অনলাইন দুষিত হয়ে গেছে – বলে চিৎকার করে কোন লাভ নেই

প্রাপ্তমনস্কদের জন্য: দরিদ্রতা মানুষকে বিনোদন, সংস্কৃতি এমনকি নিয়মিত ধর্মপালনেরও ঠিকমতো সুযোগ দেয় না। নিজস্ব পরিচয়, সম্মান প্রাপ্তির ক্ষুধা মেরে ফেলে। …

Read more

আমাকে যারা একটু দুর থেকে চেনেন, তাদের মধ্যে এক ধরণের শঙ্কা লক্ষ্য করছি

আমাকে যারা একটু দুর থেকে চেনেন, তাদের মধ্যে এক ধরণের শঙ্কা লক্ষ্য করছি। আমি স্বাধীনতার পক্ষে লিখি, পাকিস্তান রাষ্ট্রকে দুচোখে …

Read more

জল-পানি-নুন-লবণ বিতর্ক

জল-পানি-নুন-লবণ বিতর্ক অত্যন্ত মূর্খ, সাম্প্রদায়িক, নীচ বিতর্ক। ভাষা প্রেম, ধর্ম প্রেম দেখানের অত্যন্ত সস্তা উপায়। বাস্তবতা হচ্ছে এর ভাষা প্রেমীও …

Read more

এ কেমন প্রেম ভালোবাসা ??

আমরা দেশকে প্রচণ্ড ভালোবাসি। কিন্তু দেশের কোন কিছু সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাই না, দেশের সমস্যার গভীরে যেতে চাই না। ঠিকমতো …

Read more

আদর্শের বাকি প্রকাশনাগুলো প্রদর্শন ও বিক্রির সুযোগ দেয়া হোক ..

মির্জা ফখরুলের জামাই ফাহাম আব্দুস সালাম ৩০ লক্ষ শহীদে বিশ্বাস করে না, বিশ্বাস করে না বাঙালি জাতীয়তাবাদে। অন্যদের অস্বীকার করতে উৎসাহ দেয়। মুক্তিযুদ্ধ নিয়েও তার অনেক ইচিং প্রব্লেম।

ফাহামের চিন্তা মৌলিক কিছু না। পাকিস্তান আমাদের বিরুদ্ধে যে মতবাদ প্রচার করতো, সেটাকেই সে নতুন নতুন শব্দ, একসেন্ট আর উদ্ভট অভিনয় দিয়ে, সম্প্রসারণ করতে চেষ্টা করে।

তার পক্ষে যারা লিখছেন, তাদের কাছে আমার প্রশ্নঃ
আমাদের জন্মবিরোধী মতবাদ প্রচার করা কি বাক স্বাধীনতা?
দেশের মৌলিক কাঠামোর সঙ্গে সাংঘর্ষিক মতবাদ প্রচার করা কি চিন্তার স্বাধীনতা বলে?

ফাহাম আমাদের মতো চিন্তার মানুষদের জাতিগত নির্মূল (Ethnic Cleansing) করতে চান। এর মধ্যেও কি কেউ কোন অশান্তির দুর্গন্ধ পান না?

ভাইরে, ফাহামের চিন্তাকে এখনো ধারণ, লালন ও এপ্রিশিয়েট করার জন্য তো পাকিস্থান রয়েছেই। সেখান থেকেই তার কেতাব শায়া হোক। ওনার মতো রকেট সায়েন্সদান সাহাফির ওখানে কদর ভালো।

তারপর ২০৫০ সালের মধ্যে যখন ভাষাগত, ধর্মগত, এথনিক পরিচয়গত জাতীয়তাবাদ দুর্বল হয়ে যাবে (বা সংকটের কারণ থাকবে না), তখন তার কেতাব এখানে ছাপা বা প্রচার করা যেতে পারে। এজন্য ২০৫১ সালের বই মেলাতে তার জন্য প্রশস্ত স্টল বরাদ্দের জোর সুপারিশ করছি।

ফাহাম টাইপ লেখক বা লেখা ছাড়া আদর্শের বাকি প্রকাশনাগুলো প্রদর্শন ও বিক্রির সুযোগ দেয়া হোক।

আমরা কি আসলেই চাই আমাদের দেশের গান বাজনা উন্নত হোক?

স্টিকি নোট । Sticky Note

আমরা কি আসলেই চাই আমাদের দেশের গান বাজনা উন্নত হোক, কৌশিকী চক্রবর্তী বা রাহাত ফাহেত আলীর মতো বড় শিল্পী তৈরি হোক?

সবাই বলবে খুব চাই, ৫০০ চাই !!!
কিন্তু কোটি টাকার বিয়েতে একটা সঙ্গীত আসরের আয়োজন রাখি না।
উদ্বোধন বা কোন খুশির উপলক্ষে আমরা নানা খাতে টাকা ব্যয় করি, কোন সঙ্গীত শিল্পীকে দু পয়সা আয় করার সুযোগ করে দেই না।

শিল্পী আকাশ থেকে টপকে পড়বে না। সরকার কারখানায় বানিয়ে দিতে পারবে না।
আমাদের জীবনে তার প্রয়োজনীয়তা যদি প্রকাশ না করি, সে তৈরি হবেই কেন?

একজন পরিশীলিত সঙ্গীতের শিল্পী তৈরি হতে ১০/১৫ বছরের তপস্যা লাগে।
সেই পরিশ্রম ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হবার প্রস্তুতির চেয়ে বেশি বৈকি কম না।
আবার সেই পরিশ্রম করলেই যে ফল হবে, তার শত ভাগ গ্যারান্টিও নেই। কারণ ইঞ্জিনিয়ারের শুধু কারিগরি বিষয়টা শিখলেই চলে। শিল্পীর ক্ষেত্রে কারিগরি কাজটা শেখার পাশাপাশি, গানটা ধরা দেবার তপস্যা লাগে।

আমরা যদি তার মূল্য না দিতে জানি, তবে একজন মানুষ সেই ঝুঁকি কেন নেবে?
কেন কেউ তার বাচ্চাকে সেই ঝুঁকি নেবার অনুমতি দেবে?

আর শুধু আর্থিক গ্যারান্টিই নয়, শিল্পের ইউটিলিটিটাও তো থাকতে হবে!
একজন আর্কিটেক্টকে আপনি সারা জীবন নিয়মিত বেতন দিলেন, কিন্তু কোন বিল্ডিং বানাতে দিলেন না, বা তার বানানো কোন বিল্ডিং মানুষ দেখল না। তাতে ভালো আর্কিটেক্ট তৈরি হবে? হবে না।
সেভাবেই আমরা যদি শিল্পীর শিল্পের মূল্য না দেই, এপ্রিশিয়েট না করি, তবে শিল্পীও তৈরি হবে না।

খেলায় করবেন – কেউ যদি এই অকালে কোন সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করেও, আমরা ধৈর্য ধরে শুনি না। পৃথিবীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা সেই মুহূর্তে পাশের জনকে বলা দরকার হয়। খুবই গুরুত্বপূর্ণ ফোন ধরা দরকার হয়। একটু উঠে ঘুরে বেড়িয়ে আসার অদম্য ইচ্ছা চাপতে পারি না।
এসবে শিল্পী তো নিরুৎসাহিত হয়ই, আয়োজক বেচারাও হতাশ হয়।

আমরা কি আসলেই চাই আমাদের দেশের গান বাজনা উন্নত হোক?

 

আরও দেখুন:

শ্রী হনুমানের TA Bill

শ্রী হনুমানের TA Bill নিয়ে মুল লেখাটা বিখ্যাত হিন্দি লেখক Harishankar Parsai’র। ভালো লাগায় একটা অনুবাদ করে দিলাম। আমলাতান্ত্র নিয়ে …

Read more

অভিনন্দন কৃষ্ণা দেবনাথ !

অভিনন্দন কৃষ্ণা দেবনাথ

অভিনন্দন কৃষ্ণা দেবনাথ ! বাংলাদেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে প্রথম কোনো হিন্দু নারী সর্বোচ্চ আদালতের বিচারক হলেন। তিনি উচ্চ আদালতে ছিলেন, …

Read more