেটি : উনি বোনবার জন্য উল কিনবেন। সম্ভবত সাদা রঙের।
সত্যি সত্যিই মহিলা সাদা উল কিনে চলে গেলেন।

দোকান মালিক : ঐ বাচ্চা ছেলেটা?
ছেলেটি : ও পেনসিল আর ড্রঈংবুক কিনবে। বাচ্চাছেলেটা সত্যি এ-দুটো জিনিস কিনে চলে গেল।

দোকানের মালিক : ঐ যে অ্যাংলোইণ্ডিয়ান মেয়েটা আসছে?
ছেলেটি : ইনি স্যানিটারী ন্যাপকিন কিনবেন। কিন্তু মহিলা এক বাক্স টয়লেট পেপার কিনে চলে গেলেন।

দোকানের মালিক : এটা কিন্তু তুমি মিস করেছো।
ছেলেটি বলল,– তা ঠিক। কিন্তু মাত্র ইঞ্চিখানেকের জন্য।

ছেলেটির চাকরি হয়েছিল।

কৌতুক চৌত্রিশ:

একটি উন্মাদ আশ্রমে একজন গণমান্য সরকারী কর্মসচিব পরিদর্শন করতে এসেছেন। একটি ঘরে একজন পাগলের সঙ্গে কথা বলে উনি মুগ্ধ হয়ে গেলেন। পাগলটাকে সম্পূর্ণ সুস্থ মনে হল।

সে বলল : স্যার, আমি সত্যি এখন সম্পূর্ণ আরোগ্য লাভ করেছি। তা সত্যেও এরা আমাকে এখানে বন্ধ করে রেখেছে।
কর্মসচিব বললেন,– আমি নিঃসন্দেহ আপনি সুস্থ হয়ে গেছেন। আমি এই পাগলখানার কর্মকর্তাদের বলব যাতে আপনাকে অবিলম্বে ছেড়ে দেয়।

সে বলল,– অজস্র ধন্যবাদ।
সরকারী অফিসার এইবার সে ঘরে ছেড়ে করিডর ধরে অন্যান্য রোগীদের দেখবার জন্য এগিয়ে গেলেন। এমন সময় হঠাৎ একটা আস্ত ইট এসে দুম করে মাথায় পড়ল কর্মসচিবের। মাথা ফেটে রক্ত বেরিয়ে গেল। পেছন ফিরে তাকাতেই দেখলেন সেই সুস্থ পাগলটি ইট মেরে দাঁড়িয়ে আছেন। লোকটা বলল,– মনে করে বলবেন কিন্তু স্যার, ভুলে যাবেন না যেন।

কৌতুক পঁয়ত্রিশ:

দু’টি নববিবাহিত দম্পতি হনিমুন করতে কাশ্মীর এসেছে। হোটেলে উঠেছে। সতীশ আর তার স্ত্রী বাসন্তী। অরুণ আর তার স্ত্রী অঞ্জলি।

খাবার টেবিলে দু’পরিবারের আলাপ হল। খানিকবাদে স্ত্রী দু’জন নিজ নিজ রুমে চলে গেল। স্বামী দু’জন খানিকক্ষণ কথা বলল, সিগারেট খেল তারপর শোবার জন্য নিজ নিজ রুমে যাবার জন্য প্রস্তুত হল। এমন সময় হঠাৎ হোটেলের ইলেকট্রিক লাইট অফ্ হয়ে গেল।

কোনরকমে অন্ধকারে হাতড়ে হাতড়ে ওরা রুমে পৌঁছে গেল। অরুণ ঘরে ঢুকে যাবার আগে প্রার্থনা করতে বসল। এটা তার চিরকালের অভ্যাস। মিনিট দশেক প্রার্থনা করার পর বিছানায় এসে বৌকে জড়িয়ে ধরল অরুণ।

সঙ্গে সঙ্গে লাইট ফিরে এল হোটেলে। আতঙ্কিত অরুণ তাকিয়ে দেখল সে ভুল ঘরে ঢুকেছে। বিছানায় সতীশের স্ত্রী বাসন্তী। তাড়াতাড়ি বিছানা ছেড়ে নেমে নিজের ঘরে যাবার জন্য দৌড় লাগাতে গেল অরুণ। কিন্তু চট করে হাতটা ধরে ফেলল,বাসন্তী। বলল,– এখন গিয়ে কোন লাভ নেই, দেরি হয়ে গেছে। আমার স্বামীর শোবার আগে প্রার্থনা করার অভ্যেস নেই।

কৌতুক ছত্রিশ:

একজন বিখ্যাত চোখের ডাক্তারের সত্তর বছর বয়েসের জন্মদিন ছিল। তাঁর কর্মযোগ্যতায় মুগ্ধ হয়ে তাঁর আরোগ্যপ্রাপ্ত পেশেণ্টরা একটা বিরাট পেইন্টিং প্রেজেন্ট করলেন ডাক্তারকে। পেইন্টিংটা হল একটা মানুষের “চোখ।” বিরাট সেই চোখের ছবির সামনে বসিয়ে রিপোর্টাররা ডাক্তারের অনেকগুলো ছবি তুললেন। তারপর একজন রিপোর্টার প্রশ্ন করলেন ডাক্তারকে,– আচ্ছা ডাক্তারবাবু,

ছবিটা প্রেজেন্ট পাবার পর আপনার প্রথম কি রিঅ্যাকসন হয়েছিল?
ডাক্তার বললেন,– আমার মনে হয়েছিল ভাগ্যিস আমি আই-স্পেশালিস্ট্ গাইনোকলোজিস্ট্ নই।

কৌতুক সাঁইত্রিশ:

এক বক্তৃতা সভায় একজন বক্তা দীর্ঘ ভাষণ শেষই করছিলেন না। সবাই রীতিমতো বিরক্ত হয়ে উঠল।
এক ভদ্রলোক বললেন,– আমি বক্তাকে অবিলম্বে বসিয়ে দিতে পারি।

পাশের ভদ্রমহিলা,– বসিয়ে দিন না। বড় উপকৃত হবো। প্রচণ্ড বোর্ হচ্ছি।

ভদ্রলোক সঙ্গে সঙ্গে একটা ছোট কাগজে স্লিপ লিখে বক্তার কাছে পাঠিয়ে দিলেন। বক্তা সে স্লিপের ওপর চোখ বুলিয়ে তাড়াতাড়ি আমতা-আমতা করে তাঁর ভাষণ শেষ করে বসে পড়লেন। ভদ্রমহিলা অবাক কণ্ঠে পাশের ভদ্রলোককে প্রশ্ন করলেন,– আশ্চর্য কাণ্ড, আপনি স্লিপে এমন কি লিখেছিলেন যে বক্তা চট্ করে বসে পড়লেন?

ভদ্রলোক,– বেশী কিছু না। শুধু চারটে কথা লিখেছি। আমি লিখেছিলাম—“আপনার প্যান্টের বোতাম খোলা”।

কৌতুক আটত্রিশ:

জনৈক মাতাল : কাল এত মাতাল হয়ে গিয়েছিলাম যে বৌকে জড়িয়ে ধরে বৌর নাভিতে পাগলের মতো চুমু খেয়েছি। বিশ্রী কাণ্ড মাইরী। এরকম মাতাল তুই কোনদিন হয়েছিস?

বন্ধু : আমি? এরচেয়েও বেশী মাতাল হয়েছি।

কৌতুক উনচল্লিশ:

ডাক্তার পেশেন্টকে দেখলেন ভালো করে। তারপর বললেন,– দেখুন, আমি ছবি এঁকে দেখাবো, আপনি ছবি দেখে কি মনে হয় জানাবেন আমাকে।

ডাক্তার একটা চক্র আঁকলেন। বললেন,–এটা কি?
পেশেন্ট : ছিঃ ছিঃ। একটা ছেলে ও একটা মেয়ে যাতা করছে।

ডাক্তার বললেন,–হুঁ। এইবার উনি একটা চতুষ্কোণ আঁকলেন। বললেন,–এটা কি?
পেশেন্ট : মেয়েটা ছেলেটাকে জড়িয়ে ধরে যা তা করছে। ডাক্তার এবার একটা স্বস্তিকা চিহ্ন আঁকলেন। বললেন,– এটা কি?

পেশেন্ট : এটা দু’টো ছেলে ও একটা মেয়ে যা তা করছে। ডাক্তার এবার গম্ভীর কণ্ঠে বললেন,–না, আপনার উপযুক্ত চিকিৎসার দরকার। আপনার খুবই নোংরা মন।
পেশেন্ট : আমার মন নোংরা? আপনি নিজে নোংরা-নোংরা অসভ্য ছবি আঁকছেন আর বলছেন কিনা আমার মন নোংরা?

কৌতুক চল্লিশ:

এক ভদ্রলোক মেয়ে মহলে খুব জনপ্রিয় ছিলেন। তাঁর এক বন্ধু তাঁকে প্রশ্ন করল,– তুই কি করে মেয়েমহলে এত পপুলার হয়েছিস বল তো?

ভদ্রলোক,–এতে কোন ট্রিক নেই। আমি মেয়েদের সঙ্গে ঘরোয়া প্রশ্ন করে থাকি যেমন ‘আপনি বিবাহিতা কি না’ যেমন ‘আপনার ছেলেমেয়ে কটি’ এই সব আর কি। তাতেই বেশ আলাপসালাপ জমে ওঠে। বুঝেছিস?
বন্ধু বলল,–ঠিক আছে।

পরে একদিন সেই বন্ধু ভদ্রলোক এক পার্টিতে গেলেন। সেখানে প্রচুর নামজাদা মহিলারা ছিলেন। ডিনার টেবিলে ভদ্রলোকের দু’পাশে দু’জন রূপসী মহিলা বসেছেন আলাপ জমাবার জন্য ভদ্রলোক এক মহিলার দিকে মুখ ঘুরিয়ে প্রশ্ন করলেন, মাফ করবেন, আপনি কি বিবাহিতা?

মহিলা বললে,–না।
ভদ্রলোক এবার প্রশ্ন করলেন—আপনার ছেলেমেয়ে কটি?
ভদ্রমহিলা বলা বাহুল্য রেগে টং।
ভদ্রলোক বুঝলেন কোথাও কোন ভুলচুক হয়েছে। উনি ভাবলেন অন্যভাবে ট্রাই করতে হবে। সুতরাং এবার অন্য পাশের মহিলার দিকে ফিরে প্রশ্ন করলেন,–মাফ করবেন, আপনার ছেলেমেয়ে ক’টি?

এই ভদ্রমহিলা জবাব দিলেন,–দু’টি।
ভদ্রলোক : আপনি কি বিবাহিতা?
মহিলা রেগে টেবিল ছেড়েই উঠে গেলেন।

কৌতুক একচল্লিশ:

নতুন নায়ক স্বাক্ষর করেছেন প্রযোজক কমলাক্ষবাবু। নায়কের নাম উজ্জ্বলকুমার। ছবির সুটিং শুরু হয়ে গেল। কিন্তু কমলাক্ষবাবু শুনলেন উজ্জ্বলকুমারের মেয়েছেলের রোগ আছে। প্রায়ই মেয়ে নিয়ে ফস্টিনস্টি করে বেড়ান। ক্ষেপে গেলেন উনি।

বললেন একদিন নতুন নায়ককে,–শোন হে, শুনছি তুমি খুবই উড়তে শুরু করেছো। মেয়ে নিয়ে ঘুরে বেড়াও। আমার কোম্পানীতে কাজ করলে এসব চলবে না। চরিত্রহীনতা আমি কিছুতেই বরদাস্ত করবো না। এসব শখ থাকলে তুমি এখনই বিদেয় হও। আমি অন্য হিরো সাইন করবো।

না না, প্লিজ,–উজ্জ্বলকুমার প্রায় কাঁদো কাঁদো হলেন,–আপনার পায়ে পড়ছি, আমাকে তাড়াবেন না। আমি মা কালীর দিব্যি কেটে বলছি, আর কোনদিন কোন মেয়ের দিকে আমি মুখ তুলে তাকাবো না। এবার ক্ষমা করে দিন।

কমলাক্ষবাবু বললেন,–ঠিক আছে। এখন ক্ষমা করলাম। ভবিষ্যতে যদি একদিনও দেখি তুমি মেয়েছেলের চক্কর করছো তাহলে তৎক্ষণাৎ তাড়িয়ে দেবো বলে রাখলাম।

ঠিক আছে,–বললেন উজ্জ্বলকুমার।

এর সাতদিন না যেতেই একদিন কমলাক্ষবাবু দেখলেন রাস্তা দিয়ে একটি মেয়ের কোমরে হাত দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন উজ্জ্বলকুমার। উজ্জ্বলকুমারও দেখতে পেলেন কমলাক্ষবাবুর নির্মম দৃষ্টি। সর্বনাশ। দৌড়ে কমলাক্ষবাবুর কাছে এসে বললেন উজ্জ্বলকুমার,–আপনি প্লিজ যা তা ভেবে বসবেন না। আমি কোন আজে বাজে মেয়ে নিয়ে স্ফুর্তি করছি না। ইনি হচ্ছেন আমার স্ত্রী।
তোমার স্ত্রী?—ফেটে পড়লেন কমলাক্ষবাবু,–লম্পট, রাসকেল এ হচ্ছে আমার স্ত্রী।

কৌতুক বিয়াল্লিশ:

স্ত্রী : আমি যখন গান গাইতে শুরু করি তুমি বারান্দায় ছুটে যাও কেন?
স্বামী : যাতে প্রতিবেশীরা ভুল করে না ভেবে বসে যে আমি তোমাকে পেঁদাচ্ছি আর তুমি চেঁচাছো, সেজন্যে।

কৌতুক তেতাল্লিশ:

গোপালবাবুর বাড়ি পুলিশ সার্চ করতে এল। সার্চ করতে করতে পুলিশ জালানোট ছাপার যন্ত্রপাতি, ডাই, রং ও অনেক কিছু আরও পেল। যদিও পুলিশ কোন জাল নোট পেল না সেখানে। পুলিশ বলল,–জাল নোট ছাপার অপরাধে আপনাকে আমরা গ্রেপ্তার করছি।

গোপালবাবু : একটাও জাল নোট কি পেয়েছেন আপনারা?

পুলিশ : না। কিন্তু ছাপবার যন্ত্র পেয়েছি। ছাপবার যন্ত্র থাকলেই আইনত আমরা আপনাকে গ্রেপ্তার করতে পারি।
গোপালবাবু : তাহলে একটি মেয়েকে পাশবিক অত্যাচারের অপরাধেও আমাকে গ্রেপ্তার করুন।
পুলিশ : আপনি কোন মেয়েকে রেপ্ করেছেন?
গোপালবাবু : না। কিন্তু রেপ করবার যন্ত্র তো আমার কাছে রয়েছে।

কৌতুক চুয়াল্লিশ:

জজসাহেব : আপনি বলছেন অমরবাবু ভাঙা বোতল হাতে নিয়ে আপনাকে আক্রমণ করেছিল?
বিষ্টুবাবু : হ্যাঁ হুজুর।

জজসাহেব : অমরবাবুর হাতে ভাঙা বোতল ছিল, কিন্তু আপনার হাতে কি কিছুই ছিল না?
বিষ্টুবাবু : থাকবে না কেন হুজুর। ছিল। অমরের বৌটাই তো ছিল আমার হাতে। কিন্তু ধর্মাবতার, ভাঙা বোতলের সামনে মেয়েছেলে আর কি করতে পারে বলুন?

কৌতুক পঁয়তাল্লিশ:

এক ভদ্রমহিলা একজন নামজাদা ডাক্তারকে ডিনার পার্টিতে নেমন্তন্ন করেছিলেন। জবাবে ডাক্তার একটা ছোট নোট লিখে পাঠালেন। নোটে উনি নেমন্তন্ন গ্রহণ করেছেন না গ্রহন করেন নি কিছুই বোঝা যাচ্ছিল না। ডাক্তারের হস্তাক্ষর, তাই কেউই তার পাঠোদ্ধার করতে পারছিল না।

একজন ভদ্রমহিলাকে পরামর্শ দিলেন,–এক কাজ করুন। কোন ওষুধের দোকানে গিয়ে পড়িয়ে নিন। ডাক্তারের হাতের লেখা ওরাই শুধু পড়তে পারে।

ভদ্রমহিলা ওষুধের দোকানে এসে সেই চিরকুটটা দেখালেন। দোকানদার নোটটা পড়ে সঙ্গে সঙ্গে এক শিশি ওষুধ এনে দিলেন ভদ্রমহিলাকে। বললেন—এই নিন ম্যাডাম। এর দাম হল আট টাকা পঞ্চাশ নয়া পয়সা।

কৌতুক ছেচল্লিশ:

জেলার : তুমি আজ ছ’মাস ধরে এ জেলে রয়েছো কিন্তু তোমার কোন আত্মীয়স্বজনের কোন চিঠি আসে না কেন?
কয়েদী : আমার সব আত্মীয়স্বজনরা জেলেই রয়েছে হুজুর, চিঠি কে লিখবে?

কৌতুক সাতচল্লিশ:

পাণ্ডুরঙ নতুন বিয়ে করে বৌকে নিয়ে টাঙ্গায় করে দেশে ফিরে যাচ্ছিল। ঘোড়াটা চলতে চলতে একবার হোঁচট খেল।
পাণ্ডুরঙ বলল,–একবার।
খানিকবাদে ঘোড়া আবার হোঁচট খেল।
পাণ্ডুরঙ বলল,–দু’বার।

রাস্তা খারাপ থাকায় ঘোড়াটা আবার হোঁচট খেল।
সঙ্গে সঙ্গে পাণ্ডুরঙ বলে উঠল,–তিনবার। বলেই পকেট থেকে রিভলবার বার করে দুম করে গুলী করে ঘোড়াটাকে মেরে ফেলল। স্বামীর নৃশংশতা দেখে নতুন বৌ রেগে চেঁচিয়ে উঠল,–মেরে ফেললে ঘোড়াটাকে? তুমি এত নিষ্ঠুর, এত অমানুষ। জানোয়ারের অধম তুমি। তুমি একটা পিশাচ।

রোষকষায়িত নেত্রে স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে পাণ্ডুরঙ শুধু বলল,–একবার।

কৌতুক আটচল্লিশ:

পরাশরবাবুর হোটেল ছেড়ে দিয়ে এয়ারপোর্ট এসে মনে পড়ল তিনি হোটেল রুমে তাঁর ছাতাটা ভুলে এসেছেন। প্লেনের অনেক সময় ছিল তাই উনি ট্যাক্সি করে হোটেলে ফিরে এলেন। নিজের রুমের কাছে এসে উনি শুনতে পেলেন রুমটা ইতিমধ্যে কোন নতুন দম্পতি বুক করেছেন। ওদের কথাবার্তা শোনা যাচ্ছিল বাইরে থেকে।

স্বামীর কণ্ঠ : এই রেশমের মতো চুলগুলো কার?
স্ত্রীর গদগদ কণ্ঠ : তোমার।
তারপরই একটা চুম্বনের শব্দ।

স্বামীর কণ্ঠ : এই সুন্দর চোখ দুটো কার?
স্ত্রীর কন্ঠ : তোমার।
আবার চুমুর শব্দ।

স্বামীর কন্ঠ : এই লাল টুকটুকে ঠোঁট দুটো কার?
স্ত্রীর কন্ঠ ; তোমার।
আবার চুমুর শব্দ।

স্বামীর কন্ঠ : এই মোমের মতো গলাটা কার?
স্ত্রীর কন্ঠ : তোমার।
আবার চুমু।
এবার আর থাকতে পারলেন না পরাশরবাবু। বাইরে থেকে চেঁচিয়ে বললেন,–আপনি যদি একটা ছাতা পান সেটা কিন্তু আমার।

কৌতুক উনপঞ্চাশ:

একজন মহিলার আঠারো থেকে বিশ বছর লাগে একটি ছেলেকে মানুষ করে তুলতে।
আবার একটি মেয়ের মাত্র বিশ সেকেণ্ড লাগে সে ছেলেটাকেই গাধা বানিয়ে ফেলতে।

কৌতুক পঞ্চাশ:

তাড়াতাড়ি বলতে পারেন এটা?
She sells seashells on the sea shore.
এবার নিচেরটা বলুন দেখি ঠিক উচ্চারণ করে।
A tutor who tooted the flutc, tried to teach two young tooters to toot.
Said the two to the tutor, “Is it harder to foot or the tutor two tooters to toot?

কৌতুক একান্ন:

একটি বারে বসে এক ভদ্রলোক খুব বিষণ্ণ মনে মদ খাচ্ছিলেন।
একজন এসে বলল,–আপনার বুঝি খুব মন খারাপ?

ভদ্রলোক : হ্যাঁ। আমার স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া হয়েছে আর স্ত্রী বলেছেন ত্রিশদিন আমার সঙ্গে কোন কথা বলবেন না।
দ্বিতীয় ব্যক্তি : সেটা তো ভালোই মশাই।
ভদ্রলোক : জানি। আজ সেই ত্রিশ দিন শেষ হয়ে যাবে।

কৌতুক বায়ান্ন:

ঘরে নতুন রঙ করা হচ্ছিল। রাত্তিরে স্বামী ভদ্রলোক অসাবধানে বেডরুমের দেয়ালে হাত লাগিয়ে ফেলেন, ফলে দেয়ালের কাঁচা রঙে দাগ লেগে গেল।

পরদিন সকালে স্বামী অফিসে চলে গেছেন। দশটা নাগাদ রঙওয়ালা এসে হাজির। তাকে দেখেই স্ত্রী এসে বললেন,–
ওহে রঙওয়ালা তুমি প্রথমে আমার বেডরুমে চলো, কাল রাতে আমার স্বামী কোথায় হাত লাগিয়েছিল সে জায়গাটা তোমাকে দেখাবো।
ভদ্রমহিলার কথা শুনে রঙওয়ালা ভির্মি খায় আর কি।

কৌতুক তিপান্ন:

একটি ছোট বাচ্চা মেয়ের অভ্যেস ছিল বুড়ো আঙুল মুখে দিয়ে চোষার। একদিন মা ধমক লাগালেন,–খর্বদার, আঙুল চুষবে না। আঙুল চুষলে কি হয় জানো, পেটটা ফুলে একেবার জয়ঢাক হয়ে যায়।

ভয়ে সে মেয়ে আঙুল চোষা বন্ধ করলো। কিছুদিন বাদে মা খেয়ে ট্রামে করে কোথাও যাচ্ছিলেন। সে ট্রামে একজন সন্তান-সম্ভবা মহিলা উঠলেন। তাকে দেখেই এই বাচ্চামেয়েটা চেঁচিয়ে উঠল সবাইকে শুনিয়ে-আমি জানি তুমি কি করেছ। বলবো না? বলবো কেন ওঁর পেটটা ফুলে গেছে।

ট্রামসুদ্ধ সবাইর চোখ কপালে। মা বেচারীর অবস্থা আরও কাহিল।

কৌতুক চুয়ান্ন:

সবচেয়ে ইণ্ডাস্ট্রিয়াল ডেভলাপমেন্ট কোথায় হয়েছে?
এর উত্তরে আমাদের সবজান্তা বন্ধু বলেছেন,–নারীদেহে।
অন্য আর কোথায় এত স্বল্প পরিসরে মিল্ক ডায়েরী ফার্ম, বেবি ফ্যাক্টরী, ওয়াটার ওয়ার্কস আর ফাটিলাইজার ফ্যাক্টরী পাবেন?

কৌতুক পঞ্চান্ন:

এক মাতাল রাস্তায় হোঁচট খেয়ে পড়ে গেল।
একজন পথচারী ভদ্রলোক তাকে তুলে ধরে ধরে বাড়ি পর্যন্ত পোঁছে দিল। বাড়িতে ঢুকে মাতাল বলল—আসুন স্যার।
আপনি এত ভালো লোক আপনাকে আমার বাড়ি ঘর দোর দেখিয়ে দিই। এটা আমার নিজের বাড়ি। এটা এটা হল আমার বৈঠকখানা।

ভদ্রলোক : সুন্দর ঘর।
মাতাল : এদিকে আসুন—এটা আমার ডাইনিং হল।
ভদ্রলোক : চমৎকার।
মাতাল : এদিকে আসুন। দেখুন, এটা আমার শোবার ঘর। ওটা আমার বিছানা। বিছানায় যে মেয়েটি দেখছেন ওটা হল আমার স্ত্রী আর আমার স্ত্রীকে জড়িয়ে ঐ যে লোকটা শুয়ে আছে সেটা হল আমি।

কৌতুক ছাপান্ন:

মিসেস চ্যাটার্জি : দেখুন অরবিন্দবাবু, আমি আপনাকে সাবধান করে দিচ্ছি, আর এক ঘন্টা পরেই আমার স্বামী ফিরে আসবেন।
অরবিন্দবাবু : কিন্তু মিসেস চ্যাটার্জি। আমি কোন কিছু অভদ্র বা অন্যায় আচরণ তো করছি না।
মিসেস চ্যাটার্জি : সেজন্যই বলছি। যদি করতে হয় তবে সময় আর বেশী নেই।

কৌতুক সাতান্ন:

নিত্যহরি সাহার বাড়িতে পেইংগেস্ট থাকত কানাই দত্ত। নিত্যহরি পেটক প্রকৃতির লোক। খাওয়া নিয়ে বস্ত। সুন্দরী বৌর প্রতিও তার কোন টান নেই। রীতিমতো বৌকে সে অবহেলা করে। একদিন রাত্তিরে খেজুর গুড়ের পায়েস হয়েছে। নিত্যহরি পুরো বাটিটাই টেনে নিল।

বৌকে না, এমন কি কানইকেও এক চামচ পায়েস খেতে দিলে না। কানাইয়ের এত খেতে ইচ্ছে করছিল, কিন্তু নিত্যহরি পায়েসের ভাগ দেবে না। এমন সময় ফোন এল নিত্যহরির এক্ষুনি নাইট ডিউটিতে যেতে হবে। নিত্যহরি পায়েসের বাটিটা ফ্রিজে তুলে রাখল। বলল,–পরে খাবো। কেউ ওতে হাত দেবে না।

তারপর তৈরি হয়ে সে বেরিয়ে গেল কাজে। রাত তখন একটা। নিত্যহরির বৌর ঘুম আসছিল না। বাইরে বৃষ্টির ঝিরঝির। রীতিমতো রোমান্টিক পরিবেশ। আর থাকতে না পেরে শাড়ি জামা কাপড় সব ছেড়ে ফেলে নগ্নদেহে সে এসে কানাইয়ের দরজার কড়া নাড়ল। কানাই দরজা খুলতেই ঘরে ঢুকে পড়ল নিত্যহরির বৌ, ফিসফিস করে কানাইকে বলল,–এই তোমার সুযোগ।

লোভে চকচক করে উঠল কানাইয়ের চোখ। সে প্রশ্ন করল,–সত্যি বলছেন বৌদি?
হ্যাঁ, সত্যি,–আবেশে বুঝে এল নিত্যহরিণীর গলা।

ঠিক আছে,–বলেই ভদ্রমহিলাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে বেরিয়ে এল কানাই। ডাইনিং রুমে এসে ফ্রিজ খুলে বার করল সেই পায়েসের বাটি। তারপর চুকচুক করে সবটুকু পায়েস চেটেপুটে খেয়ে নিল কানাই।

কৌতুক আটান্ন:

জুহুর সমুদ্র ধারে একজন সুন্দরী বেড়াছিলেন : হঠাৎ একটা দমকা হাওয়া এসে তার শাড়ি-টাড়ি বেলুনের মতো কোমরের উপর উঠে গেল। অতিকষ্টে মেয়েটি দু’হাতে কোনরকমে শাড়ি-টাড়ি নামিয়ে ঠিক করলেন। তখন দেখলেন এক ভদ্রলোক একদৃষ্টে তার এই দুর্দশা দেখছেন।

রুষ্টকন্ঠে মেয়েটি বললেন,–আমি দেখতে পাচ্ছি আপনি মোটেই জেন্টেলম্যান নন।
ভদ্রলোক জবাব দিলেন,–আমিও তাই দেখতে পেলাম।

কৌতুক উনষাট:

প্রযোজক একটি নবাগতা নায়িকা নিয়ে এলেন নায়কের কাছে।
প্রযোজক : দেখো সুযোগকুমার। মেয়েটি সদ্য গাঁ থেকে এসেছে।

খুবই সরল মেয়ে। জীবন কি, জীবনের ভালোমন্দ কি, কিছুই জানে না।
সুযোগকুমার : ঠিক আছে, ‘ভালো’ কি সেটা আপনি শেখান, আর ‘মন্দ’ কি সেটা আমি শিখিয়ে দেবো।

কৌতুক ষাট:

জনার্দন হেয়ার কাটিং সেলুন।
একটি যুবক এসে জিজ্ঞেস করল,–আমার আগে ক’জন আছে চুল কাটার বাকি?
জনার্দন বলল—পাঁচজন।
আচ্ছা,–বলে ছেলেটি চলে গেল।

দু’তিনদিন পর আবার সেই যুবক এসে দরজা দিয়ে মাথা বাড়িয়ে প্রশ্ন করল,–আমার আগে ক’জন চুল কাটার রয়েছে?
আট জন, জবাব দিল জনার্দন।
ছেলেটা জিজ্ঞেস করে চলে গেল কিন্তু পরে কখনও চুল কাটতে এল না। এরকম পর পর অনেক দিন ঘটতে থাকল।
জনার্দন ছেলেটার ব্যবহারে আশ্চর্য বোধ করতে লাগল।

আরেকদিন এসে ছেলেটি যেই একই প্রশ্ন করে জবাব শুনে চলে গেল জনার্দন একটা ছোকরাকে ডেকে বলল,–এই কালু, দেখতো লোকটা কোথায় যায়, ব্যাপারটা কি। যা যা, লোকটাকে ফলো করে আমাকে এসে জানা।
কালু চলে গেল। খানিক বাদে কালু ফিরে এলো। কিন্তু এসে কোন কথা বলল না।

জনার্দন : কি রে। ফলো করেছিস?
ঘাড় কাৎ করল কালু।
জনার্দন : কোথায় যায় বেটা?
কালু : তোমার বৌর কাছে।

কৌতুক একষট্টি:

মার্টিন এণ্ড ভটচারিয়া কোম্পানীর মালিক প্রাণকৃষ্ণ ভট্টাচার্য তার অফিসের সবচেয়ে বিশ্বাসী ও কর্মঠ কর্মচারী যোগেশ দত্তকে ডেকে পাঠালেন। যোগেশবাবু এসে করজোড়ে দাঁড়ালেন।

প্রাণকৃষ্ণবাবু : দেখুন যোগেশবাবু। আপনি সত্যি অফিসের সবচেয়ে হনেস্ট্ আর পরিশ্রমী কর্মী। আপনার কাজ দেখে আমি সত্যি সত্যি মুগ্ধ হয়েছি। পুরস্কারস্বরূপ এই নিন পাঁচ হাজার টাকার চেক।
যোগেশবাবু : পাঁচ হাজার টাকার চেক!
প্রাণকৃষ্ণবাবু : হ্যাঁ। ভবিষ্যতে যদি এভাবেই মন দিয়ে কাজ করে যান তবে কথা দিচ্ছি চেকটাকে আমি সাইনও করে দেবো।

কৌতুক বাষট্টি:

অপূর্ব বসু ভাব করেছে কিণ্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষায়িত্রী অনামিকা বিশ্বাসের সঙ্গে। একদিন জপিয়ে-টপিয়ে অপূর্ব নিয়ে গেল অনামিকাকে ডায়মণ্ডহারবার। সেখানে অনেক আদর-টাদর করে দু’জনের একবার প্রেমপর্ব সমাধা হয়ে গেল।
খানিকবাদে অপূর্ব দেখল অনামিকা কেঁদে চলেছে।

অপূর্ব : এ কি তুমি কাঁদছ কেন?
অনামিকা : দু’দুবার এরকম পাপ করার পর কাল কি করে নিষ্পাপ সরল শিশুদের সামনে দাঁড়িয়ে আমি পড়াবো বলতো? ভাবতেই আমার কান্না পাচ্ছে।
অপূর্ব : দু’দুবার? কিন্তু—
বাধা দিয়ে বলল অনামিকা,–বারে, যাবার আগে তুমি বুঝি আমাকে ছেড়ে দেবে?

কৌতুক তেষট্টি:

পঞ্চাশ বৎসর বয়েসের এক ধনী ক্যাসানোভা ভদ্রলোক পার্টিতে এসে কুড়ি বৎসরের সুন্দরী মেয়েটির হাত জড়িয়ে ধরে বললেন,– সুইটি, আমার জীবনে এতকাল তুমি কোথায় ছিল?

হাতটা ছাড়িয়ে নিয়ে মধুর হেসে মেয়েটি বলল,–আপনার জীবনের প্রথম ত্রিশ বৎসর আমি জন্মাইই নি।

কৌতুক চৌষট্টি:

ডাক্তার : আপনার স্বামীর সম্পূর্ণ বিশ্রামের প্রয়োজন। এই নিন স্লিপিং পিল।
ভদ্রমহিলা : এই পিল কখন দেবো আমার স্বামীকে?
ডাক্তার : স্বামীকে দেবেন না। এটা শোবার সময় আপনি নিজে নেবেন। তাহলেই আপনার স্বামীর বিশ্রাম হবে।

কৌতুক পঁয়ষট্টি:

পিতাম্বরবাবুর কুকুরের লোম উঠে যাচ্ছিল।
উনি প্রতিবেশী মোহন সিংকে ডেকে জিজ্ঞাসা করলেন,–আপনার কুকুরের যখন লোম উঠে যাচ্ছিল তখন তাকে আপনি তার্পিন তেল খাইয়েছিলেন না?

আজ্ঞে হ্যাঁ,–জবাব দিলেন মোহন সিং।
পিতাম্বরবাবু সে কথামতো নিজের কুকুরকে তার্পিন তেল খাওয়াছেন। কিন্তু কুকুরটা সঙ্গে সঙ্গে মরে গেল।
উনি চেঁচিয়ে মোহন সিংকে বললেন,–আপনি বলেছিলেন না আপনার কুকুরের লোম উঠে যাবার সময় কুকুরকে আপনি তার্পিন তেল খাইয়েছিলেন?

মোহন সিং বললেন,–হ্যাঁ, বলেছিলাম।
পিতাম্বরবাবু : কিন্তু আমার কুকুরটাকে খাওয়াতেই মরে গেল।
আমারটাও গিয়েছিল,–জবাব দিলেন মোহন সিং।

কৌতুক ছেষট্টি:

হোটেলে বিল শোধ করতে এলেন কল্যাণ সরকার। বিল দেখে চোখ চড়কগাছ।
কল্যাণ : এত টাকা? খাবারের আলাদা বিল? কিন্তু ম্যানেজারবাবু, আমরা তো হোটেলে একদিনও খাই নি।

ম্যানেজার : তাতে কি? খাবার হোটেলে ছিল। খান আর না খান বিল দিতেই হবে। আমাদের তাই নিয়ম।
কল্যাণ : সেক্ষেত্রে আমার স্ত্রীর সঙ্গে তিন রাত কাটবার জন্য আপনাকে টাকা দিতে হবে।

ম্যানেজার : আপনার স্ত্রীর সঙ্গে রাত কাটানোর জন্য? এ আপনি কি বলছেন? আপনার স্ত্রীকে আমি স্পর্শ পর্যন্ত করি নি।
কল্যাণ : তাতে কি? আমার স্ত্রী হোটেলেই ছিল। আপনি তার সঙ্গে রাত কাটান বা না কাটান আমাদের বিল দিতেই হবে। তাই নিয়ম।

কৌতুক সাতষট্টি:

বিখ্যাত ধনী প্লেবয় শেখর সেন লণ্ডন গেছেন। এক দোকানে ঢুকেছেন যেখানে বিরাট এক কম্পিউটার মেশিন রাখা আছে। দোকানের মালিক বললেন,–এই কম্পিউটা্র যন্ত্রটি সবজান্তা।

আপনার ভূত-বর্তমান-ভবিষ্যৎ সব বলে দিতে পারে। আপনি শুধু এই কার্ডে আপনার প্রশ্নটা লিখে শ্লটে ফেলে দিন অটোমেটিক জবাব টাইপ হয়ে বেরিয়ে আসবে।

শেখর বললেন,–ননসেন্স। আমি বিশ্বাস করি না। দোকানদার বললেন,–একবার ট্রাই করে দেখুন স্যার। শেখর অনেক ভেবেচিন্তে কার্ডে লিখলেন,–“আমার বাবা এখন কোথায়?” লিখে শ্লটে ফেলে দিলেন কার্ড। খানিকবাদেই জবাব বেরিয়ে এল। তাতে লেখা—“আপনার বাবা এখন কোলকাতার অজন্তা হোটেলে মুরগীর স্টু রান্না করছে।”

শেখর বললেন,–বলেছিলাম এসব বাজে। মেশিন আবার সবজান্তা হয় কখনও? সেজন্যই এই ভুল উত্তর এসেছে। আসলে আমার বাবা দু’বছর আগে মারা গেছেন।

দোকানদার বললেন,–এরকম ভুল তো এই কম্পউটার আগে করে নি। সত্যি অবাক কাণ্ড। এক কাজ করুন প্রশ্নটা অন্যভাবে আবার মেশিনে দিন, দেখা যাক দ্বিতীয়বার সঠিক জবাব আসে কিনা।

শেখর অনিচ্ছাসত্ত্বেও বললেন,–ঠিক আছে। দেখা যাক। এইবার কার্ডে শেখর লিখলেন,–“আমার মার স্বামী এখন কোথায়?”
কম্পিউটার মেশিন মারফত জবাব এল খানিকবাদে—“আপনার মার স্বামী দু’বছর আগে মারা গেছেন। কিন্তু আপনার বাবা এখন কোলকাতার অজন্তা হোটেলে মুরগীর স্টু রান্না করছে।”

কৌতুক আটষট্টি:

অরুণ ও পরিতোষ দুই বন্ধু কোলকাতা থেকে বোম্বে বেড়াতে এসেছে। ওরা জুহুর হোটেলে উঠেছে। রাত্তিরে ওরা পাশের ঘর থেকে স্বামী স্ত্রীর কথোপকথন শুনতে পেল। বলা বাহুল্য কথা শুনে বোঝা যাচ্ছিল পাশের ঘরের বাসিন্দা এক নববিবাহিত দম্পতি। ওরা দেয়ালে কান লাগিয়ে শুনছিল।

স্ত্রী : আলো বন্ধ করে দাও।

স্বামী : না। আমি তোমার স্বামী, আমাকে প্রাণ ভরে দেখতে দাও আজ। আহা, ঈশ্বর যেন নিজের হাতে তোমার রূপ গড়েছেন। মেঘের মতো কালো চুল, টলটলে দীঘির মতো চোখ, দুধেআলতা গায়ের রঙ, টিকলো নাক, কমলা লেবুর কোয়ার মতো ঠোঁট য্নে রসে টসটস করছে, দীর্ঘ গলা, অজন্তার ফ্রেসকোর মতো স্তন, সরু সিংহের মতো কোমর, মসৃণ তলপেট, ধনুকের বাঁকের মতো নিটোল নিতম্ব, কলাগাছের মতো পা।

সত্যি বলছি ডার্লিং, আজ যদি কোণারক মন্দির যাঁরা তৈরি করেছেন সেরকম ভাস্কর পেতাম তবে তাঁদের ডেকে এনে শ্বেত পাথরে তোমার নগ্ন মূর্তি গাড়িয়ে রাখতাম। এমন সময় দরজায় করাঘাতের শব্দ পাওয়া গেল। স্বামী উচ্চস্বরে প্রশ্ন করলেন,–কে?
: কোণারক থেকে দু’জন ভাস্কর,–জবাব পাওয়া গেল।

কৌতুক উনসত্তর:

একটি পার্কে দুটো স্ট্যাচু ছিল। একটি এপোলোর নগ্ন মূর্তি, অন্যটি ভেনাসের মূর্তি। কতদিন ধরে পার্কের পাথরের বেদীতে দু’জনের দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়েছিল। ঈশ্বরের একদিন কি মর্জি হল দু’টি পাথরের মূর্তিতে প্রাণসঞ্চার করে দিলেন। বেদী থেকে নেমে এল এপোলো, অন্য বেদী থেকে ভেনাস। দু’জনে দু’জনের কাছাকাছি এল। লজ্জাকন্ঠে ভেনাস বলল,–এখন আমরা কি করব?

প্রথমত—বলল এপোলো,–আমি এ অঞ্চলের যত পায়রা আছে ধরে আনব। তারপর সবগুলো পায়রার মাথার উপরে আমরা দু’জনে মিলে সে কাজটাই করব যা এতকাল এই গুলো আমাদের মাথার উপরে করে এসেছে।

কৌতুক সত্তর:

এক মাতাল এসে আরেক মাতালকে ডাকতে শুরু করল।
মাতাল : নরহরি—নরহরি, তুই বেঁচে আছিস?
নরহরি : কেন?

মাতাল : শ্যামবাজারের মোড়ে একটা ট্রাক একসিডেন্ট হয়েছে। একটা লোক মারা গেছে। আমি ভেবেছিলাম তুই।
নরহরি : আমি? কি জামা-কাপড় পরা আছে লোকটার?
মাতাল : নীল জামা।

নরহরি : তাহলে মনে হচ্ছে আমিই রে। আমার জামাও নীল।
মাতাল : লাল কালো ডোরা কাটা লুঙ্গি।

নরহরি : মা্ইরী, আমারও তো লাল কালো ডোরা কাটা লুঙ্গি। সর্বনাশ। আর পায়ে কি ছিল রে?
মাতাল : পায়ে ছিল ব্রাউন পাম্প শু।
নরহরি : না। তাহলে আমি নই। আমার পায়ে তো সবুজ রবারের চপ্পল।

কৌতুক একাত্তর:

একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে এক ভদ্রলোক এলেন। সোজা সেলসগার্লের কাছে এসে বললেন,–দেখুন আমার স্ত্রীর জন্য হাতের দস্তানা কিনতে এসেছি। কিন্তু হাতের সাইজ নাম্বারটা আনতে ভুলে গেছি।

মেয়েটি বলল,–এই নিন আমার হাত। এ হাত ধরে দেখুন এরকম সাইজ, না এর চেয়ে বড়? মেয়েটি তার নরম হাত ভদ্রলোকের হাতে তুলে দিল। ভদ্রলোক হাতটাকে টিপেটাপে হাত বুলিয়ে দেখে নিয়ে বললেন,–হ্যাঁ, মনে হচ্ছে আপনার হাতেরই সাইজ।

সেলসগার্ল মেয়েটি সে সাইজ অনুযায়ী দস্তানা বার করে দিলেন।
সেলসগার্ল : আর কিছু চাই?

ভদ্রলোক মেয়েটির দিকে তাকিয়ে বললেন,–হ্যাঁ। এখন মনে পড়েছে, আমার স্ত্রী তাঁর জন্য ব্রাও কিনে নিয়ে যেতে বলেছেন। ব্রার সাইজটাও আনতে ভুলে গেছি আমি।

কৌতুক বাহাত্তর:

জনৈকা : আমাদের ভাই দিনে কম করে ত্রিশ চল্লিশবার দাড়ি কামায়।
বান্ধবী : তোর ভাই পাগল নয় তো?
জনৈকা : না। নাপিত।

কৌতুক তিয়াত্তর:

ব্যস্ত প্রফেসর : পেনসিলটা কোথায় গেল বলো তো?
ছাত্র : ঐ তো আপনার কানের পেছনে।
প্রফেসর : আমি ব্যস্ত মানুষ। এখন আমার সময় নষ্ট করো না। কোন কানের পিছনে তাড়াতাড়ি বলো, কুইক।

কৌতুক চুয়াত্তর:

রেস্টুরেন্ট।
একজন মহিলা মেনু দেখছিলেন। হঠাৎ উনি লক্ষ্য করলেন বেয়ারা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পেছন চুলকাচ্ছে।
ভদ্রমহিলা : পাইলস্ আছে?
বেয়ারা : যা মেনুতে রয়েছে তাই অর্ডার করুন। মেনুর বাইরে কোন ডিশ পাবেন না।

কৌতুক পচাঁত্তর:

দুপুরবেলা।
পাগলখানার তিনজন কয়েদী পাথর ভাঙার কাজ করছিল। খানিকবাদে একজন ফোরম্যান সেখানে এসে দেখলেন একজন পাথর ভেঙে যাচ্ছে আর বাকি দু’জন নিশ্চল দাড়িয়ে আছে।

ফোরম্যান : এই তোমরা দু’জন দাঁড়িয়ে আছো কেন?
সে দু’জন জবাব দিল না। যে পাথর ভাঙছিল সে বলল,–এই দু’জন হল ল্যাম্প পোস্ট।

ফোরম্যান : ল্যাম্পপোস্ট? ঠিক আছে তোমাদের দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না। তোমরা ভেতরে যাও।
সে দু’জন চলে যেতেই যে পাগল পাথর ভাঙছিল সে কাজ বন্ধ করে দিল।
ফোরম্যান : এ কি, তুমি কাজ বন্ধ করে দিলে কেন?
পাগল : ল্যাম্পপোস্ট নেই, অন্ধকারে কি করে কাজ করব আমি?

কৌতুক ছিয়াত্তর:

এক সর্দরজীর পরপর পাঁচটি মেয়ে। পরের বারও আবার সেই মেয়েই হল। সর্দারজী খানিকক্ষণ মনমরা হয়ে রইল তারপর তার মাথায় এক আইডিয়া এল। সে সবাইকে টেলিগ্রাম করে দিল—তার ছেলে হয়েছে।
বন্ধুবান্ধব আত্মীয়স্বজন ভিড় করে এল। প্রচুর উপহার উপ-ঢৌকন দিল বাচ্চাকে। আদর করতে লাগল বাচ্চাকে।

একজন বলল : কপালটা একেবারে বাবার কাছ থেকে পেয়েছে।
আরেকজন : নাকটা আর থুতনিটাও বাবার কাছ থেকে পেয়েছে।
আরেকজন : হাত পায়ের গড়নটাও বাবার কাছ থেকে পেয়েছে।

এমন সময় বাচ্চা হিসি করে দিল। সঙ্গে সঙ্গে বাচ্চার আসল পরিচয় জেনে গেল সবাই।
একজন বলে উঠল,–এ কি সর্দারজী? তুমি না বলেছিলে যে—
বাধা দিয়ে বলল সর্দারজী,–মা’র কাছ থেকেও তো কিছু পাবে। সব কিছুই কি বাবার কাছ থেকে পাবে নাকি?

কৌতুক সাতাত্তর :

ডেন্টিস্টের চেম্বার।
দন্ত চিকিৎসক : ভয়ের কিছু নেই। চট করে আপনার দাঁতটা তুলে দেবো।

ভদ্রলোক : না না ডাক্তারবাবু, আমার ভয় করছে। প্লিজ ডাক্তারবাবু, আমি যন্ত্রণায় মরে যাবো। বড্ড ভয় করছে আমার।
ডাক্তার : ঠিক আছে, এক কাজ করছি। আপনি খানিকটা ব্র্যাণ্ডি খেয়ে নিন। ব্র্যাণ্ডি খেলে দেখবেন সাহস বেড়ে গেছে।
ভদ্রলোক ব্র্যাণ্ডি খেলেন।

এইবার ডাক্তার বললেন,–কি এখন সাহস বেড়েছে তো?

ভদ্রলোক : নিশ্চয় বেড়েছে। এখন দেখছি কোন শালা আমার দাঁত তুলতে আসে। দাঁতে হাত লাগাতে আসুন এক ঘুষিতে মুণ্ডু ঘুরিয়ে দেবো। বাপের নাম খগেন করে ছেড়ে দেবো।

কৌতুক আটাত্তর:

একটি মেয়ের প্রশ্ন : বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে শোবার সময় নববধুর কি করা উচিত? কম করে তিনটে জিনিসের নাম উল্লখ করবেন।
উত্তর : সিদুঁর, লিপস্টিক, আলতা।

কৌতুক উনআশি:

এক পার্টিতে একজন মহিলা ও এক প্রফেসরের তুমুল তর্ক হল। কোন বিষয়েই ওঁরা একমত নন। শেষে বিরক্ত হয়ে মহিলা বললেন—দেখুন। আমাদের দু’জনের প্রতিটি বিষয়ে মতভেদ। এমন একটাও বিষয় নেই যাতে আমরা একমত হতে পারি।
প্রফেসর বললেন,–আপনি ভুল করছেন। কেন হবে না, পৃথিবীতে বিষয়বস্তুর কি অভাব আছে।

মহিলা : একটিও বিষয় আপনি উল্লেখ করতে পারেন যাতে একমত হতে পারি?

প্রফেসর : কেন নয়। ধরুন এক বৃষ্টির রাত। আপনি একা গাড়ি করে যাচ্ছেন। রাস্তা জলে ডুবে গেছে। গাড়ি ছেড়ে একটি বাড়িতে আপনি কড়া নাড়লেন। সে বাড়ি এক রাজকুমারীর। উনি বললেন,–“বিপদে পড়েছেন, রাতটা এখানেই কাটিয়ে যান।”

আপনি রাজি হলেন। সেখানে দু’টোই বিছানা। এক বিছানায় রাজকুমারী শুয়েছেন অন্য ঘরে অন্য বিছানায় তাঁর পশ্চিমী চাকর জোয়ান ছোকরা গঙ্গুমল শুয়ে আছে। এরকম পরিস্তিতিতে আপনি কার সঙ্গে শোবেন?

মহিলা বিরক্তকন্ঠে বললেন,–এ আবার কি ধরনের প্রশ্ন। বলা বাহুল্য আমি সেই রাজকুমারীর সঙ্গেই শোব।
হেসে বললেন প্রফেসর,–আমিও তাই শোব। এবার দেখলেন তো এক বিষয়ে আমরা একমত হতে পারি কিনা?

কৌতুক আশি:

বাসে একজন মাতাল টলতে টলতে উঠে পড়লেন।
বাস চলতে শুরু করল। মাতালটা পাশের ভদ্রলোককে বললেন,–আচ্ছা দাদা, আমি কি বাসে উঠেছি?

সহযাত্রী : হ্যাঁ মশাই উঠেছেন।
মাতাল : আপনি কি আমাকে চেনেন দাদা?
সহযাত্রী : না।
মাতাল : তাহলে আপনি কি করে জানলেন যে আমিই বাসে উঠেছি।

কৌতুক একাশি:

চাকরির জন্য একটি মেয়ে দেখা করতে এসেছে। শিক্ষয়িত্রীর চাকরি। স্কুল বোর্ডের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ইন্টারভিউ। সার্টিফিকেট ইত্যাদি দেখে প্রেসিডেন্ট বললেন,–দেখুন, আপনি কি কুমারী?

মেয়েটি : নিশ্চয়ই। দেখছেন না আমি নামের আগে মিস্ লাগিয়েছি।

প্রেসিডেন্ট : শুনুন আমাদের স্কুলের খুব কড়া নিয়ম। আপনার শুধু মুখের কথায় কাজ হবে না। প্রমাণ চাই। আপনি যে কুমারী তার প্রমাণপত্র চাই তবে কাজ পাবেন।
মেয়েটি : আমাকে আপনি অপমান করছেন স্যার।

প্রেসিডেন্ট : আমি নিরুপায়। প্রমাণপত্র চাই।
মেয়েটি রেগে বেরিয়ে এল। সেদিনই এক ডাক্তারকে খোঁজ করল মেয়েটি। নিজেকে পরীক্ষা করিয়ে ডাক্তারের কাছ থেকে সার্টিফিকেট লিখিয়ে নিল। ততক্ষণে ছ’টা বেজে গেছে। তাই সেদিন না গিয়ে পরদিন কাঁটায় কাঁটায় দশটায় স্কুল প্রেসিডেন্টের অফিসে গিয়ে দেখা করল মেয়েটি। ডাক্তারের সার্টিফিকেট টেবিলে : উপর ফেলে রাগতকণ্ঠে বলল,–এই নিন আমার কুমারীত্বের মেডিক্যাল সার্টিফিকেট। এবার তো আর সন্দেহের অবকাশ নেই। প্রমানপত্র চেয়েছিলেন প্রমানপত্র দিলাম।

সার্টিফিকেটটা খুলে পড়লেন প্রেসিডেন্ট, তারপর ধীরে ধীরে মাথা নেড়ে বললেন,–এটাতে তো চলবে না।
মেয়েটি,–চলবে না? কেন?
প্রেসিডেন্ট বলল,–এতে তো গতকালের তারিখ দেওয়া আছে।
মেয়েটি নিজে অজ্ঞান হয়েছিল না প্রেসিডেন্টকে অজ্ঞান করে দিয়েছিল সে খবর আমার জানা নেই।

কৌতুক বিরাশি:

অমিত তার গার্লফ্রেণ্ড তিলোত্তমাকে নিয়ে গাড়ি করে যাচ্ছিল। এক সময়ে অমিতের কাছ ঘেঁষে এসে মাথা নীচু করে আদুরে কন্ঠে তিলোত্তমা বলল,–অমিত, আমার যে জায়গায় এপেনডিসাইটিস অপারেশন করা হয়েছিল সে জায়গাটা তুমি দেখতে চাও।

লোভে চকচক করে উঠল অমিতের চোখ। লোভী কন্ঠে বলে উঠল,–দেখাবে তিলু, সত্যি দেখাবে আমাকে?
কেন দেখাবো না,–বলল তিলোত্তমা,–ঐ দেখো, ঐ যে মোড়ের মাথায় দেখছো চৌরঙ্গী হসপিটাল, ঐ জায়গায় হয়েছিল আমার এপনডিসাইটিস অপারেশন।

কৌতুক তিরাশি:

টেলারের দোকান।
স্ত্রী : আমার স্বামীর প্যান্টটা তৈরি হয়ে গেছে?
দর্জি : না। একটু বাকি আছে মেমসা’ব। একটা কথা জিজ্ঞেস করছি, প্যান্টের সামনে বোতাম রাখব না জিপ ফাসনার রাখবো?
স্ত্রী : বোতামই রাখো। একটা জার্কিনে ওঁর জিপ্ ফাসনার লাগানো ছিল, তাতে দু’বার ওঁর টাই আটকে গিয়েছিল।

কৌতুক চুরাশি:

দার্জিলিংএ সুন্দর পাহাড়ী রাস্তা দিয়ে হাঁটছিল শম্ভু। হঠাৎ একটা দৃশ্য দেখে সে অবাক হয়ে গেল। সে দেখল একটি অপুর্ব সুন্দরী মেয়ে সম্পূর্ণ নগ্ন অবস্থায় দৌড়ুচ্ছে আর তার পেছনে তিন জন লোক দৌড়ুচ্ছে। তিনজনের মধ্যে সবচেয়ে যে পেছনে দৌড়ুচ্ছে তার দু’হাতে দুটো বালিভর্তি বালতি। শম্ভু থাকতে না পেরে সেই লোকটাকে প্রশ্ন করল,–ব্যাপারটা কি মশাই?
লোকটি বলল,–এই মেয়েটি মেয়েদের পাগলাগারদ থেকে পালাবার চেষ্টা করছে আর আমরা সে গারদের ওয়ার্ডেন আমরা ধরবার জন্য ছুটছি।

শম্ভু : কিন্তু আপনার হাতে বালিভর্তি বালতি কেন?
লোকটি : আরও তিনবার মেয়েটি এভাভে পালাবার চেষ্টা করেছিল। প্রতিবার আমিই ওকে ধরেছি। সেজন্যে এবার আমাকে
এই হ্যাণ্ডিক্যাপ দেওয়া হয়েছে। বলে লোকটা হাঁপাতে হাঁপাতে দৌড়ুতে শুরু করে দিল।

কৌতুক পঁচাশি:

একটি মেয়ে সিমলা থেকে পড়ত। বোম্বেতে তার বড়লোক ডাক্তার বাবা থাকতেন। বাবাকে একবার মেয়েটি লিখল বাবা যেন টাকা পাঠান সে একটা বাইসাইকেল কিনতে চায়। বাবা টাকা পাঠালেন। তাতে মেয়েটি একটা সাইকেল কিনল। এরপরও টাকা বেঁচেছিল তাই মেয়েটি সে বাকি টাকা দিয়ে একটা পোষা বাঁদরের বাচ্চা কিনল। যত্ন করে পালতে লাগল সে বাঁদর ছানাকে কিন্তু হঠাৎ একদিন দেখল তার বাঁদরের লোম ঝরে যাচ্ছে।

(বাবাকে সে অবশ্য জানাতে ভুলে গিয়েছিল যে সে এই বাঁদরের বাচ্চা কিনেছে) যাই হোক, মেয়েটা ভাবল বাবা ডাক্তার মানুষ, নিশ্চয়ই কোন ওষুধ লিখে জানাবেন তার বাঁদরের জন্য। মেয়েটা টেলিগ্রাম করল,–MY MONKEY IS LOOSING HAIR WRITE WHAT TO DO.
পরদিনেই জবাব এল—SELL THE BICYCLE FIRST.

কৌতুক ছিয়াশি:

এক পাগলের অভ্যাস ছিল গুলতি দিয়ে যে কোন কাঁচের জানালা সে ভেঙে ফেলত। তাকে ধরে মানসিক চিকিৎসালয়ে নিয়ে আসা হল। এক বৎসর চিকিৎসার পর ডাক্তারদের ধারণা হল সে রোগমুক্ত হয়েছে। তাকে ছেড়ে দেওয়া যায়। ছাড়বার আগে শেষ পরীক্ষা করার জন্য ডাক্তারদের চেম্বারে তাকে ডেকে আনা হল।

ডাক্তার : শুনুন স্যার, আমাদের ধারণা আপনি সম্পূর্ণ আরোগ্য হয়েছেন। তাই আপনাকে ছেড়ে দেওয়া হবে। এবার আপনি বলুন এখান থেকে ছেড়ে দেবার পর আপনি কি করবেন?
রুগী : আমি? সত্যি, বলব?

ডাক্তার : বলুন।
রুগী : প্রথমে ভালো এক স্যুট কিনব। তারপর সেটা পরে আমি তাজমহল হোটেলে যাবো ডিনার খেতে।
ডাক্তার : গুড। নর্মাল ব্যাপার। তারপর?
রুগী : তারপর সেখানে সুন্দরী এক সোসাইটি গার্লকে বলব “মে আই হ্যাভ এ ডান্স উইথ ইউ?” মেয়েটা রাজী হলে তার সঙ্গে বেশ খানিকক্ষণ নাচব।

ডাক্তার : গুড নর্মাল। তারপর?
রুগী : তারপর তাকে ডিনার খাওয়াব। কনিয়াক্ খাওয়াবো।
ডাক্তার : বেশ কথা। তারপর?
রুগী : তারপর তাকে হোটেলের একটা কামরায় নিয়ে আসব।
নীল আলো জ্বালিয়ে দেবো। শ্লো মিউজিক চালিয়ে দেবো।

ডাক্তার : এবসোলুটলি নর্মাল সব কিছু। তারপর?
রুগী : তারপর ধীরে ধীরে তার শাড়ি খুলব। ব্লাউজ খুলব। ব্রা খুলব। পেটিকোটটা ধীরে ধীরে নামিয়ে আনব পা থেকে।
ডাক্তার : নাথিং রং। খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। তারপর?
রুগী : এইবার মেয়েটির শরীরে শুধু বাকি রয়েছে তার গোলাপী আণ্ডারওয়ার। ধীরে ধীরে তার সেই সিল্কের আণ্ডারওয়ারটা খুলে নেব আমি।

ডাক্তার : তারপর?
রুগী : তারপর আণ্ডারওয়ার থেকে ইলাসটিকের ডুরিটা খুলে নেব আমি। সেই ইলাসটিক্ দিয়ে আমি নতুন গুলতি বানাবো, আর সেই গুলতি দিয়ে বোম্বের যত কাঁচের জানালা আছে সব ভেঙে চুরমার করে দেবো আমি।
ডাক্তার : নিজে যাও পেশেন্টকে। বন্ধ করে রাখো ওকে। হি ইজ এজ্ সিক এজ্ রিফোর। নো ইমপ্রুভমেন্ট।

কৌতুক সাতাশি:

মেয়েদের হোস্টেল পরিদর্শন করতে এসেছেন জনৈক মন্ত্রী। সঙ্গে মেয়ে কলেজের প্রিন্সিপাল সরমা নন্দী।

ওঁরা হোস্টেলে ঢুকেই চমকে উঠলেন। সব মেয়েরা তাদের শাড়ি কোমরের উপর তুলে গুঁজে রেখে ঘুরে বেড়াচ্ছ। রেগে ফেটে পড়লেন সরমা নন্দী। বললেন,–একি অসভ্যতা। তোমাদের মাথা খারাপ হয়েছে? শাড়ি তুলে ঘুরছ কেন সবাই?
একটি মেয়ে মিনমিন করে বলল,–খানিক আগে আপনি ফোন করেছিলেন না যে মন্ত্রীমশাই হোস্টেল পর্যবেক্ষণে আসছেন, প্রত্যেক মেয়ে যেন নিজের নিজের শাড়ি তুলে গুঁজে রাখে।

চেঁচিয়ে উঠলেন সরমা নন্দী,–শাড়ি তুলে গুঁজে রাখতে আমি মোটেই বলি নি। নামাও শাড়ি, শিগগির নামাও। তুমি কি কানে কম শোন? আমি ফোনে বলেছিলাম প্রত্যেক মেয়ে যেন নিজের নিজের মশারী তুলে গুঁজে রাখে।

ঘোষণা [ Disclaimer ]:

এক বয়সে শচীন ভৌমিক দারুণ আনন্দ দিয়েছেন আমাদের। বয়স হবার আগে চুপি চুপি পড়ে ফেললাম তার “ফর এডাল্টস্ ওনলি”। এখন সময় বদলে গেছে। এখনকার যুবকেরা তো দুরে থাক, কিশোর তরুণরা এই সাহিত্যে কোন আগ্রহ পাবেন না জানি। তারপরে প্রিয় বলে সাইটে উঠিয়ে রাখলাম। হঠাৎ মনে পড়লে যেন একবার দেখা যায়। বা আমাদের সেই সময়ের কেউ যদি আবার পড়ে আনন্দ পান। এর সব কৌতুক যে আমার পছন্দ, তা নয়। তবে পাঠক পুরোটা চাইতে পারেন বলে কিছু বাদ দিলাম না।

শচীন ভৌমিক কে আরও পড়ুন:

 

2 thoughts on “বাংলা কৌতুকী সংগ্রহ [ কৌতুক ]- শচীন ভৌমিক [ Bangla Jokes Collection – Sachin Bhowmick]”

Leave a Comment