ক্যারিয়ার গাইড : যাদের লোক দরকার,তারা বহু চেষ্টা করেও বাজার থেকে যোগ্য লোক খুঁজে পাচ্ছেন না। প্রতি জন চকুরি দাতা প্রায় সবসময় এই কথাই বলেন। অপরদিকে চাকুরি প্রার্থিরা অনেক কষ্ট করে লেখা পড়া করছে। ডিগ্রি পাবার পরে নিজেকে চাকরির যোগ্য ভাবছে। কিন্তু সেই প্রার্থী ইন্টারভিউ এর পরে ইন্টারভিউ দিয়ে চাকরি পাচ্ছেন না। ঝামেলার কথা হচ্ছে – এই দুই পক্ষের তুটি তথ্যই সম্পুর্ন সত্য। কিন্তু সেই সত্য মেনে নিলে আবার হিসেব মেলে না। তার মানে কোথাও একটা গন্ডগোল হচ্ছে। বিরাট গন্ডগোল। আমাদের দেখা দরকার সেই গন্ডগোলটা কোথায়।
নতুন পেশাজিবীদের বলব- আপনারা দয়া করে চাকরি খুঁজতে যাবার আগে এই ক্যারিয়ার গাইড সিরিজের লেখাগুলোর সাথে নিজেদের প্রস্ততি মিলিয়ে নিন। কিছু বাঁকি থাকলে সেটা পুরন করে নিন। আমার অভিজ্ঞতা বলে- এই কাজটিতে একটু সময় বিনিয়োগ করলে তার কয়েক হাজার গুন মুনাফা পাবেন। সেটা আপনার যোগ্যতার সবয়ে কাছাকাছি চাকরিটি নিশ্চিত তো করবেই, পাশাপাশি আপনার ভবিষ্যত পথ প্রশস্ত করবেন। অত্যন্ত বিনয়ের সাথে বলছি- এই প্রস্ততিগুলো শেষ করলে একজন নিশ্চত কাজ পাবেন (আপনার প্রত্যাশা অনুযায়ী না হলেও কাছাকাছি একটা চাকরি পাবেন)। আপনি যদি কাজ না পান, তবে আমি আপানার কাজ খুঁজে দেব।
আর এই প্রস্ততিগুলো নিলে শুধু একটি ভাল চাকরিই নয়, ভাল বউ পাবার প্রতিযোগীতায়ও এগিয়ে থাকবেন 😉
শুরু করা যাক একজন চাকরি প্রার্থীর গল্প দিয়ে।
আমি যে চাকরি প্রার্থীর কথা বলছি সে কিন্তু এক্সেপশন নয়। তাকে নিয়ে হাসাহাসিরও কিছু নাই। প্রতিদিন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসা একটি বড় অংশের চাকরি প্রার্থীর অবস্থা এরকম। আমাদের দেশে লেখাপড়া শেষ করার পরে,চাকরির জন্য সবাই প্রথম বিভিন্ন পরিচিত জনকে ধরাধরি শুরু করে। এর পরে কপি পেস্ট করে একটা সিভি বানায়। এরপর সেই সিভি বিভিন্ন পরিচিত জনকে দেয়া বা জব সাইটের মাধ্যমে আবেদন করে। বিরাট আশা নিয়ে জব মার্কেটে ঢুকে কিছু দিনের মধ্যেই হতাশ হয়ে যায়। এরা ক্রমশ যোগ দেয় হতাশ বেকার পুলে।
তাদের জন্য ক্যারিয়ার গাইড দুচারটি আর্টিকেল দিয়ে এই সিরিজ শুরু করলাম:
১. চাকরির জন্য শারীরিক ও বাহ্যিক প্রস্তুতি
৪. পেশার জন্য নুন্যতম যোগাযোগে অক্ষমতা:
এই অক্ষমতাটি আমাদের কুরে কুরে খাচ্ছে। সবাই নিজেদের দিকে খেয়াল করলে দেখবে – কোন কিছু লেখার মাধ্যমে দুরের কাউকে বোঝাতে গেলে নিজের অসহায় লাগে। বড় কারও সাথে কথা বলতে গেলে গুছিয়ে বলতে পারে না। এই সব কিছুই হচ্ছে যোগাযোগের অক্ষমতা। এটি নিয়ে পেশা পরামর্শ সভায় একটি বিশেষ সেশন থাকে। তাছাড়া আমার নিশ্চিত সফলতার ৪ টি পরামর্শের আর্টিকেল অনুযায়ী কাজ করলে এখান থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
৫. জ্যাক অব অল ট্রেড, মাস্টার অব নান:
এটা নিয়ে খুব দ্রুত বিস্তারিত লিখবো।
যেকোনো চাকরি দাতা এই নুন্যতম যোগ্যতাটুকু প্রত্যাশা করেন। আর সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে চাকরি প্রার্থীরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটা জানেন না। বা কারও কাছ থেকে শুনলেও খুব একটা পাত্তা দেন না।
আমার পেশা পরামর্শ সভায় দেয়া “ক্যারিয়ার গাইড” এ বিভিন্ন ধরণের পেশা পরিচিত:
- সৃজনশীল ক্যারিয়ার আর্কিটেকচার
- প্রডাক্ট ম্যানেজার হিসেবে ক্যারিয়ার
- গ্রাফিক্স ডিজাইনিং
- গবেষণা সহকারী (খণ্ডকালীন পেশা)
- ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টে
- ডেন্টিস্ট
- প্যাথলজিস্ট
- জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজিস্ট
- আবহাওয়াবিদ
- সাপ্লাই চেইন পেশাজিবী
- ফার্মাসিস্ট
- ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ার
- বিসিএস ক্যাডার
আমার পেশা পরামর্শ সভায় দেয়া “ক্যারিয়ার গাইড” এ বিভিন্ন স্বাধীন উদ্যোগ:
- কবুতর পালন উদ্যোগ
- উন্নত চুলা তৈরির উদ্যোগ
- ইলেকট্রিক বাল্ব তৈরির উদ্যোগ
- পশুপালন উদ্যোগ
- ছোট পেশা স্বল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা ফার্মেসি