প্রিয় তারুণ্য,
এখন ঘরে ফিরে মুল যুদ্ধটা করো।
যেই যুদ্ধটা সময়মত করলে আজ হয়ত তোমাকে রাস্তায় নামতে হতো না।
যুদ্ধটা তোমার অনিয়ম করা পরিবারের সদস্য, আত্মীয়ের বিরুদ্ধে। যুদ্ধটার দু-চারদিনের না, প্রতিদিনের। লাঠি ফালা নিয়ে না, নৈতিকতা দিয়ে।
নিশ্চিত করো- তোমার বাবা-মা-ভাই-বোন তার মালিকানায় বা আওতায় থাকা ফিটনেস বিহীন গাড়ি চালাবেন না। ঘুষ দিয়ে ফিটনেস নেবেন না। ভুয়া লাইসেন্স বা লাইসেন্স বিহীন ড্রাইভার রাখবে না। ড্রাইভারকে যথেষ্ট বিশ্রাম নিশ্চিত করবেন। নিজে ট্রাফিক আইন ভাঙবেন না, ড্রাইভারকে ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করে উৎসাহ দেবেন না। আইন ভাঙলে না দেখার ভান করে অন্য দিকে তাকিয়ে থাকবেন না। যত্রতত্র রাস্তা পার হবে না, তাদেরকেও হতে দেবে না। নিজে করো, স্কুলে অন্য বন্ধুদের উৎসাহ দাও, নিশ্চিত করো।গাড়ি কোম্পানির মালিকের ছেলে বন্ধুটিকে উৎসাহ দাও তার বাবাকে বোঝাতে। ফিটনেস কর্মকর্তার ছেলেকে উৎসাহ দাও তার বাবাকে বোঝাতে। ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তার ছেলেকে উৎসাহ দাও তাকে প্রতিদিন মনে করাতে। কোন একটি সড়ক দুর্ঘটনায় এদের বাড়ির সামনে গিয়ে বন্ধুরা মিলে এক ঘণ্টা কালো পতাকা দেখিয়ে এসো।আমি নিশ্চিত, এগুলো তোমরা নিশ্চিত করতে পারলে, তোমাদের আর রাস্তায় নামতে হবে না, বিচার চাইতে হবে না।রাষ্ট্র কোন এলিয়েন এসে চালায় না, তোমার মা-বাবা, আমাদের ভাইবোনরাই চালায়। আমরা ঠিক না হলে রাষ্ট্র কোন আইন কানুন প্রয়োগ করে ঠিক করতে পারবে না।
সরকারের কাজ আইন প্রণয়ন করা, সেটা প্রয়োগের জন্য চাপ তৈরি করা। সেটা ওয়াদা অনুযায়ী সরকার করবে। কিন্তু সত্যিকারের প্রয়োগ নিশ্চিত হবে যদি সরকারি-বেসরকারি সব মানুষ নিজে আইন মানে।তোমরা প্রমাণ করে দিয়েছ- আমাদের এই উপদেশ দেবার মুখ নেই। কারণ আমাদের ব্যর্থতা তোমরা চোখে হাত দিয়ে দেখিয়েছ। পাশাপাশি দেখিয়েছ তোমরা পারো। তাই বাকিটাও তোমরা করে দেখাও।
সরকারের কাজ আইন প্রণয়ন করা, সেটা প্রয়োগের জন্য চাপ তৈরি করা। সেটা ওয়াদা অনুযায়ী সরকার করবে। কিন্তু সত্যিকারের প্রয়োগ নিশ্চিত হবে যদি সরকারি-বেসরকারি সব মানুষ নিজে আইন মানে।তোমরা প্রমাণ করে দিয়েছ- আমাদের এই উপদেশ দেবার মুখ নেই। কারণ আমাদের ব্যর্থতা তোমরা চোখে হাত দিয়ে দেখিয়েছ। পাশাপাশি দেখিয়েছ তোমরা পারো। তাই বাকিটাও তোমরা করে দেখাও।
প্রিয় তারুণ্য, এখন ঘরে ফিরে মুল যুদ্ধটা করো।
আরও পড়ুন: