শ্রোতা সহায়িকা নোট সিরিজে আজকের রাগ – রাগ ভীমপলশ্রী। এই আর্টিকেলটির উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। আপডেট পেতে আবারো আসার আমন্ত্রণ রইলো।
পান্নালাল ভট্টাচার্যের গাওয়া “আমার সাধ না মিটিল আশা না পুরিল” গানটা খুবই সাদামাঠা। কিন্তু কে যেন আছে গানটার মধ্যে। যারা গান ভালো বাসেন, তাদের জীবনে কোন একদিন হলেও অবচেতনভাবে মনে হয়েছে এই গানটি। এটাই হল ভীমপলশ্রীর যাদু।
রাগ ভীমপলশ্রী বা ভীমপলাশি
ভীমপলাশি (বা ভীমপলশ্রী) হল হিন্দুস্থানি উচ্চাঙ্গসঙ্গীতের একটি রাগ। এটি কাফি ঠাটের অন্তর্গত। এর জাতি ঔড়ব-সম্পূর্ণ। এই রাগের বাদীস্বর মধ্যম, তবে সা এবং পা এর প্রাধান্য বেশি পরিলক্ষিত হয়। এর প্রকৃতি ধীরগতি সম্পন্ন এবং শান্ত ভাব সম্পন্ন। ইহাতে করূণ রস ফুটে উঠে। অপরাহ্নের পর এই রাগ পরিবেশন করা হয়।
আরোহ: সা জ্ঞা মা পা ণা র্সা
অবরোহ: র্সা ণা ধা পা মা জ্ঞা রা সা
পাকাড়: নি সা মা গা মা পা মা, মা গা রে সা
বাদীঃ মা (চতুর্থ সুর)
সমবাদীঃ সা (প্রথম সুর)
এই রাগটিতে “কোমল নি” এবং “কোমল গা” ব্যবহৃত হয়। এটি একটি ঔড়ব-সম্পূর্ণ রাগ, অর্থাৎ, এর আরোহণে ৫ টি স্বর এবং অবরোহণে ৭ টি স্বর ব্যবহৃত হয়।
চলন: ণ# স ম ম প ণ ধ প ম প জ্ঞ ম জ্ঞ র স
রাগের বেসিক শিখে নিতে পারেন নিচের ভিডিওটি থেকে:
কাজী নজরুল ইসলামের ভীমপলশ্রী:
নজরুলের অনেক গান রাগাশ্রয়ী। নির্দিষ্ট রাগের আশ্রয়ে যে গানগুলোতে সুর করা হয়েছে, সেগুলোর পুরো সুরে রাগের অবয়ব বজায় রাখার চেষ্টা থেকেছে; খুব বেশি রাগভ্রষ্ট হয়নি। তাই নজরুলের গানগুলো কান তৈরিতে বেশি উপযোগী বলে আমার কাছে মনে হয়।
১. কানন গিরি সিন্ধু–পার ফির্নু পথিক দেশ–বিদেশ।
৩. কেন আনো ফুল ডোর আজি বিদায়ো বেলা।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের গানে ভীমপলশ্রী:
কবিগুরু তার অনেক কম্পোজিশনে প্রচলিত রাগের আশ্রয় নিলেও অনেক সময় রাগের কাঠামোতে তিনি আটকে থাকতে চাননি। তাঁর সুরের পথ রাগের বাইরে চলে গেছে প্রায়শই। আমার কাঁচা কান যা বলে, তাতে বিশুদ্ধ রাগাশ্রয়ী গান হিসেবে তাঁর গান অনেক ক্ষেত্রেই খুব ভালো উদাহরণ নয়।
২. আমার ব্যথা যখন আনে আমায় তোমার দ্বারে
আধুনিক গানে ভীমপলশ্রী:
১.
গজলে ভীমপলশ্রী:
১. ওস্তাদ মেহদী হাসান এর গাওয়া “জিন্দগী মেয় তো সাবিহ পেয়ার“।
২. মীর্জা গালিব এর লেখা গজল “ইয়ে না থি হামারি কিসমাত“, গেয়েছিলেন ওস্তাদ আমানত আলী খান।
ভজনে ভীমপলশ্রী:
১.
ঠুমরিতে ভীমপলশ্রী:
১.
অন্যান্য:
১.
যন্দ্রে ভীমপলশ্রী:
সেতার:
১. ইমদাদখানী ঘরানার শহীদ পারভেজ খানের সেতারে – ভীমপলশ্রী।
সরদ:
১.মাইহার ঘরানার খলিফা ওস্তাদ আলী আকবর খানের সরদে- ভীমপলশ্রী।
২. পণ্ডিত বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের সরদে- ভীমপলশ্রী।
খেয়াল:
১. রামপুর সহসওয়ান ঘরানার ওস্তাদ রশিদ খানের – ভীমপলশ্রী।
২. আমীর খান সাহেব এর- ভীমপলশ্রী।
৩. পণ্ডিত কুমার গান্ধর্বের কেদার – ভীমপলশ্রী।
৪. জয়পুর ঘরানার শিল্পী কিশোরী আমনকারের গলায় – ভীমপলশ্রী।
৫. পণ্ডিত মুকুল শিবপুত্রের- ভীমপলশ্রী।
৬. বিদুষী শোভা মুডগালের- ভীমপলশ্রী।
টিউটোরিয়াল:
যেকোনো রাগের স্বরের চলাফেরা বোঝার জন্য ২/৫ টি স্বর-মালিকা বা সারগম-গীত শোনা দরকার। স্বর মল্লিকার পাশাপাশি দু একটি লক্ষণ গীত (বা ছোট খেয়াল) শুনলে সহজ হতে পারে। লক্ষণ গীত মূলত শেখানো হয় রাগের লক্ষণগুলো সহজে ধরতে। লক্ষণ গীত ছোট খেয়াল প্রায় একই কাজ করে। অনলাইনে অনেক গুলো আছে। একটু খোঁজাখুঁজি করলে পেয়ে যাবেন। স্যাম্পল হিসেবে নিচের দুটো লিংক দেয়া হল।
১. রাগ ভীমপলশ্রীর স্বরমল্লিকা।
২. এনিসিআরটির টিউটোরিয়াল।
রিলেটেড রাগ:
ভীমপলশ্রী সম্পর্কে আরও জানার জন্য:
২. অটোমেটেড ট্রান্সক্রিপশন প্রজেক্ট এর- ভীমপলশ্রী কেদার
সিরিজের বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল সূচি:
Declaimer:
শিল্পীদের নাম উল্লেখের ক্ষেত্রে আগে জ্যৈষ্ঠ-কনিষ্ঠ বা অন্য কোন ধরনের ক্রম অনুসরণ করা হয়নি। শিল্পীদের সেরা রেকর্ডটি নয়, বরং ইউটিউবে যেটি খুঁজে পাওয়া গেছে সেই ট্রাকটি যুক্ত করা হল। লেখায় উল্লেখিত বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত যেসব সোর্স থেকে সংগৃহীত সেগুলোর রেফারেন্স ব্লগের বিভিন্ন যায়গায় দেয়া আছে। শোনার/পড়ার সোর্সের কারণে তথ্যের কিছু ভিন্নতা থাকতে পারে। আর টাইপ করার ভুল হয়ত কিছু আছে। পাঠক এসব বিষয়ে উল্লেখে করে সাহায্য করলে কৃতজ্ঞ থাকবো।
*** এই আর্টিকেলটির উন্নয়ন কাজ চলমান ……। আবারো আসার আমন্ত্রণ রইলো।