কুড়েমি [ Kuremi ] : আমার মতে বাঙালীর নিজস্ব সম্পদ হল কুড়েমি। ন্যাকামি নয়, পাকামি নয়, ভাঁড়ামি নয়, চ্যাংড়ামি নয়, একান্তই কুড়েমি। কুড়ের বাদশার একটা গল্প আছে। সে ভদ্রলোক বিয়ের পর বাসর রাত করতে গেছেন। ফুলশয্যায় বৌকে জড়িয়ে ধরে চুপচাপ পড়ে ছিলেন। অপেক্ষা করছিলেন ভূমিকম্পের। এ হেন কুড়ে ব্যক্তিটি সম্ভবত বাঙালী ছিলেন। নইলে এত কুড়ে হয়? সত্যি বলতে আলস্য আমার প্রিয়।
আলস্য আমার মতে দু’প্রকার। এক নম্বর হল কিছু না করা। সেটা শক্ত। দু’নম্বর হল যে কাজ করতে হয় আপনাকে প্রয়োজনের খাতিরে, জীবনরক্ষার তাগিদে. তা না করে অপ্রয়োজনায় কাজ করা, সে কাজ করা, যাতে মনে শান্তি হয়, সুখ হয়, কিন্তু কর্মের কৃচ্ছ তা হয় না। যার কোন মানে নেই, সে কাজ করাটাই একধরনের কুড়েমি। সে কুড়েমির আনন্দ অঢেল।
যেমন ধরুন, আমার সিনেমার গল্প নিয়ে প্রযোজকদের সঙ্গে তর্কবিতর্ক না করে যদি আমি মেরিন ড্রাইভের পাঁচিলে বসে চিনেবাদাম চিবুতে চিবুতে প্রতিটি চলমান মেয়ের অ্যানাটমি বিশ্লেষণ করি তবে এর মত আনন্দদায়ক কুড়েমি আর কি হতে পারে? বলুন? কত সমস্যা-মূলক প্রশ্ন মাথায় আসতে পারে। যেমন শাড়ি পরা সব মহিলারাই কি আণ্ডারওয়ার পরেন? কিংবা ম্যাক্স পরলেও কি ওদের সেক্সী দেখায়? নয়তো এই যে এইমাত্র মেয়েটা গেল, তার চুলটা কি নিজের না পরচুল।
আপনার ভাবছেন এই সব অর্থহীন ভাবনা নিয়ে আলস্যে যারা দিন কাটায় তারা পৃথিবীর মানব-জীবনের কলঙ্ক। কিন্তু তা সত্যি হয়। পৃথিবীর যত শিল্প, যত রূপ, যত সৌন্দর্য সব অলস মনেরই মানস সরোবর। রবীন্দ্রনাথ তাই ‘ভুল স্বর্গ’ নিবন্ধে লিখেছেন একজন বেকার যুবকের কথা। সে কুড়ে, সে বেকার। অথচ ‘সমস্ত জীবন অকাজে গেল, মৃত্যুর পরে খবর পেলে যে তার স্বর্গে যাওয়া মঞ্জুর।’ রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন, এই স্বর্গে আর সবই আছে, কেবল অবকাশ নেই। রবীন্দ্রনাথ সে অলস যুবকের সম্পর্কে লিখেছেন-“এ বেচারা কোথাও ফাঁক পায় না, কোথাও খাপ খায় না।
রাস্তায় অন্যমনস্ক হয়ে চলে, তাতে ব্যস্ত লোকের পথ আটক করে। চাদরটি পেতে যেখানেই আরাম করে বসতে চায়, শুনতে পায় সেখানেই ফসলের ক্ষেত, বীজ পোঁতা হয়ে গেছে। কেবলই উঠে যেতে হয় সরে যেতে হয়।
ভারি এক ব্যস্ত মেয়ে স্বর্গের উৎস থেকে রোজ জল নিতে আসে। পথের উপর দিয়ে সে চলে যায় কেন দ্রুত তালের গতের মত। তাড়াতাড়ি সে এলোখোঁপা বেঁধে নিয়েছে। তবু দু’চারটে দুরন্ত অলক কপালের উপর ঝুঁকে পড়ে তার চোখের কালো তারা দেখবে বলে উঁকি মারছে। স্বর্গীয় বেকার মানুষটি একপাশে দাঁড়িয়ে ছিল, চঞ্চল ঝর্ণার ধারে তমাল গাছটির মত স্থির। জানালা দিয়ে ভিক্ষুককে দেখে রাজকন্যার যেমন দয়া হয়, একে দেখে মেয়েটির তেমন দয়া হল।
আহা, তোমার হাতে বুঝি কাজ নেই?
নিশ্বাস ছেড়ে বেকার বললে, কাজ করব তার সময় নেই।
মেয়েটি ওর কথা বুঝতে পারলে না। বললে, আমার হাত থেকে কিছু কাজ নিতে চাও?
বেকার বললে, তোমার হাত থেকে কাজ নেব বলেই দাঁড়িয়ে আছি।
কি কাজ দেব?
তুমি যে ঘড়া কাঁখে করে জল তুলে নিয়ে যাও তারই একটি যদি আমাকে দিতে পারো-
ঘড়া নিয়ে কি করবে? জল তুলবে?
না, আমি তার গায়ে চিত্র করব।
মেয়েটি বললে, আমার সময় নেই, চললুম।”
কিন্তু রবীন্দ্রনাথ দেখিয়েছেন বেকার লোকের সঙ্গে কাজের লোক কখনই পেরে ওঠেন না। মেয়েটি বেকারকে একদিন ঘড়া দিতে বাধ্য হল। সেইটে ঘিরে বেকার আঁকল নানাবর্ণে সুন্দর চিত্র। আঁকা শেষ হলে মেয়েটি ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখল সেই চিত্র। তারপর “ভুরু বাঁকিয়ে প্রশ্ন করলে, এর মানে?
বেকার লোকটি বললে এর কোন মানে নেই।”
রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন তারপর মেয়েটির সঙ্গে আবার বেকার যুবকের দেখা হয়। রঙিন সুতো বুনে বেণী বাঁধবার দড়ি তৈরি করে দেয় সে। মেয়েটি সেই সুন্দর দড়ির উপহারেরও কোন মানে খুঁজে পেল না।
এদিকে কেজো স্বর্গে কাজে ফাঁকি দেখা যেতে লাগল। স্বর্গের প্রবীণরা চিন্তিত। স্বর্গের ইতিহাসে এত বড় অন্যায় আর হয় নি। স্বর্গের দূত এসে অপরাধ স্বীকার করল। সে বললে, আমি ভুল লোককে ভুল স্বর্গে এনেছি। ভুল লোককে সভায় আনা হল। সভাপতি তাকে পৃথিবীতে ফিরে যাওয়ার শাস্তি দিলে। সে তার রঙের ঝুলি তুলি কোমরে বেঁধে বললে, তবে চললুম।
রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন, “প্রবীণ সভাপতি অন্যমনস্ক হয়ে গেল। এই সে প্রথম দেখলে এমন একটা কাণ্ড যার কোন মানে নেই।”
(“লিপিকা”- ভুল স্বর্গ:রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)
কুড়েমির সপক্ষে এর চেয়ে ভাল যুক্তি আমি আর কি দেব বলুন। শিল্প, রূপ, প্রেম এসব তো কেজো জগতের কর্মফল নয়, এ হল বেকার জগতের অকর্মের ফসল। কেজো পৃথিবীতে এই সব আলসেমির কি কোন মূল্য আছে, মানে আছে? নেই।
আজকের এই অর্থহীনতারই তার সবচেয়ে বড় মূল্য। “এর কোন মানে নেই” বলেই এ এত অমূল্য, এত বিরল বলেই এত দুষ্প্রাপ্য বলেই এত মূল্যবান এই বস্তু-যার নাম আলস্য।
প্রেমেন্দ্র মিত্রও ‘কুড়েমি’র সপক্ষে কম ওকালতি করেন নি। উনি লিখেছেন, “কুড়েমিই যদি না করলাম তাহলে মানুষ হবার দুর্লভ গৌরব কিসের? কাজ তো সবাই করে-চন্দ্র, সুর্য, গ্রহ, তারা, জড় থেকে চেতন সমস্ত সৃষ্টি কাজের অমোঘ শৃঙ্খলে বাঁধা। কুড়েমি করবার অধিকার শুধু একমাত্র মানুষের।”
উনি আরও লিখেছেন, “কুড়ে লোক ফাঁকা মাঠ দেখলে দাঁড়ায়, খানিক বাদে শুয়ে পড়ে। কিন্তু কাজের লোক মাঠ দেখলেই আগেই যায় মাপতে, তারপর দখল করার জন্য লাঠালাঠি বা মামলা না বাধিয়ে তার সোয়াস্তি নেই। ফাঁকা মাঠ দেখলে শুয়ে পড়বার লোক যদি পৃথিবীতে বেশী থাকত, তাহলে মাঠ খুঁড়ে পরিখা কাটার প্রয়োজন অন্তত হত না।”
কি গভীর বিশ্লেষণ। প্রেমেনদা এক লাইনে এই কুড়েমির সংজ্ঞা দিয়েছেন। উনি লিখেছেন, “কুড়েমি মানে তো মনের শূন্যতা নয়, অসীম রহস্যে ডগমগ মনের নিথর নিটোল পূর্ণতা।”
(“বৃষ্টি এল”- কুড়েমি:প্রেমেন্দ্র মিত্র)
বাংলা সাহিত্যের দু’জন হস্তী ‘কুড়েমি’র মহত্ত্ব বর্ণনা করেছেন। এরপর বাংলা সাহিত্যের জনৈক মূষিকও সেই সুরেই পোঁ ধরেছে। এতেও কি আপনারা মানতে রাজি নন?
কুড়েমির দৃষ্টান্ত অনেক। আপনাদের একজন ইতালিয়ানের গল্প শোনাই। ঝকঝকে দিন। বছর বিশ বয়েসের একটি স্বাস্থ্যবান ছেলে টিভলি ফোয়ারার পাশে চোখের উপর টুপি টেনে দিবানিদ্রা দিচ্ছিল। ব্যস্তবাগীশ ধনী এক মার্কিন ভদ্রলোক ছেলেটির চরম আলস্যে রেগে গিয়ে বললেন,
ওহে, জলজ্যান্ত স্বাস্থ্যবান ছেলে হয়ে এভাবে কুড়ের মত ঘুমুতে তোমার লজ্জা করে না?
ছেলেটি চোখের উপর টুপিটা তুলে বলল, না। কেন, আপনার আপত্তি, কেন?
ভদ্রলোক : এই বয়সে তোমার মেহনৎ করা উচিত, কাজকর্ম করা উচিত, পয়সা রোজগার করা উচিত।
ছেলেটি : তারপর?
ভদ্রলোক : রোজগার করে অন্য দশটা পুরুষের মত বিয়ে করা উচিত।
ছেলেটি : তারপর?
ভদ্রলোক : তারপর ছেলেপুলে হলে তাদের মানুষ করা উচিত।
ছেলেটি : তারপর?
ভদ্রলোক : তারপর বৃদ্ধ বয়সে রেস্ট করবে।
ছেলেটি বলল : আমি এখনই তাই করছি। বলে টুপিটা চোখের ওপর টেনে নির্বিকার চিত্তে দিবানিদ্রায় মগ্ন হল।
খাসা লজিক। শেষজীবনে তো ওই বিশ্রামই করতে হবে। মাঝখানে টাকা রোজগার কর, সংসার কর। কি দরকার এই ঝড় ঝামেলায়। তাই সোজা বিশ্রাম করতে লেগে গেছে সে। এতে মনে পড়েছে আমার এক বন্ধুর কথা। সে বিয়ার খাচ্ছিল আর বার বার পেচ্ছাপ করতে যাচ্ছিল। সবাই জানেন বিয়ার দ্রুতবেগে পাকস্থলী কিডনী ব্লাডার হয়ে ইউরিন রূপে বেরিয়ে আসে। আরকে বোতল যখন আনা হল তখন সে বোতল নিয়ে সোজা বাথরুমে চলে গেল। সোজা বোতল উপুড় করে ঢেলে দিল কমোডে। রেগে বিড়বিড় করল, শালা, যাবে তো সোজা যাও। আমার পেটে গিয়ে তোমাকে বেরুতে হবে না। সোজা চলে যাও বাওয়া। অনেক বোকা বানিয়েছ আর বোকা বনছি না বাপু।
আমি আরেক কুড়ের গল্প জানি।
সে ভদ্রলোকের স্ত্রী স্বামীর আলস্যে বিরক্ত বিব্রত। একদিন শয্যাবিলাসী স্বামীকে বললে, তোমার এত কুড়েমি করতে লজ্জা করে না। আমার বাবা বাড়ি ভাড়া পাঠান বলে ভাড়া দেওয়া যাচ্ছে। মামা টাকা পাঠান বলে সংসার খরচা খাবার-দাবার চলছে। বড়দা টাকা পাঠান বলে কাপড়-চোপড় কিনতে পারছি।
সব আত্মীয়রা এরকম সাহায্য করছে বলে বেঁচে রয়েছি। এতেও লজ্জা নেই তোমার?
ভদ্রলোক বললেন লজ্জা বরং তোমারই করা উচিত। তোমার ছোট কাকা এত রোজগার করছে, তোমার জামাইবাবু এত পয়সাওয়ালা অথচ এ দুজন আমাদের এক পয়সাও পাঠান না। এরকম অবিবেচক আত্মীয় তোমারই, আর বলছ কিনা আমার লজ্জা করা উচিত।
এরপর ভদ্রমহিলা লজ্জিত হয়েছিলেন কিনা জানি না।
কুড়েমি স্থবির কোন মানস নয়, কুড়েডি অনেক মহৎ চিন্তার উৎসও। বিশ্বাস করেন না?
থমাস হব্স্ বলেছেন Leisure is the mother of philosophy.
তাহলে ভাবুন দর্শনের মাতৃমূর্তি হল আলস্য। তার মানে এই নয় যে কুড়ে মাত্রেই দার্শনিক। তবে দার্শনিক মাত্রেই কুড়ে এটা আমি দেখেছি। কুড়ে এক দার্শনিককে জানি যে এত কুড়ে যে জীবনের কোন কর্মই উনি দু’বার করতে নারাজ। সিগারেট অফার করুন–বলবেন, একবার খেয়েছি, আর নয়। চা অফার করুন, একই উত্তর–একবার খেয়েছি আর নয়। হুইস্কির উত্তরও তাই। জিজ্ঞেস করুন, সিনেমা যাবেন? উত্তর পাবেন, একবার দেখেছি আর নয়।
বলা বাহুল্য, তাঁর সন্তান একটিই।
স্ত্রী একদিন ভগ্নকণ্ঠে বলেছিলেন, কোন অ্যাকসিডেন্টে যদি আমার মাথা থেঁ তলে যায় আমার স্বামী আমার শরীরের অন্যান্য প্রত্যঙ্গ দেখে সনাক্ত করতে পারবেন কিনা সন্দেহ। কেননা সেক্ষেত্রেও ‘একবার দেখেছি, আর নয়।’ বুঝুন কাণ্ড। দর্শন নিয়ে মত্ত উনি, অন্য কিছু দর্শন করার অবকাশই নেই।
আমাদের মাইথোলজী (ছাপাখানার দাদারা, থ’-এর জায়গায় ভুল করে ‘খ’ ছাপবেন না যেন) খুলে দেখুন, তাতেও কুড়ের উল্লেখ রয়েছে। প্রত্যেক হিন্দুর আলাদা আলাদা ‘আইডল’ রয়েছে। কে কেউ কৃষ্ণভক্ত, কেউ কালী, কেউ রামভক্ত, কেউ দুর্গা। সেদিক দিয়ে আমাদের ঈশ্বরের সংখ্যার তো আর কম নেই। ছত্রিশ কোটি। বলা বাহুল্য, স্বর্গে কোনদিন জন্মনিয়ন্ত্রণের ঝামেলা ছিল না। যাকগে। যা বলছিলাম। আমার এক বন্ধুকে জিজ্ঞেস করছিলাম, তোর আইডল কে? সে বলল, আইডল্ মানে? যে, ‘ডল্’কে আমার ‘আই’ সর্বদা তৃষ্ণার্তের মত দেখতে চায় সে তো? সে হলন্ডহেমা মালিনী। বোঝ ঠ্যালা।Eye আরDoll-এর সন্ধি ভেবেছে IDOL। আমি বোঝাই, আরে না না। কোন্ দেবতা বা অবতারের তুমি ভক্ত?
এবার বোধগম্য হল তার। উত্তর দিল, কর্ণের।
বললাম, বীর ও দাতা কর্ণের?
না না। সে কর্ণের ভক্ত আমি নই। আমি যে কর্ণের ভক্ত তার নাম কুম্ভকর্ণ। ঘুমের রাজা ছিলেন।
ব্যক্তিগত ভাবে আমি গণেশ ঠাকুরের ভক্ত। কেননা আমার ধারণা উনিও কুড়ের রাজা। মা দুর্গা যখন কার্তিক ও গণেশ দুই ছেলেকে বলেছিলেন, যা পৃথিবী ঘুরে আয়। দেখি কে তাড়াতাড়ি ঘুরে আসতে পারে।
কার্তিক ময়ূরে বসে সুপারসোনিক জেটের কত উধাও হলেন। কিন্তু মহাচালাক হলেন গণেশ। উনি ভাবলেন ইঁদুর বাহন নিয়ে লোকাল ট্রেনের স্পীডে ঘোরা চাট্টিখানি কথা নয়। এছাড়া চেহারা দেখেই বোঝা যায় গণেশ বাবাজী মহাকুড়ে। তাই বুদ্ধি দিয়ে কাজ সারলেন উনি। চট করে মা’র চারদিকে ঘুরে এসে বললেন, মা, তুমি আমার পৃথিবী। তোমাকে প্রদক্ষিণ করে সারা পৃথিবী প্রদক্ষিণ হয়ে গেছে আমার।
মা দুর্গা ছেলের মাতৃভক্তি দেখে মহাখুশি। কিন্তু ভেবে দেখুন, ওই মোক্ষম ডায়ালগটার জন্য গণেশের কত পরিশ্রম কম করতে হল। এরপরও বলবেন গণেশ কুড়ে নন?
বিয়ে করা, বিশেষ করে মেয়েমানুষকে যে কত ঝামেলার ব্যাপার তাও ভাল জানতেন গণেশ ঠাকুর। তাই কলাবৌ রেখেছিলেন। কলাবৌ রেখেই মেয়েদের উনি কলা দেখিয়েছেন। শাড়ি দাও গয়না দাও এসবের ঝামেলা নেই। বরং কলাবৌ শুধু ঠায় দাঁড়িয়ে থাকবে আর মাঝে মাঝে স্বামীকে ফল খেতে দেবে। কুড়ের ঠাকুরের পন্য উপযুক্ত স্ত্রী। নয় কি? এজন্যই গণেশ ঠাকুরকে আমার পছন্দ।
আজকাল কুড়েইজ্ম্ (নতুন আবিষ্কার-আবিষ্কারক আচার্য শচীন্দ্রচন্দ্র ভৌমিক) খুব বেড়ে যাচ্ছে সারা পৃথিবীতে। নিউডিস্ট যারা থাকেন তারা কি আসলে কুড়ে নন? কাপড় কেন, সেলাই কর, তারপর এক এক অনুষ্ঠান অনুযায়ী পর। কম ঝামেলা? তারপর মেয়েদের তো ঘন ঘন ফ্যাশন পাল্টায়। আজ মিনি, কাল বেলবট্স্, পরশু লুঙ্গী, তরশু ম্যাক্সি। তারপর ম্যাচিং করে পরা। ছেলেদেরও কখনো ফোল্ডওয়ালা প্যান্ট, কখনো ফোল্ড ছাড়া ড্রেন পাইপ, আজকাল বেলবট্স্। কোট কখনো দু’ বোতাম, কখনো তিন। টাই কখনো সরু, কখনো মোটা। শার্টের কলার কখনও হ্রস্ব কখনও দীর্ঘ। ভাবুন, বস্ত্রপরিধান কত অর্থ, সময় ও শ্রমসাপেক্ষ। নগ্ন থাকা মানে এত সব পরিশ্রম থেকে রেহাই। সেজন্যই, অলসতার জন্যই প্রাচ্যে আজকাল এত নগ্ন আন্দোলনের ঢেউ।
তারপর এই হিপি আন্দোলন। এটাও আলস্যের পূজারীদেরই নতুন দর্শন। চুল কাটা নয়, দাড়ি কামানো নয়, স্নান নয়, কাপড় সামান্য পরলে তার বদলানোর ব্যাপার নেই, না পরলে তো ল্যাঠাই চুকে গেল। এসব কি? কুড়েমিরই জয়গান। ঠিক বলিনি? ঘর নেই, চালচুলো নেই, বিয়ে-শাদি নেই। স্রেফ গাঁজা খাও আর বসে বসে গ্যাঁজাও বা ভোঁস ভোঁস ঘুমোও। সেদিক থেকে আমাদের শিবঠাকুরও কম হিপি ছিলেন না। উনিও কুড়ের ঠাকুর ছিলেন। মার্কিন করুয়ক বা গিন্সবার্গ হিপিইজম্-এর প্রতিষ্ঠাতা নন।
শিবঠাকুরই এই আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা। ভেবে দেখুন ভুল বলি নি আমি।
কুড়ের সম্পর্কে আরেকটা গল্প আছে।
একটা লোক মাছ ধরতে বসেছে। ফাৎনা ডুবে গেছে তবু সে বসে বসে ঝিমুচ্ছে। পাশ দিয়ে এক ভদ্রলোক যাচ্ছিলেন।
সে বলল, ওহে, ছিপ ধরে টানো, তোমার টোপ তো মাছে খেয়েছে?
মৎস্যশিকারী বলল, আপনি একটু টেনে দেবেন স্যার?
ভদ্রলোক টেনে মাছ তুলল ডাঙায়।
মৎস্যশিকারী বলল, বঁড়শী থেকে মাছটাকে খুলে ঝাঁকায় রেখে দেবেন স্যার?
লোকটা তাই করল।
তখন শিকারী আবার বলল, ওই ডালা থেকে টোপ লাগিয়ে ছিপটাকে আবার জলে ফেলে দেবেন স্যার?
লোকটা এবারও কথামত ছিপ ফেললে। তারপর তাকিয়ে দেখে লোকটা যথারীতি আবার ঝিমুচ্ছে। ভদ্রলোক এবার বললেন, তুমি যদি এতই ক্লান্ত হতে ছেলেপুলেকে বল না কেন মাছ ধরতে? তারাই তো তোমার কাজ করতে পারে।
আধ বোজা চোখ তুলে লোকটা বলল, কথাটা ঠিক বলেছেন।
আপনার জানাশোনা কোন গর্ভবতী মেয়ে আছে স্যার?
বুঝুন! এর চেয়েও কুড়ে লোক আপনার জানা আছে? বৌর সঙ্গে বাসরঘরে শুয়ে যে ভূমিকম্পের জন্য অপেক্ষা করে এ লোকটা তার চেয়েও কুড়ে।
যাই বলুন, কুড়েমির একটা স্বাদ আছে। রকে বসে আড্ডা বা কফি হাউসে গ্যাঁজানোর চাইতে এই শীতে লেপের তলায় কুম্ভকর্ণ হওয়া অনেক বেশী আরামপ্রদ নয়? যত খুশি স্বপ্ন দেখুন কেউ আপত্তি করবে না। আদিরস থেকে অনাদিরসের সমুদ্রে হাবুডুবু খান কেউ তার জন্যে আপনাকে দোষী করবে না। কেউ যদি প্রশ্ন করে যে এত আলসেমীর মানে কি?
আপনি জবাব দেবেন-‘এর কোন মানে নেই।’
ইণ্টার ন্যাশনাল ব্রিডিং ব্যাঙ্ক ২০৫০ সাল
বিজ্ঞানের অগ্রগতিকে রুধিবে কে? কিছুদিন আগে পর্যন্ত আমার ধারণা ছিল চাঁদে হাত দেওয়ার অধিকার ও যোগ্যতা রয়েছে শুধুমাত্র মুকুল দত্তের। কেননা উনিই চাঁদ উসমানীর স্বামী। কলকাতার চাঁদের কথা জানি না। রাজশ্রী বসুর ডাক নাম নাকি চাঁদ। ওঁর অবশ্য স্বামী হয় নি এখনও, অন্য কোন আসামী আছে কিনা জানা নেই। আসামীদের ব্যাপার শ্রদ্ধেয় বিমল মিত্রের জানা থাকার কথা। উনিই আসামীদের মাঝে মাঝে হাজির করিয়ে থাকেন।
যাকগে। বলছিলাম বিজ্ঞানের কথা। আর্ম যতোই স্ট্রং হোক চাঁদে হাত দেওয়া চাট্টিখানা কথা নয়। চাঁদ দূরে থাক আমার তো মশাই ছাদেও হাত দিতে ভয় হয়। তবু দেখুন মার্কিন দেশের কোন এক নীল আর্মস্ট্রং চাঁদে শুধু হাত নয়, পা দিয়েও চলে এল। সব বিজ্ঞানের বাহাদুরী। সম্প্রতি নোবেল পুরস্কার প্রাপ্ত হরগোবিন্দ খরোনা সাহেব ‘জীবন’ সৃষ্টিতে ব্যস্ত। উনি আর্টিফিসিয়েল ‘জেনি’ প্রায় তৈরি করে ফেলেছেন। ভাবুন কি কাণ্ড, ছেলে নেই, মেয়ে নেই সেক্স নেই, বিয়ে নেই তুবও ল্যাবলেটরীতে প্রাণের জন্ম হবো হবো।
খরোনা সাহেবের আবিষ্কার আমাকে খুশী করতে পারছে না। জীবনের সারাংশ যৌবনের আগডুম বাগডুম ছাড়া জীবনের জন্য কেমন বিস্বাদ ব্যাপার। খোদার ওপর খোদকারী করে লাভ কি? তাই বলি, খরোনা, ও কাজটি তুমি করো না।
সম্প্রতি আর্ট বুশওয়াল্ড লিখেছেন আমেরিকায় জানোয়ারদের বীর্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা হয়েছে। বৈজ্ঞানিকরা বিখ্যাত স্বাস্থ্যবান ষাঁড়ের শুক্রকীট বাঁচিয়ে রাখছেন ও সেটা কোন দুর্বল জাতীয় গাভীকে দিয়ে সুস্থ বাছুরের জন্ম দেওয়াচ্ছেন। টেস্টটিউব বেবী বলতে পারেন। এতে ভালো জাতের ক্যাটল্ তৈরি হবে। দুধও বেশী দেবে এইজাতের ক্রশব্রিড গরুর পাল। সারা পৃথিবীর যে কোন জায়গা থেকে সুস্থ জানোয়ারের শুক্রকীট সংগ্রহ করে রাখা হবে এই ব্রিডিং ব্যাংকে ও যে কোন কৃষক কিনতে পারবে এই সুস্থ জানোয়ারের জীবনীশক্তি। আর্ট বুশওয়াল্ড লিখেছেন জানোয়ারের ক্ষেত্রে সফলতা পাওয়া গেছে সুতরাং বলা বাহুল্য কিছুদিন পর মানুষের ক্ষেত্রেও সফলতা প্রাপ্ত করবে এই বিজ্ঞানীরা।
সুতরাং আসুন দু’হাজার পঞ্চাশ সালের একটি দিনের কথা ভাবা যাক। সারা বিশ্বে ততদিনে ইন্টারন্যাশনাল ব্রিডিং ব্যাংক-এর স্থাপন হয়েছে দু-ভাগে। একদিকে ‘এনিম্যাল সেকসান’। অন্যদিকে ‘হিউম্যান সেকসান’। হেড অফিস জেনিভা। এটা ‘হু’র দপ্তরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। ‘হু’ মানে WHO মানে ওয়ার্ল্ড হেল্থ ওর্গানাইজেশন।
সে আগামী যুগের একদিনের ঘটনা শুনুন। নব বিবাহিত দম্পতি। নাম দুর্বলচিত্ত ভট্টাচার্য ও স্ত্রীর নাম যৌবন-বহ্নি। দুর্বলচিত্ত স্বাস্থ্যবান ছেলে কিন্তু বাবা, ঠাকুরদা হার্টের অসুখে মরেছেন বলে নিজে দুর্বলচিত্ত নাম নিয়েছেন ও বিয়ের আগেই ঠিক করেছিল যৌবনবহ্নির সঙ্গে পরামর্শ করে যে নিজে সন্তানের বাপ হবে না। প্রতি জায়গায় যখন ব্রিডিং ব্যাংক রয়েছে তবে কেন হার্টের দুর্বলতাসহ শিশু জন্ম দেওয়া? এই হেরিডিটির কলঙ্কমোচনের অমোঘ উপায় রয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ব্রিডিং ব্যাংক, হিউম্যান সেকসানে। ইচ্ছেমতো সন্তান পাওয়ার অভিনব বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থা কাজে লাগাতে মনস্থ করলেন ওঁরা।
সুতরাং একদিন স্বামী-স্ত্রী সোজা এসে দাঁড়ালেন ব্রিডিং ব্যাংকের কাউন্টারে।
সেচ বিভাগের কর্মচারী বৃষকেতু সরকার এগিয়ে এলন, -বলুন, কি চাই? আপনারা কনিতে এসেছেন তো? কার ‘জন্মবীজ’ চাই বলুন? সব ফ্রিজ করে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে এখানে।
দুর্বলচিত্ত বললেন, আমি ফুটবলের খুব ভক্ত। ভালো ফুটবল প্লেয়ারের মধ্যে কার স্টক আছে? সুভাষ ভৌমিক বা চুণী গোস্বামীর পাওয়া যাবে?
কর্মচারী : স্যরি, চুণীর তো দু’বছর ধরে সোল্ড আউট। সুভাষের কালকে পর্যন্ত ছিল কিন্তু এক পাঞ্জাবা দম্পতি লাস্ট স্যাম্পল নিয়ে গেছে। সুকল্যাণ ঘোষ দস্তিদারের রয়েছে। চাই ?
স্বামী : দিন না।
স্ত্রী : চেঁচিয়ে উঠলেন, -না, চাই না।
স্বামী : মোহনবাগানের ক্যাপটেন ছিলেন।
স্ত্রী : জানি। কিন্তু খেলার চাইতে রেফারীর নাক ভেঙেছে বেশী। আমি এমন ছেলে চাই না যে খালি রেফারীর নাক ভাঙুক। সভ্যভব্য আর্টিষ্টিক ছেলে চাই। ফরেন আর্টিস্টের আছে? পিকাসোর?
কর্মচারী : পাবেন। দেবো?
স্বামী : না মশাই। অগ্নি, তুমি ভুলে গেছো চাটুয্যে, আরে আমাদের কুমড়োপটাশ চাটুয্যে পিকসোর নিয়ে গিয়েছেল না? তাদের ছেলে কি হয়েছে? পাঁচটা বিয়ে করেছে শুধু। ছবি মোটেই কিছু আঁকে নি!
কর্মচারী : সেটা সম্ভব। দাতার সব কয়টি গুণ পাবে এরকম না-ও হতে পারে। হয়তো ওদের সন্তান পিকাসোর আঁকার ক্ষমতা পায় নি, শুধু ওঁর বার বার বিয়ে করার গুণটা পেয়েছে।
স্ত্রী : তাহলে চাই না বাপু। ফিল্মস্টারের রয়েছে?
কর্মচারী : হ্যাঁ। তবে দিলীপকুমার, উত্তমকুমার ও রাজেশ খান্নার সব ফুরিয়ে গেছে।
স্বামী : ধর্মেন্দরের রয়েছে?
কর্মচারী : ওর স্টক তো মশাই এক মাসে শেষ হয়ে গিয়েছিল। সব নতুন স্বামী-স্ত্রীরা ধর্মেন্দরের জন্যে পাগল। তবে রাজেন্দ্রকুমারের রয়েছে।
স্ত্রী : না। রাজেন্দ্র তো দিলীপকুমারের নকল করতেন, তার চাই না। অরিজিন্যাল হওয়া চাই।
কর্মচারী : পতৌদির চাই। ভালো ক্রিকেটার ছিলেন।
স্বামী : না মশাই। যদি বড় হয়ে একটা চোখ কানা হয়ে যায়? সব মেয়েই তো শর্মিলা নাও হতে পারে। তখন ছেলের বিয়ে দিতে প্রাণান্ত হবে। ওয়াডেকার বা ইঞ্জিনিয়রের নেই?
কর্মচারী : না স্যরি। গভসকার পাবেন।
স্ত্রী : না। বড্ড তাড়াতাড়ি ওর ফর্ম নষ্ট হয়েছিল। ওর চাই না।
স্বামী : রাইটার কারুর আছে।
কর্মচারী : সমরেশ বসুর চলবে?
স্ত্রী : না। খালি ‘বিবর’ আর ‘প্রজাপতি’ লিখবে।
কর্মচারী : শচীন ভৌমিকের?
