২০০০ নারীর অংশগ্রহণে ১৫ আগষ্ট শোক দিবস এর র্যালি [ বঙ্গবন্ধুর শাহাদাৎ বার্ষিকী ]
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদত বার্ষিকী, জাতীয় শোক দিবস ও ১৫ আগস্টের শহীদদের স্মরণে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে দুই হাজার নারীর অংশগ্রহণে এ যাবত কালের সর্ববৃহৎ শোক র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশিষ্ট তথ্যপ্রযুক্তিবিদ ও আওয়ামী লীগ নেতা সুফি ফারুক-এর উদ্যোগে বুধবার বিকেলে র্যালি ও আলোচনা সভায় উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ অংশগ্রহণ করেন।
উক্ত শোক র্যালি ও আলোচনা সভায় উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের নারীদের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্য করার মত। প্রায় দুই হাজার নারী এতে অংশগ্রহণ করেন। যা কুমারখালীর ইতিহাসে অদ্বিতীয়। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা তরুণদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিও ছিল অনেক। উপজেলা পর্যায়ে সর্বোচ্চ দুইহাজার নারী নিয়ে এমন আয়োজন আর হয়নি এই র্যালিটি উপজেলা পর্যায়ে একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের নিহত সদস্যদের স্মরণে কুমারখালীর কয়েক হাজার মানুষের উপস্থিতিতে উক্ত শোক র্যালি ও আলোচনা সভা সরগরম হয়ে ওঠে। শোক র্যালির শুরুতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে অনুসরণ করে দেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।
শোক র্যালি শেষে শোক সভায় আমাদের স্বাধীনতা অর্জনে বঙ্গবন্ধুর অবদান ও ১৫ আগস্টের ঘটনাবলী নিয়ে আলোচনা করেন আওয়ামী লীগ নেতা সুফি ফারুক। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন বুকে নিয়ে এগিয়ে চলেছিলেন তার অবর্তমানে সেই স্বপ্ন পূরণের কাণ্ডারি হয়ে বাস্তবায়ন করছেন তারই কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে সোনার বাংলা গড়ার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াচ্ছে। আমরা এখন মধ্যআয়ের দেশ। তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকলে অচিরেই আমার উন্নত দেশে পরিণত হতে পারবো।’
উন্নয়নের ধারা বাহিকতা বজায় রাখতে সুফি ফারুক সবাইকে আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে পুনরায় জননেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করার আহ্বান জানান।