কুষ্টিয়া জেলার যেসব দর্শনীয় স্থান রয়েছে তার বেশিরভাগ কুমারখালী উপজেলায়। কুমারখালীর দর্শনিয় স্থানগুলো এখানে আপডেট করা হবে।
কুমারখালীর দর্শনিয় স্থান | কুমারখালী উপজেলা | কুষ্টিয়া জেলা
কাঙ্গাল হরিনাথ মজুমদারের প্রেস:

কাঙ্গাল হরিনাথ মজুমদার বাংলাদেশের সংবাদপত্র প্রকাশ ও সাংবাদিকতার অগ্রদূত বলা হয়। ১৮৬৩ সঙ্গে ‘গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা’ নামে পত্রিকা প্রকাশ করেন। ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি এ পত্রিকার মাধ্যমে। সে সময়কার তার প্রেসটি এখনো আছে এখানে। প্রেসটি ‘এম এন প্রেস’ নামে পরিচিত ছিল। সে সময়কার ছাপাখানার অক্ষরগুলোও রয়েছে যাদুঘরে। ঐতিহাসিক ছাপার যন্ত্র এমএন প্রেসের মডেল, কিছু যন্ত্রাংশ, বাংলা টাইপ অক্ষর, ছবি ও কিছু পাণ্ডুলিপিসহ বেশকিছু কালের সাক্ষী জাদুঘরে স্থান পেয়েছে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি ও জাদুঘর :
কুষ্টিয়ার কুমারখালি উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের খোরেশদপুর গ্রামে অবস্থিত কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহাসিক বাড়িটিই শিলাইদহ রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি (Rabindranath Tagore’s Shilaidaha Kuthibari) নামে পরিচিত। কুষ্টিয়া শহর থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ির দূরত্ব মাত্র ১৫ কিলোমিটার। প্রায় ৩৩ বিঘা আয়তনের রবীন্দ্র কুঠিবাড়ির মূল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে আড়াই বিঘা জমিতে। ৩ তলা বিশিষ্ট রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়িতে সর্বমোট ১৮ টি কক্ষ আছে। ভবনের তৃতীয় তলায় ছিল কবির লেখার ঘর। আর এই কুটিবাড়ির ছাদ থেকে কবি সুর্যোদয়, সূর্যাস্ত এবং জ্যোৎস্না উপভোগ করতেন।
লালন শাহ এর মাযার :
আধ্যাত্মিক সাধক লালন শাহ’র কুমারখালীর ছেঁউড়িয়াতে আশ্রয় লাভ করেন এবং পরবর্তীকালে ছেঁউড়িয়াতে মৃত্যুর পর তাঁর সমাধি স্থলেই এক মিলন ক্ষেত্র (আখড়া) গড়ে ওঠে। ফকির লালন শাহের শিষ্য এবং দেশ বিদেশের অগনিত বাউলকুল এই আখড়াতেই বিশেষ তিথিতে সমবেত হয়ে উৎসবে মেতে উঠে। এই মরমী লোককবি নিরক্ষর হয়েও অসংখ্য লোক সংগীত রচনা করেছেন। বাউল দর্শন এখন কেবল দেশে নয়, বিদেশের ভাবুকদেরও কৌতুহলের উদ্রেক করেছে। ১৯৬৩ সালে সেখানে তার বর্তমান মাজারটি নির্মাণ করা হয় এবং তা উদ্বোধন করেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্ণর মোনায়েম খান। ২০০৪ সালে সেখানেই আধুনিক মানের অডিটোরিয়ামসহ একাডেমি ভবন নির্মাণ করা হয়।
মুঘল আমলে নির্মিত বালিয়াকান্দি শাহী মসজিদ,
মুঘল আমলে নির্মিত কুশলিবাসা শাহী মসজিদ,
মিয়াজান কাজীর মসজিদ (১৮৪০),
তেবাড়িয়া তিন গম্বুজ মসজিদ (১৮৮৯),
কুমারখালী বড় জামে মসজিদ (১৮৯০),
শেরকান্দি হাজীর মসজিদ (১৮৮৭),
বাটিকামারা জামে মসজিদ,
খোরশেদপুর গোপীনাথ মন্দির (১৭৩৫),
রাজা সীতারামের মঠ
5 thoughts on “কুমারখালীর দর্শনিয় স্থান | কুমারখালী উপজেলা | কুষ্টিয়া জেলা”
Comments are closed.