কুমারখালি এমএন পাইলট হাই স্কুলটি কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার একটি বিদ্যালয়। কুমারখালী এম.এন. পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি একটি প্রাচীন মাধ্যমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টি ১৮৫৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রাচীনত্বের দিক দিয়ে বিদ্যালয়টি শুধু কুষ্টিয়া জেলাতেই নই সমগ্র নদিয়া জেলাতেও উল্লেখযোগ্য।
বর্তমান কুমারখালী পৌর এলাকায় একটি পরিত্যক্ত নীলকুঠি ছিল। ১৮৫৬ সালে শ্রী যুক্ত বাবু মথুরানাথ কুন্ডু পরিত্যক্ত নীলকুঠিতে ইংরেজি শিক্ষার প্রসার ঘটানোর উদ্দেশ্যে একটি ইংরেজি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত করে। তখন বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠাতার নামানুসারেই কুমারখালী মথুরানাথ উচ্চ বিদ্যালয় নামে পরিচিত লাভ করে।
উল্লেখ্য যে বিদ্যালয়টি যে নীলকুঠিতে প্রতিষ্ঠিত হয় সে ভবনটি কালের বিবর্তনে গড়াই নদীতে বিলীন হয়ে যায়।
বিদ্যালযটি মাধ্যমিক পর্যায়ে যশোর বোর্ডের অধীনে রয়েছে। ৯ম-১০ম শ্রেণীতে ০৩টি বিভাগ রয়েছে। এই বিদ্যালয়ের খুব বিখ্যাত একজন শিক্ষার্থী জলধর সেন (বাঙালি ভ্রমণ কাহিনী, রম্যরচনা ও উপন্যাস লেখক)।
এই বিদ্যালয়ে সুফি ফারুক ইবনে আবুবকর এর কর্মসূচির বিস্তারিত নিচে দেয়া হল:
কুমারখালি এমএন পাইলট হাই স্কুলে পড় মুজিব কর্মসূচির অনুষ্ঠান :
মফস্বলের শিশু-কিশোরদের বঙ্গবন্ধুর ছেলেবেলার সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে, ‘টিম সুফি ফারুক’ -এর উদ্যোগে কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন স্কুলে চলছে ‘পড় মুজিব’ শীর্ষক অনুষ্ঠান। এই আয়োজনটি কুষ্টিয়াতে শুরু করার পর সামাজিক গণমাধ্যমের কল্যাণে সারা দেশে ব্যাপক সাড়া পেয়েছে। এখন দেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও প্রত্যন্ত গ্রামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একই ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন হচ্ছে।
তারই অংশ হিসেবে এবার কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার কুমারখালি এমএন পাইলট হাই স্কুলে পড় মুজিব কর্মসূচি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
পড় মুজিব কর্মসূচি মূলত বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ অবলম্বনে তৈরি মুজিব গ্রাফিক নভেল এর সাথে পরিচিতি অনুষ্ঠান। বঙ্গবন্ধুর ৯৫তম জন্মবার্ষিকীতে তার দৌহিত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক’র উদ্যোগে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) প্রকাশ করেছিল এই বইটি। ২৪ পাতার এই বইয়ের শিরোনাম ‘মুজিব’। এটিকে দেশের প্রথম জীবনী ভিত্তিক ‘গ্রাফিক নভেল’ বলা যায়।

‘পড় মুজিব’ অনুষ্ঠানে প্রথমে শিক্ষার্থীদের নভেলটি পড়ে শোনানো বা প্রজেক্টরে দেখানো হয়। এরপর বই এর মধ্যে থেকে কুইজ আকারে প্রশ্ন করা হয়। কুইজের বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে, উপহার হিসেবে তুলে দেয়া হয় ‘মুজিব গ্রাফিক নভেল’ এর কপি।
শিক্ষকদের আন্তরিকতা আর শিক্ষার্থীদের উৎসাহে প্রতিটি অনুষ্ঠান হয় দারুণ প্রাণবন্ত। এসব অনুষ্ঠানের মূল আয়োজক শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা। টিম সুফি ফারুক এর পক্ষ থেকে আয়োজনে উৎসাহ দেয়া হয় এবং উপহার দেবার জন্য গ্রাফিক নভেল সরবরাহ করে।
কুমারখালি এমএন পাইলট হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হিসেবে কাজ করেছিলো। তাই তাকে না জেনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করা সম্ভব নয়। বর্তমান প্রজন্মের সকলকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জানতে আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করতে এই বইটি সাহায্য করবে বলে আমি মনে করি। আর এমন একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পেরে আমি গর্ব অনুভব করছি।
পড় মুজিব কর্মসূচি সম্পর্কে কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক, বাংলাদেশ ইয়ুথ বাংলা কালচারাল ফোরামের সভাপতি সুফি ফারুক ইবনে আবু বকর জানান, পড় মুজিব কর্মসূচি মূলতঃ মফস্বলের শিশু-কিশোরসহ সারা দেশের মানুষের কাছে বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ তুলে ধরা। যাতে করে বর্তমান প্রজন্মের শিশু কিশোররা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছেলেবেলা সম্পর্কে জানতে পারে। শুধু শিশু কিশোর নয় বর্তমান প্রজন্মের সকলেরই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। তাই এই কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। ‘টিম সুফি ফারুক’ এ কর্মসূচিকে সফল করতে নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছে।

[ কুমারখালি এমএন পাইলট হাই স্কুলে পড় মুজিব কর্মসূচির অনুষ্ঠান ]
আরও পড়ুন: