কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কয়া ইউনিয়নে অবস্থিত কয়া আবাসন মূলত ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের পুনর্বাসনের জন্য গড়ে ওঠা একটি সরকারি প্রকল্প (আশ্রয়ন প্রকল্প/আবাসন প্রকল্পের অংশ হিসেবে)। এটি স্থানীয়ভাবে “কয়া আবাসন প্রকল্প” বা শুধু “কয়া আবাসন” নামে পরিচিত।
প্রকল্পের উদ্দেশ্য
ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে আবাসন প্রদান।
জীবিকা ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
শিক্ষার আলো ও স্বাস্থ্যসেবা তাদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া।
কর্মসংস্থান ও ক্ষুদ্র অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সুযোগ তৈরি করা।
অবকাঠামো ও সুবিধা
প্রতিটি পরিবারকে একটি করে পাকা ঘর প্রদান করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ, পানীয় জলের ব্যবস্থা এবং স্যানিটেশন সুবিধা রাখা হয়েছে।
ঘরগুলোর চারপাশে গড়ে উঠেছে একটি বসতি সমাজ যেখানে মানুষ পরস্পরের সাথে সামাজিক বন্ধনে আবদ্ধ।
সাধারণত আবাসনের সাথে একটি ছোট আঙিনা বা জমিও বরাদ্দ দেওয়া হয়, যেখানে উপকারভোগীরা সবজি বা গৃহপালিত পশু পালন করতে পারেন।
সামাজিক প্রভাব
এলাকার অনেক হতদরিদ্র পরিবার এখন নিরাপদ আশ্রয় পেয়েছে।
নারী-পুরুষ উভয়ের সামাজিক মর্যাদা ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পেয়েছে।
স্কুলগামী শিশুদের সংখ্যা বেড়েছে।
সরকার ও বেসরকারি সংস্থার নানা উন্নয়ন কার্যক্রমের আওতায় আসছে আবাসন এলাকার পরিবারগুলো।
গুরুত্ব
এই আবাসনে সুফি ফারুক ইবনে আবুবকরের বিভিন্ন কর্মকান্ড তুলে ধরা হলো।
কয়া আবাসনে কমিউনিটি সেলাই কেন্দ্র’র কার্যক্রম শুরু:
কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের আবাসনে কমিউনিটি সেলাই কেন্দ্র’র কার্যক্রম শুরু। শুরু হয়েছে কমিউনিটি সেলাই কেন্দ্র – কুমারখালী-খোকসার নারীকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলতে সুফি ফারুকের উদ্যোগে।
সুফি ফারুক-এর পেশা পরামর্শ সভার আওতায়, দীর্ঘ ১ মাসের দর্জি প্রশিক্ষণ শেষে, দরিদ্র মা-বোনদের (যাদের নিজেদের মেশিন কিনে নেবার সামর্থ্য নেই তাদের) জন্য তৈরি করা হয় “কমিউনিটি সেলাই কেন্দ্র”। একটি নির্দিষ্ট জায়গা ঠিক করে, সুফি ফারুক এর পক্ষ থেকে প্রয়োজন অনুযায়ী সেলাই মেশিন স্থাপন করা হয়। শর্ত থাকে উক্ত মেশিন সবাই মিলে ব্যবহার করবেন। কেউ নিজে মেশিন তার বাড়িতে নিয়ে যেতে পারবেন না। কাজ করে পরিমাণ মত পুঁজি সঞ্চয় করার পরে, তারা তাদের নিজেদের সেলাই মেশিন কিনে নেবেন।

ইতিমধ্যে বিভিন্ন সেলাই কেন্দ্র থেকে কাজ করে, আয় করে, নিজেদের পুঁজি তৈরি করে, নিজেদের সেলাই মেশিন কিনে স্বাবলম্বী হয়েছেন অনেকেই।

বিগত ২ আগস্ট কুষ্টিয়া জেলার, কুমারখালী উপজেলার, কয়া ইউনিয়নের, আবাসনে, “কমিউনিটি সেলাই কেন্দ্র” এর কার্যক্রম শুরু করা হয়। সেলাই মেশিন স্থাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এই প্রকল্প সমন্বয়কারী আশরাফুননাহার শিল্পী, উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুভাষ দত্ত, কুমারাখালী গুরুকুলের সমন্বয়কারী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, শিলাইদহ মহিলা কলেজের প্রভাষক আব্দুস সালাম।

আরও দেখুন:
