শ্রী হনুমানের TA Bill নিয়ে মুল লেখাটা বিখ্যাত হিন্দি লেখক হরিশঙ্কর পারসাই’র [ Harishankar Parsai ]। ভালো লাগায় একটা অনুবাদ করে দিলাম। আমলাতান্ত্র নিয়ে এমন গল্প খুব বেশি নেই।
শ্রী হনুমানের TA Bill
যুদ্ধর পর শ্রী হনুমান, অযোধ্যা প্রশাসনের কাছে, সঞ্জীবনী গাছ নিয়ে আসার যাতায়াত খরচ, বা TA Bill জমা দিলেন।
অডিট বিভাগ ৩ টি অডিট আপত্তি সহ শ্রীরামের কাছে পেশ করলো:
১. এই ট্রাভেলের জন্য তৎকালীন রাজা বা রাজ প্রশাসনের অনুমতি বা Prior Approval নেয়া হয়নি।
২. শ্রী হনুমান সেকেন্ড ক্লাস অফিসার। তাই তিনি উড়ন্ত যাত্রা বা Flying Travel এর জন্য Eligible নন।
৩. শুধু জড়িবুটি আনার বদলে তিনি পুরো পাহাড় নিয়ে এসেছেন। এই Excess Baggage Carrying এর দায় সরকারের নেয়া উচিৎ নয়।
মর্যাদা পুরুষোত্তম শ্রীরাম। হনুমান কে তিনি যতই বিশ্বাস করুন না কেন, নিয়ম ভেঙে বিল পাস করবেন কিভাবে!
তিনি বাধ্য হয়ে বিল পুনঃ-নিরীক্ষণের জন্য নোট দিয়ে, ফিরিয়ে দিলেন।
শ্রী হনুমান বেচারা অসহায় হয়ে অডিট বিভাগে ঘুরতে শুরু করলেন। একসময় অডিট বিভাগ, শ্রী হনুমান কে একটা প্রস্তাব দিলো। তাদেরকে বিলের ২০% দিলে তারা বিষয়টি নিন্মোক্ত উপায়ে সমাধান করতে পারে :
১. তৎকালীন রাজা ভরত যেহেতু শ্রীরামের জুতা সিংহাসনে রেখে, রাজ্য শাসন করতেন, তাই মূল রাজা আসলে শ্রীরাম। যেহেতু শ্রীরামের অনুমতিতে যাত্রা হয়েছে, তাই সেটাকে প্রায়র এপ্রুভাল হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।
২. যেকোনো ক্লাসের অফিসারকে জরুরি অবস্থায় ফ্লাই করার অনুমতি দেয়া যেতে পারে। ঘটনাটা যেহেতু যুদ্ধকালে ঘটেছে, তাই শ্রী হনুমান সেকেন্ড ক্লাস অফিসার হলেও ফ্লাইং এলাউন্স পেতে পারেন।
৩. জড়িবুটির গাছ ভুল হলে পুনরায় যাওয়া লাগতো, তাই খরচ বেশি হতে পারতো। তাই Excess Baggage বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে।
আরও দেখুন: