নিরাপদ সড়ক আন্দোলন : আন্দোলনের শুরুতে শিক্ষার্থীরা শান্ত ছিল। কারও ইচ্ছে ছিল না সহিংস কিছু করার।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ছিল বাচ্চাদের কিছু না বলার।
সেসময় অল্প কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে, হঠাৎ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাত থেকে, সকল নিয়ন্ত্রণ নিতে গিয়ে। পরিস্থিতি সহিংস হবার মতো তখনও কিছু হয়নি। অনেক এলাকায় রাস্তা বন্ধ করে পিকনিকের মতোই চলছিলো আন্দোলন।
ইতোমধ্যে চলে এলো সোশাল মিডিয়ার কিছু গুজববাজ পার্টি।
দেশে-বিদেশে বিভিন্ন জায়গায় ঘটা বিভিন্ন এক্সিডেন্ট, গণ্ডগোলের ছবি-ভিডিও দিয়ে ছড়াতে লাগলো গুজব। যেমন –
আটকে রাখার গুজব, আগুন দেয়া গুজব, পিটিয়ে মেরে ফেলার গুজব, পুলিশের গুলিতে মরার গুজব। সাথে চাটনি হিসেবে ছিল ধর্ষণ গুজব।
এই গুজবই শিক্ষার্থীদের উত্তেজিত করেছে। একজন সহযোদ্ধার উপরে অত্যাচার অন্যজনকে উত্তেজিত করবেই বা না কেন?
পানি ঘোলা হতে শুরু হল। পানি ঘোলা হতেই মাঠে নেমে পড়লো তৃতীয় পক্ষ। একটু একটু করে সংঘর্ষ। সেটার খবরে-ছবিতে-ভিডিওতে আবারো সংঘর্ষ। ক্রমশ সব পার্টি জড়িয়েছে। রায়টের মতো।
সকল ছবির সোর্স ভেরিফাই হবার পরে দিন ক্ষণ ঘটনাগুলো মিলিয়ে দেখুন, পরিষ্কার বুঝবেন।
আজ যদি এই অনলাইনের গুজববাজ এবং সোর্স ভেরিফাই না করে এসব শেয়ারকারী অতি উৎসাহী অনলাইন বিবেকের দল না থাকতো, পরিস্থিতি এতটা ঘোলাটে হতো না।
দেখলাম গুজব শেয়ারকারীরা অনেকেই তাদের পোস্ট মোছা শুরু করেছেন।
কিন্তু যে ক্ষতিটা করলেন তা ডিলিট করা যাবে না, আনডু করা যাবে না।
একই কাজ আপনারা শাহবাগের সময় করেছিলেন, হেফাজতের সময় করেছিলেন।
এরপর সেসব পোস্ট মুছেছিলেন। আবার করলেন, আবার মুছলেন।
ভবিষ্যতে হয়ত আরেকবার করে দেখবেন কেমন লাগে….
আন্দোলনের শুরুতে শিক্ষার্থীরা শান্ত ছিল, কারও ইচ্ছে ছিল না সহিংস কিছু করার [ নিরাপদ সড়ক আন্দোলন ]
আরও পড়ুন: