দীর্ঘদিন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে কাজ করলেও কখনও দলের রাজনৈতিক অফিস (বা পাবলিক অফিস) হোল্ডারের দায়িত্বপালন করি নি। সে হিসেবে কুষ্টিয়া আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক দায়িত্বটি আমার প্রথম রাজনৈতিক অফিস।
আমি বড়ো দাগে ৪টি খাতে বিস্তারিত কর্মসূচি দিয়ে একটা পরিকল্পনা প্রস্তুত করছি:
১. দলকে আরও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবান্ধব করা (দলের সকল তথ্য অনলাইনে আনা, নেতাকর্মীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে সক্ষমতা বাড়ানো)
২. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দিয়ে তরুণদের সক্ষমতা বাড়ানো (প্রশিক্ষণ, গাইডলাইন ও উৎসাহ)
৩. বিজ্ঞান-প্রযুক্তিভিত্তিক পেশাজীবী ও উদ্যোক্তা তৈরি করা ও তাদের সক্ষমতা বাড়ানো (প্রশিক্ষণ, সহায়তা, উৎসাহ)
৪. জনসচেতনতা (দল ও সরকারের বিভিন্ন বিজ্ঞান প্রযুক্তিনির্ভর উদ্যোগগুলো সম্পর্কে জনসচেতনতা)
এই কার্যক্রমের সুবিধাভোগী শুধুমাত্র আমাদের দল বা বন্ধুপ্রতিম সংগঠনগুলোই নয়, সারা কুষ্টিয়া জেলার সাধারণ মানুষ হবে।
আগামী ১৬ তারিখে আমাদের অভিষেক হলে গেলে পরবর্তী সভায় কমিটির কাছে অনুমোদনের জন্য বিস্তারিত কর্মসূচি উপস্থাপন করবো। তার আগে আমার শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে আপনাদের মূল্যবান মতামত আশা করছি।
যেকোনো বড়ো দায়িত্ব নেবার আগে দারুণ উত্তেজনা আর শঙ্কা কাজ করে। আমার পূর্ব-অভিজ্ঞতার বিচারে এই কাজটি খুব বড়ো না হলেও উত্তেজনা-শঙ্কা প্রায় একই রকম। কারণ এই দায়িত্বটি আমার কাছে পবিত্রতম। তাই এই দায়িত্বটি আমার সবটুকু সামর্থ্য ও আন্তরিকতা দিয়ে পালন করার জন্য আমি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
খুব ছোটবেলা থেকে কাজ করেছি। দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কারিগরি কাজ থেকে শুরু করে ব্যবস্থাপনা পর্যন্ত করেছি। গত ৬ বছর উদ্যোক্তা হিসেবে নিজের কিছু প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছি। হাটে-মাঠে ঘুরে ঘুরে পেশা, প্রযুক্তি, উদ্যোক্তা, উদ্যোগ নিয়ে নানারকম কাজ করার চেষ্টা করেছি। বলেছি, লিখেছি, হৈচৈ করেছি। এইসব কাজের মধ্যে দিয়ে যা সঞ্চয় করেছি সেটা হচ্ছে নানা ধরনের অভিজ্ঞতা। সেটাকেই পুঁজি করে রাজনৈতিক দায়িত্ব গ্রহণ করলাম। তাই আশা রাখি, এই দায়িত্বটির ধর্ম সঠিকভাবে পালন করতে সক্ষম হব।
আমি আর্থিকভাবে মোটামুটি সচ্ছল। প্রয়োজন হলে বেসরকারি খাতে আমার আরও ব্যবসা করার সুযোগ আছে। তাই প্রতিজ্ঞা করছি, এই দায়িত্বে থাকা অবস্থায় কুষ্টিয়া জেলার তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কোনো সরকারি ব্যবসাতে আমি অংশগ্রহণ করবো না। রাষ্ট্রের, দলের ও গণমানুষের স্বার্থের সাথে সাংঘর্ষিক কোনো কর্মকাণ্ডে আমার কোনো সম্পৃক্ততা থাকবে না।
রাজনীতি করতে এসেছি জনকল্যাণের জন্য। এসেছি জাতির পিতা পুরুষোত্তম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের আদর্শকে সমুন্নত রাখতে এবং তাঁর সহ সকল শহীদের আত্মাহুতির মর্যাদা দিতে। এসেছি বর্তমান বাংলাদেশের পক্ষের মানুষদের ঐক্যের প্রতীক জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রগতির সংগ্রামের সৈনিক হিসেবে কাজ করতে। এসেছি প্রতিটি মানুষের জন্য প্রযুক্তি খাতের ন্যায্যতা বিধানে কাজ করতে। আপনারা আমাকে অভিভাবকের মতো দেখে রাখবেন যেন সেখান থেকে সামান্যতম না সরে যাই।
আপনাদের সমর্থন আর শুভকামনাই আমার শক্তি।
জয় বাংলা! জয় বঙ্গবন্ধু!
৩০ লক্ষ শহীদের স্বপ্নের বাংলা গড়ে উঠুক। বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।
এডিট- এসএস