আদর্শের বাকি প্রকাশনাগুলো প্রদর্শন ও বিক্রির সুযোগ দেয়া হোক – লিখেছি আমি। ফাহাম এর বই বিক্রির সুযোগ না দিতে লিখেছি। এটাকে যারা বাক স্বাধীনতার বিরোধী বলে বলতে চান, তাদের বলবো বিষয়টা এত সরল না। এত সরল হলে আমার কিছুই এসে যেত না। আপনি যেমন কোন ব্যক্তি ঘরে ঢুকে আপনার প্রতিষ্ঠিত পারিবারিক ভ্যালুজ কে মিথ্যে বলে, অপমান করে, ত্যাগ করতে বলবে, তাকে আপনি নিশ্চয় সেই প্রচার চালিয়ে যেতে উৎসাহ দেবেন না। ফাহামের বইএর বিষয়টা ঠিক তাই।
মির্জা ফখরুলের জামাই ফাহাম আব্দুস সালাম ৩০ লক্ষ শহীদে বিশ্বাস করে না, বিশ্বাস করে না বাঙালি জাতীয়তাবাদে। অন্যদের অস্বীকার করতে উৎসাহ দেয়। মুক্তিযুদ্ধ নিয়েও তার অনেক ইচিং প্রব্লেম।
ফাহামের চিন্তা মৌলিক কিছু না। পাকিস্তান আমাদের বিরুদ্ধে যে মতবাদ প্রচার করতো, সেটাকেই সে নতুন নতুন শব্দ, একসেন্ট আর উদ্ভট অভিনয় দিয়ে, সম্প্রসারণ করতে চেষ্টা করে।
তার পক্ষে যারা লিখছেন, তাদের কাছে আমার প্রশ্নঃ
আমাদের জন্মবিরোধী মতবাদ প্রচার করা কি বাক স্বাধীনতা?
দেশের মৌলিক কাঠামোর সঙ্গে সাংঘর্ষিক মতবাদ প্রচার করা কি চিন্তার স্বাধীনতা বলে?
আদর্শের বাকি প্রকাশনাগুলো প্রদর্শন ও বিক্রির সুযোগ দেয়া হোক
ফাহাম আমাদের মতো চিন্তার মানুষদের জাতিগত নির্মূল (Ethnic Cleansing) করতে চান। এর মধ্যেও কি কেউ কোন অশান্তির দুর্গন্ধ পান না?
ভাইরে, ফাহামের চিন্তাকে এখনো ধারণ, লালন ও এপ্রিশিয়েট করার জন্য তো পাকিস্থান রয়েছেই। সেখান থেকেই তার কেতাব শায়া হোক। ওনার মতো রকেট সায়েন্সদান সাহাফির ওখানে কদর ভালো।
তারপর ২০৫০ সালের মধ্যে যখন ভাষাগত, ধর্মগত, এথনিক পরিচয়গত জাতীয়তাবাদ দুর্বল হয়ে যাবে (বা সংকটের কারণ থাকবে না), তখন তার কেতাব এখানে ছাপা বা প্রচার করা যেতে পারে। এজন্য ২০৫১ সালের বই মেলাতে তার জন্য প্রশস্ত স্টল বরাদ্দের জোর সুপারিশ করছি।
ফাহাম টাইপ লেখক বা লেখা ছাড়া আদর্শের বাকি প্রকাশনাগুলো প্রদর্শন ও বিক্রির সুযোগ দেয়া হোক।
আরও দেখুন: