আমাদের সরকারি সিস্টেম : এই “ঢিট” সিস্টেম নিয়ে আমরা কিভাবে আগাবো?

সরকারি কাজে উঁচু পর্যায়ের হস্তক্ষেপ দরকার হয়, কারণ মাঝে যারা থাকেন, তারা কেউ নিজ উদ্যোগে ভালো কিছু করতে চান না। এমনকি করতে দিতেও চান না।
আর এই মাঝের স্তরটাই মূলত সিস্টেম। উপরের দায় সরকারের, নিচের দায় মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের। মাঝে তারা সবচেয়ে সুরক্ষিত।
উপরের সরকার আসে, যায়।
নিচের দিকে তরুণ রা যোগ দিয়ে শুরুতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিতে চায়। সেসময় সিস্টেম তাকে এমন সাইজ করে, সে খুব দ্রুতই লাইনে আসতে বাধ্য হয়। সেই লাইনে যারা ঢোকে, তারা একসময় সেই সিস্টেমের পাহারাদার হয়ে যায়। বাকিদের অগুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সরিয়ে দেয়া হয়।

গত ৩ বছর ধরে, একটি সরকারি সংস্থার প্রধান ব্যক্তিকে নিয়মিত অনুরোধ করছি, তারা যেন তাদের একটি নিজস্ব ফেসবুক পেজ তৈরি করে, অফিশিয়াল ঘোষণা করে, ভেরিফাই করিয়ে, সকল তথ্য সেটার মাধ্যমে নিয়মিত প্রকাশ করে। পেজ দেখভাল করার জন্য একজন সুনির্দিষ্ট কর্মকর্তাকে যেন লিখিত ভাবে দায়িত্ব দেয়। কিন্তু কোন ভাবেই তাদের দিয়ে সেটা করাতে পারলাম না। অথচ তাদের নামে সামাজিক গণমাধ্যমে অসংখ্য পেজ ও গ্রুপ আছে। সেগুলো দিয়ে বিভিন্ন জন বিভিন্ন ইন্টারেস্টে কাজ করছে। যার মাধ্যমে মানুষ প্রতিনিয়ত বিভ্রান্ত এবং প্রতারিত হচ্ছে। সেই দপ্তরের সাথে বিভিন্ন ভাবে প্রায় ৪ কোটি মানুষ জড়িত।

এই কাজটি করতে কিন্তু কোন খরচ নেই। কিন্তু তারা সেটা করবে না। বারবার বললেও “ঢিট” এর মতো বসে থাকবে। নড়বে না। ৫০ বছরে আমরা এই “ঢিট” সিস্টেমটা বানিয়েছি। কিন্তু বাংলাদেশ যে গতিতে আগাচ্ছে, এই ঢিট সিস্টেম দিয়ে বেশিদিন গভার্ণ করা যাবে না।

“লি-কোয়ানো” মরার আগে সিঙ্গাপুরের ভবিষ্যৎ সকল সরকারের জন্য একটি উপদেশ দিয়ে গিয়েছেন “যতদিন তোমরা একটা যুগোপযোগী কার্যকর (Modern & Functional) সিস্টেম রাখতে পারবে, এবং সারা পৃথিবী থেকে মেধাবীদের আকর্ষণ করতে পারবে, ততদিন সিঙ্গাপুর নিরাপদ এবং উন্নতি করতে থাকবে”। তাকে নানা করনে অপছন্দ করলেও তার এই কথাটি অপছন্দ করার কোন সুযোগ নেই।

এই “ঢিট” সিস্টেম নিয়ে আমরা কিভাবে আগাবো?