কুমারখালী পৌরসভা বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার অন্তর্গত ‘ক’ শ্রেণির একটি পৌরসভা। এর উত্তরে পদ্মা নদী, দক্ষিণে গড়াই নদী ও পূর্বে কুষ্টিয়া জেলার অপর একটি উপজেলা খোকসা।
কুমারখালী পৌরসভা
এক নজরে কুমারখালী পৌরসভা:
১. প্রতিষ্ঠা : ১লা এপ্রিল ১৮৬৯ খ্রীষ্টাব্দ মোতাবেক ১৮চৈত্র ১২৭৫ বঙ্গাব্দ।
২. বর্তমান মেয়র : জনাব মোঃ সামছুজ্জামান অরুন।
৩. আয়তন : ৫.২৭ বর্গ কিঃ মিঃ।
৪. লোক সংখ্যা : ৬০,০০০ জন প্রায়, পুরুষ ৩০,৭৭৫ জন, মহিলা ২৯,২২৫ জন।
৫. কর্মকর্তা/কর্মচারীর সংখ্যা : ৫8 জন।
৬. হোল্ডিং এর সংখ্যা : ৭৪৫৩ টি, সরকারী ৬৫ টি, বাণিজ্যিক ২৫৬৩ টি, বেসরকারী ৪৮২৫ টি।
৭. ওয়ার্ড সংখ্যা : ০৯টি।
৮. রাস্তা : ৮০ কিঃমিঃ প্রায় (গলি ও উপগলি সহ)। পাকা ৬৫কিঃমিঃ, কাঁচা ১৫কিঃমিঃ।
৯. ড্রেন : ২০কিঃমিঃ প্রায়, পাকা ১০কিঃমিঃ, কাঁচা ১০কিঃমিঃ।
১০. পাম্প ষ্টেশন (পানি) : ০৫ টি।(Pvjy-3 Uv, bó-01 wU, Pvjy nqwb-01 wU)
১১. নাগরিক সেবার উন্মূক্ত রোড সাইড ট্যাপ (পানি) : ৮০টি
১২. পাইপ লাইন(পানি) : ১৮.৫0 কিঃমিঃ সুবিধাভোগী গ্রাহক সংখ্যাঃ ৮৫০টি।
১৩. হস্ত চালিত নলকুপ : ৯টি (তারা ও মিনিতারা) সহ।
১৪. বৈদ্যুতিক বাল্ বপয়েন্ট : ৮৫০টি, টিউবলাইট পয়েন্ট ৫৪০টি, বাল্ব পয়েন্ট ৩১০টি।
কুমারখালী পৌরসভায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান :
(ক) ডিগ্রি মহা বিদ্যালয় ২টি (মহিলা একটি সহ)।
(খ)মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৪টি (বালিকা ২টি সহ)।
(গ)প্রাথমিক বিদ্যালয় ১০টি (সরকারী বে-সরকারীসহ) মাদ্রাসা ৪টি
(ঙ) কিন্ডারগার্টেন ৬টি।
১৬. পাবলিক লাইব্রেরী : ১টি।
১৭. ক্রীড়া ময়দান : ৫টি।
১৮. ঈদগাহ ময়দান : ৪টি।
১৯. পৌর মার্কেট : ১৬টি।
২০. হাট-বাজার : ৫টি।
২১. মসজিদ : ২১টি।
২২. মন্দির : ১০টি।
২৩. কবর স্থান : ৩টি।
২৪. শ্মশান : ১টি।
২৫. সিনেমা হল : ১টি।
২৬. ডাক বাংলো : ১টি।
২৭. আবাসিক হোটেল : ১টি।
২৮. তাত বোর্ড : ১টি।
২৯. ডাকঘর : ১টি।
৩০. রেলওয়ে ষ্টেশন : ১টি।
৩১. বাস ষ্টান্ড : ১টি।
৩২. কসাই খানা : ১টি।
৩৩. ফায়ার ষ্টেশন : ১টি।
৩৪. হাসপাতাল : ১টি।
৩৫. মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র : ১টি।
৩৬. পুলিশ ষ্টেশন : ১টি।
৩৭. পুলিশ ফাঁড়ি : ১টি।
৩৮. পশু সম্পদ উন্নয়ন কেন্দ্র : ১টি।
৩৯. পানি উন্নয়ন বোর্ড : ১টি।
৪০. টেলিগ্রাফ ও টেলিফোন অফিস : ১টি।
৪১. শিশু পার্ক : ১টি।
৪২. নিয়মিত ই,পি,আই কেন্দ্রের সংখ্যা : ২২টি।
৪৩. ব্যাংক প্রতিষ্ঠান : ৯টি।
৪৪. বীমা প্রতিষ্ঠান : ৪টি।
৪৫. সেচ্ছাসেবী সংগঠন/ক্লাব : ৮টি।
৪৬. সাংস্কৃতি চর্চা প্রতিষ্ঠান : ৭টি।
৪৭. বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্র : ২টি (১টি পল্লী বিদ্যুৎ)।
৪৮. খেয়া ঘাট : ১টি।
৪৯. নদী(গড়াই) : ১টি।
৫০. পাঠাগার :২টি।
৫১. শহর রক্ষা গ্রোয়েন বাঁধ :২টি।
কুমারখালী পৌরসভার গ্রামের তালিকা :
- আগ্রাকুন্ডা
- উদয় বিষ্ণুপুর
- এলঙ্গী
- কুন্ডপাড়া
- কুমারখালী
- খয়েরচারা মাঠপাড়া
- তেবাড়ীয়া
- দুর্গাপুর
- বাটিকামারা
- সেরকান্দি
- সেরকান্দি পশ্চিম
পৌরসভায় সুফি ফারুক এর কার্যক্রম:
এই পৌরসভায় সুফি ফারুক ইবনে আবুবকর এর কর্মকান্ডসমুহ তুলে ধরা হল।
কুমারখালীতে ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং কর্মশালা অনুষ্ঠিত :
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পিছিয়ে পড়া তারুণদের এগিয়ে নিতে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় আউটসোর্সিং বিষয়ক কর্মশালার আয়োজন করেছে সুফি ফারুকের পেশা পরামর্শ সভা। বৃহস্পতিবার সকালে সভার প্রধান সমন্বয়ক প্রযুক্তিবিদ সুফি ফারুকের সভাপতিত্বে উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরিতে এই কর্মশালার শুরু হয়। কর্মশালা পরিচালনা করেন আউটসোর্সিং বিষয়ক অভিজ্ঞতা সম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আর আর ফাউন্ডেশন।
কর্মশালায় পেশা হিসেবে ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিংয়ের সম্ভাবনা, কাজের পরিধি, ঘরে বসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে উপার্জনের কৌশল, আউটসোর্সিং কাজের জন্য বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠানগুলোর ওয়েবসাইটের সঙ্গে পরিচিতি, এসব প্রতিষ্ঠানের কাজের ধরণ, দলগতভাবে আউটসোর্সিং কাজের কৌশল, আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে উপার্জিত অর্থ উত্তোলন ও প্রতারণার ঝুঁকি এড়ানোর সহজ উপায়সহ নানা বিষয়ের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
প্রযুক্তিবিদ সুফি ফারুক বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আউটসোর্সিংয়ের গুরুত্ব ও সম্ভাবনা তুলে ধরে বলেন, ‘এখন আমেরিকা গিয়ে কাজ করার প্রয়োজন পড়ে না। দেশে বসেই আমেরিকার কাজ করা যায়। এ জন্য প্রত্যেককে আত্মবিশ্বাস বাড়াতে হবে। বর্তমানের স্মার্ট ফোন, স্মার্ট টেলিভিশন, স্মার্ট পোশাক-আশাকের পাশাপাশি আমাদের মনোজগতের ভেতরটাতেও স্মার্টনেস তৈরি না হলে লাভ নেই। প্রত্যেক ব্যক্তির থাকতে হবে একটি পরিকল্পিত লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যে যদি অটুট থাকে, তাহলে স্বপ্নের জায়গায় পৌঁছতে খুব একটা সমস্যা হয় না।’
পেশা পরামর্শ সভার সফল এই উদ্যোক্তা বলেন, আউটসোর্সিং সম্পর্কে ধারণা থাকলে বহির্বিশ্বে বিশাল ব্যবসার জায়গা রয়েছে। আর শিক্ষার্থীরা যদি দলবদ্ধ হয়ে কাজটি করতে পারে, তাহলে তারা প্রত্যেকেই সমানভাবে লাভবান হবে। তৈরি হবে দক্ষ জনশক্তি। ঘুচবে বেকারত্ব। আউটসোর্সিংয়ের কাজে প্রত্যেককে তিনি সৎ ও নিষ্ঠাবান থাকার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, সৎ না থাকলে এ পেশায় উন্নয়ন অসম্ভব।
আর. আর. ফাউন্ডেশনের রাসেল আহমেদ বলেন, আইসিটি সেক্টরে কাজের সুযোগ দিন দিন বাড়ছে। এর জন্য দরকার দক্ষ জনবল। প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের আউটসোর্সিংসহ আইসিটি খাতের নানামুখী কাজে কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা দেশের শিক্ষিত বেকারদের আইসিটি খাতে প্রশিক্ষণ দিয়ে যোগ্য ও দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। তাদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলা গেলে অনেকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারবে।

তিনি বলেন, আউটসোর্সিং বলতে কোন একটি ব্যবসায়িক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিজের কাজ অন্যকে দিয়ে করিয়ে নেয়াকে বুঝায়। আউটসোর্সিং বলতে কখনো কখনো এক প্রতিষ্ঠান থেকে অন্য প্রতিষ্ঠানে কর্মী হস্তান্তর করাকেও বুঝায়, কিন্তু সব সময় না। আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে সরকারি কাজ সমূহকে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বিদেশি এবং দেশি ঠিকাদারি উভয় আউটসোর্সিংয়ের অন্তর্গত, এবং কখনো আউটসোর্সিং এ দূরবর্তী দেশে নিজের প্রতিষ্ঠান স্থাপন (সমুদ্রবর্তী) অথবা পাশাপাশি কোন দেশে প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও অন্তর্ভুক্ত থাকে। অনেক মানুষ আউটসোর্সিং এবং দূরবর্তী দেশে প্রতিষ্ঠান স্থাপনকে গুলিয়ে ফেলেন – তবে তারা ভিন্ন। একটি কোম্পানি আউটসোর্স করতে পারে (একজন আউটসোর্সিং সেবাদানকারী) দূরবর্তী দেশের কোন সাহায্য ছাড়াই। আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে আর্থিক ভাবে লাভবান হওয়া যায়। কারণ এতে স্থানীয় শ্রমিকদের চাইতে কম বেতন প্রদান করতে হয়। এটি আউটসোর্সিং এর ক্ষেত্রে একটি বড় অনুপ্রেরণা।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা জানান, আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে অনেকেই অর্থ উপার্জন করা যায় বলে শুনেছেন। এ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উপস্থিত হয়ে তারা অনেক জ্ঞান অর্জন করেছেন। এই লব্ধ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে নিজের পাশাপাশি বন্ধুদেরও অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করে তুলতে সাহায্য করবেন।

কথা হয় কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী আরেক প্রশিক্ষণার্থীর সঙ্গে। তিনি জানান, অনেক দিন ধরে তিনি এমন একটি প্রশিক্ষণের অপেক্ষায় ছিলেন। নিজের কোনো কম্পিউটার না থাকলেও বাবার ব্যবহৃত কম্পিউটারটি তিনি এখন ব্যবহার করবেন আউটসোর্সিংয়ের জন্য। আউটসোর্সিং সম্পর্কে এত দিন শুনেছি। আজ হাতে-কলমে শিক্ষা পেয়ে এই প্রোগ্রাম সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম। এ জন্য পেশা পরামর্শ সভার উদ্যোক্তা প্রযুক্তিবিদ সুফি ফারুক ভাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আজকের এই কর্মশালা বাস্তবজীবনে কাজে লাগবে বলে আশা করি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে আমি আউটসোর্সিংয়ের কাজ করব।’
পেশা পরামর্শ সভা কুমারখালীর কো-অর্ডিনেটর আব্দুস সালাম বলেন, প্রযুক্তিবিদ সুফি ফারুক যেকোনো ভালো কাজের সঙ্গে আছে। তরুণদের জ্ঞান অর্জনের তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন আমেরিকা গিয়ে কাজ করার প্রয়োজন পড়ে না। দেশে বসেই আমেরিকার কাজ করা যায়। এ জন্য প্রত্যেককে আত্মবিশ্বাস বাড়াতে হবে।
আরও পড়ুন: