বাংলাদেশের ইন্টারনেট, উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহে ইন্টারনেটের অবস্থা [ তার আগে চাই ব্রডব্যান্ড গ্রুপের ৪ এপ্রিল ২০১০ পর্যন্ত আপডেট ]
(এই ডক ফাইলটি একটি সম্মিলিত প্রয়াস, আপনি যদি কোন নতুন তথ্য সংযোজন বা সংশোধন করতে চান তবে আপনি সাদরে আমন্ত্রিত। তবে পুরপুরি নিশ্চিত না হয়ে কোন কিছু সম্পাদনা না করার জন্য সবাইকে বিনীতভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে।)
ইন্টারনেট নেই লেখা থাকলে এর মানে হল বিশ্ববিদ্যালয় কোন ল্যাবে ব্রডব্যান্ডের বা ক্যাম্পাসে ওয়াই-ফাইয়ের ব্যবস্থা করেনি। ব্যক্তি উদ্যোগে বা বন্ধুরা মিলে কানেকশন নিলে সেটিকে ধরা হচ্ছেনা।
১. বুয়েট :ক্যাফেটেরিয়াতে ওয়াই-ফাই আছে, ইউজারনেম, পাসওয়ার্ড এবং প্রক্সি ব্যাবহার করতে হয়!ক্যাফের নেট টেনেটুনে লাইব্রেরি পর্যন্ত যায়, সেটা ব্যাবহার করা যায়। তবে লাইব্রেরিতে হাই-স্পীড নেট আছে ডেস্কটপগুলোতে। স্পীড ২ মেগাবাইট/প্রতি সেকেন্ড। ইউজার বেড়ে গেলে ১ মেগাবাইট/প্রতি সেকেন্ড এর আশে পাশে ঘুরঘুর করে।আর্কিটেকচার ভবনেও ওয়াই-ফাই আছে, নিয়ম একই, ইউজার-নেম, পাসওয়ার্ড এবং প্রক্সি প্রোটেক্টেড!সিভিল বিল্ডিং, মেকানিকাল বিল্ডিং এ বিভিন্ন ল্যাব এবং শিক্ষকদের জন্য ওয়াই-ফাই সুবিধা আছে, সেগুলোর রেঞ্জ কম, বেশিরভাগ স্থানেই দুর্বল।
নতুন একাডেমিক বিল্ডিং এ বেশ অনেকগুলো হাই-স্পীড ওয়াই-ফাই সংযোগ আছে, চেষ্টা চরিত্রের মাধ্যমে মাঝে মধ্যে হলগুলোতেও এগুলোর সংযোগ পাওয়া যায়। কম বেশি ১ মেগাবাইট/প্রতি সেকেন্ড।হলগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্তক্ষেপের কোনো ইন্টারনেট সংযোগ নেই, ব্র্যাকনেটের একচ্ছত্র একচেটিয়া আধিপত্য, স্পীড ২০-৩০ কিলোবাইট সর্বোচ্চ, মাঝেমধ্যেই সেইটা ২০-৩০ বাইটে নেমে আসে!
৩. রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: এখন নেই। কাজ মাত্র শুরু হয়েছে।
৪. রুয়েট: এখন নেই। টেস্টিং চলছে।
৫. কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়: ইন্টারনেট নেই।
৬. হাজী দানেশ দিনাজপুর: কয়েকটা ল্যাবে আছে । শিক্ষক দের জন্য ইন্টারনেট আছে । হলে ছাত্ররা নিজেদের ব্যবস্হায় নেট সংযোগ নেয় । স্পিড খুবই খারাপ । একটা প্রজেক্টে কাজ চলছে । টাকা বিশ্ববিদ্যালয় পেয়েছে । টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে । ভিসি স্যারের মতে, এই বছর ডিসেম্বরের মধ্যে হাই স্পিড ইন্টারনেট পাওয়া যাবে । (জাবেদ মোর্শদ : হাজী দানেশের ছাত্র/ছাত্রীরা আমাকে সংশোধন করো কোন ভুল ইনফরমেশন থাকলে )
৭. নোয়াখালী বিপ্রবি: ইন্টারনেট নেই।
৮. কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়, ত্রিশাল: ইন্টারনেট নেই।
৯. চুয়েট: ইন্টারনেট নেই।
১০. সিলেট প্রকৌশল কলেজ: ইন্টারনেট নেই।
১১. ময়মনসিংহ প্রকৌশল কলেজ: ইন্টারনেট নেই।
১২. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ইন্টারনেটের গতি কম।
১৩. ঢাকা মেডিকেল কলেজ: ইন্টারনেট নেই।
১৪. টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, চট্টগ্রাম: ইন্টারনেট নেই।
১৫. এম. আই. এস. টি.: হলে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট আছে, ক্যাম্পাসে ওয়াই-ফাই থাকলেও সবার জন্য উন্মুক্ত নয়।
১৬. বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালস: ইন্টারনেট নেই।
১৭. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়: ইন্টারনেট নেই।
১৮. কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ: ইন্টারনেট নেই।
১৯. বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর: একটা ল্যাবে আছে ৩০টা কম্পিউটারে । ইউজিসিসির একটা প্রজেক্ট থেকে করে দেয়ার কথা কিন্তু অনেক দিন থেকেই কোন অগ্রগতি নাই ।
২০. কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ: ইন্টারনেট নেই।
২১. খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়: কেবল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে হল ও একাডেমিক বিল্ডিংয়ে কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় ইন্টারনেট সার্ভিস আছে। ওয়াই-ফাই শুধুমাত্র লাইব্রেরীতে আছে।
২২. পাবনা বিপ্রবি: ল্যাবে ব্রডব্যান্ড আছে। (কিন্তু ছাত্রদের ব্যাবহার করতে দেয় না। যদি ইন্টারনেট সম্পর্কিত কোন লেকচার না থাকে। তাই সবার জন্য সবসময় উন্মুক্ত নয়)
২৩. পাবনা মেডিকেল কলেজ: ইন্টারনেট নেই।
২৪. কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ: ইন্টারনেট নেই।
২৫. নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ: ইন্টারনেট নেই।
২৬. বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়: ইন্টারনেট নেই।
২৭. কুয়েট : BTCL থেকে 10 mbps এর একটা লাইন নিয়ে অ্যাকাডেমিক কাজে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু হল গুলোতে ইন্টারনেট লাইন নেই।
২৮. ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় – সায়েন্স ফ্যাকাল্টিতে আছে speed 50 kbps(নিজেদের উদ্দগে ওয়াই-ফাই) . অনান্য ফ্যাকাল্টিতে শুধু শিক্ষকদের জন্য আছে। কিন্তু হল গুলোতে ইন্টারনেট লাইন নেই।
[ বাংলাদেশের ইন্টারনেট, উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহে ইন্টারনেটের অবস্থা [ তার আগে চাই ব্রডব্যান্ড গ্রুপের ৪ এপ্রিল ২০১০ পর্যন্ত আপডেট ]
আরও দেখুন: