জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি স্থাপন

আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের একটি প্রতিকৃতি স্থাপন করা হয়েছে। স্বাধীনতার ৪৪ পর স্বাধীন দেশের স্থপতির প্রতিকৃতি জাতিয় প্রেসক্লাবের মত একটা জায়গায় স্থাপন করার ঘটনা আমার কাছে ‘সুসংবাদ’ নয়, ‘লজ্জাজনক’ মনে হয়েছে।

যে মানুষটার নেতৃত্ব আমাদের এনে দিয়েছে স্বাধীনতা তাকে এক রকম নিষিদ্ধ করে রেখেছিল ‘প্রেসক্লাবের নেতৃত্ব’। তাও একটা দুই বছর নয়, ৪৪ বছর। গণমাধ্যম কর্মীদের জাতির বিবেক বলা হয়। সংবাদ মাধ্যমকে বলা হয়ে থাকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। তার পরের বঙ্গবন্ধুর বরাদ্দ দেয়া জায়গায় বসে প্রচার করা হয়েছে তাঁর নামে নানা রটনা, বিকৃত করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। সাংবাদিকতার মত মহান পেশায় থাকার পরেও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি আর ডিক্টেটরদের কাছে সুবিধা নিয়ে মগজে মারা হয়েছে তাল, বন্ধক রাখা হয়েছে বিবেক। ভাবতেও অবাক লাগে, প্রেস ক্লাবের সদস্য তালিকয় ছিল দণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী। নেতৃত্বের তালিকায় দেখা যায় এমন সব নাম যারা মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে নানান অপপ্রচারের কুখ্যাত।
সময় বদলেছে… বদলেছে জাতীয় প্রেসক্লাবের নেতৃত্ব…; ৪৪ বছর খুব একটা কম সময় নয়! আশাকরি স্বাধীনতা বিরোধীদের দোসর মুক্ত হবে জাতীয় প্রতিষ্ঠানটি। একই সাথে প্রত্যাশা করি, নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালন করবে জাতীয় প্রেসক্লাব এবং জাগ্রত রাখবে বিবেক।

সর্বশেষ ধন্যবাদ জানাই সেই সব কলম সৈনিকদের যারা অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি। ৪৪ বছর ধরে লড়েছেন স্বাধীনতা বিরোধীদের দোসরদের বিরুদ্ধে।

Leave a Comment