ওয়ান টাইম বিজনেস মাইন্ড – শিষ্টের পালন এবং উৎসাহ দেবার পাশাপাশি দুষ্টের দমন শুরুর সময় এসেছে !

আমাদের নতুন উদ্যোক্তাগুলোর অনেকেই দেখি ওয়ান টাইম বিজনেস লাইনে হাঁটছেন।

কারও সাথে ব্যবসা করবে জীবনে একবার। তাই বাজে প্রডাক্ট বা সার্ভিস দেব, নতুনের বদলে পুরনো দেবে, স্পেক নিয়ে ঘাপলা করবে এবং দাম নিতে গিয়ে গলা কাটাবে। এরপর অন্য কাস্টমার খুঁজবে।

ব্যবসায় লাভ লস হতে পারে। এজন্যই সিড-ফান্ড, ভেণ্চার-ক্যাপিটাল, প্রাইভেট ইকুইটি বা বিজনেস ডেভেলপমেন্ট লোণ সব সময় ঝুঁকিপূর্ণ। যারা এটা দেন, তারা জেনেই দেন। কিন্তু উদ্যোক্তারা এটা খুব সিরিয়াসলি নেবার কথা এবং রেপুটেশনের জন্য এটা ফেরত দেবার চেষ্টা সবচেয়ে বেশি থাকার কথা। কিন্তু এসব উদ্যোক্তাদের মানসিকতাটা কেন যেন চেনা যাচ্ছে না। তারা যেন এক পার্টির কাছ থেকে জীবনে একবার ফান্ড নেবে। সেজন্য ফেরত দেবার বদলে, ধুনফুন একটা হিসেব দিয়ে শোধ করবে। অথচ কিছুদিন পরে দেখা যাবে নতুন অফিস নিচ্ছে, গাড়ি কিনছে। যেন “ভাঙ্গা-সুটকেস” কেস !

এতদিন ভাবতাম- এরকম কেসগুলো নিয়ে কথা বললে, নতুন উদ্যোক্তাদের প্রতি লোকের বাজে ধারনা তৈরি হবে, হাতে গোনা কিছু বেকুবের কারণে অনেক ভাল মানসিকতার নতুনরা সুযোগ হারাবে। এজন্য নিজের এক্সপেরিয়েন্স বলতাম/লিখতাম না, অন্যদেরকেও অনুৎসাহিত করতাম। কিন্তু মনে হচ্ছে সেই ভাবনাটা সাহায্য করার বদলে ব্যাক-ফায়ার করছে। এরা তো একদিন ডুববেই (এমন ডোবা যে ক্রেন দিয়ে টেনে তোলা যাবে না) আমি নিশ্চিত, কিন্তু মনে হচ্ছে এর বহু জনকে নিয়ে ডুববে।

তাই আমার দৌড়া দৌড়ী একটু কমলে এটা নিয়ে কাজ শুরু করবো। নিজের অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখবো এবং অন্যদের উৎসাহ দেব।
কাস্টমার এবং ইনভেস্টরদের একটা ফিডব্যাক দেবার প্ল্যাটফরম বানাবো। যেখানে নেগেটিভ রেটিং করা যাবে।
ইনফরমাল বিজনেস ফান্ডিং ডিফল্টার দের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক এর সিআইবির মতো একটা প্লাটফরম বানাবো। যেন কোন বিনিয়োগকারী বিনিয়োগ করার আগে ডিফল্টারের তালিকা দেখে নিতে পারেন। একইভাবে কাস্টমাররা যেন প্রডাক্ট সার্ভিস কেনার আগে সেই তালিকা থেকে চেক করে নিতে পারেন।

শিষ্টের পালন এবং উৎসাহ দেবার পাশাপাশি দুষ্টের দমন শুরুর সময় এসেছে।

সকল নবীন উদ্যোক্তাদের জন্য শুভকামনা।

Leave a Comment