স্ত্রী : মাগো, নোংরা নোংরা প্রশ্নোত্তর দিতেন তো? ঠাকুমা বলতেন ওর কথা। অশ্লীল লেখকদের বাদ দিয়ে ভালো লেখকদের নেই। যেমন বিমল মিত্র?
কর্মচারী : না। পুরনো জমিদার পরিবারের বৌরা সব নিয়ে গেছে। ওঁদের প্রিয় লেখক তো উনিই। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কিছু রয়েছে বোধ হয়।
স্বামী : না। বড্ড ড্রিংক করতেন। সত্যজিৎ রায়ের?
কর্মচারী : স্যার, ব্লাকে বিক্রি হয়েছে। এখনও সে কর্মচারী ও ম্যানেজারের নামে সি, বি, আই-এর কেস চলেছে। ম্যানেজার এত লোভী ছিলেন যে আসল ফুরিয়ে যাওয়ার পর বি, আর ইসারার সত্যজিতের বলে চালাবার চেষ্টা করেছেন। উনি সাস-পেণ্ডেড। জেল হয়ে যাবে বোধ হয়। ঋত্বিক ঘটকের চলবে?
তবে একটা ভয় আছে। মানে এলকহলিক হতে পারে সন্তান।
স্ত্রী : না। বিপদ দেখছি। যা পছন্দ তাই দেখছি আউট অফ্ স্টক্।
কর্মচারী : বিদেশী নিন। আরব কোন লিডারের দেবো?
স্বামী : না। খালি হাই জ্যাকিং করবে হয় তো। কেনেডীর আছে?
স্ত্রী : না, ভয় করে। ওদের পরিবারের বেশির ভাগই অপঘাতে মরেছে। জেনেশুনে নিতে চাই না।
কর্মচারী : তা ঠিক। দেশী মন্ত্রী চলবে? পি সি সেন, বিধান রায় ও অজয় মুখার্জির অনেক স্টক।
স্বামী : জানি স্টক ওতে রয়েছে কেন। এঁরা সবাই ব্যাচেলার ছিলেন। ছেলে বিয়ে না করে চিরকুমার থাকুক ওটা আমরাও চাই না।
কর্মচারী : দেখুন সব লেবেল্ লাগানো। এদেশী বিদেশী সব রয়েছে। পছন্দ করে বলুন।
হঠাৎ স্ত্রী চেঁচিয়ে উঠল, পেয়েছি।
স্বামী : কার?
স্ত্রী : দেখো, ছেলের নাম আগেই ঠিক ছিল আমার মনে। ঠিক করেছি নাম রাখবো মানিক। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় তুমি বললে ড্রিংক বেশি করতেন, মানিক ওরফে সত্যজিৎ রায় শুনলে যে ব্লাকে বিক্রি হয়েছে। আরেক মানিক দেখো এখনও রয়েছে। আমি এটাই চাই।
স্বামী লেবেল্ পড়লেন, জেনারেল মানিক শা।
স্বামী খুশি হয়ে, আমি রাজি। যুদ্ধে জিতেছিলেন ও বাংলা দেশের মতো দেশকে মুক্ত করেছিলেন। পরে ফিল্ড মার্শাল হয়ে-ছিলেন। শুনছেন বৃষবাবু।
কর্মচারী দৌড়ে এলেন।
স্বামী : এটাই দিন। জেনারেল মানিক শা।
কর্মচারী : ভেরী গুড্। খুব লাকি আপনারা। ওটাই ওর লাস্ট স্যাম্পল। এরপর ওঁর স্টকও আউট হয়ে গেল। নিন, বিল করে দিচ্ছি। পেমেন্ট করুন ওই কাউন্টারে।
স্ত্রী : বেশ।
স্বামী : চলো কাজের মতো কাজ হল একটা।
দুজনে হাতে হাতে ধরে ফিরে এল। সঙ্গে নিয়ে এল জেনারেল মানিক শা’র জীবনী বীজ।
২০৫০ সালের ঘটনাটা কেমন লাগল? ভাবছেন গুল্ মারছি? না মশাই, এটাই ঘটবে। বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে আমি নিঃসন্দেহ। জয় হোক বিজ্ঞানের।
কুড়েমি [ Kuremi ] – শচীন ভৌমিক [ Sachin Bhowmick ]
শচীন ভৌমিক কে আরও পড়ুন:
- ফর অ্যাডাল্টস ওন্লি – শচীন ভৌমিক (ভূমিকা) [ Sachin Bhowmick – For Adults Only ]
- কৌতুকী সংগ্রহ– শচীন ভৌমিক
- রুস্তমচাচা– শচীন ভৌমিক
- বেঞ্জী সাহেব– শচীন ভৌমিক
- পটের বিবি– শচীন ভৌমিক
- কর্নেল ব্রাগাঞ্জা– শচীন ভৌমিক
- ঝিনুক– শচীন ভৌমিক
- একটি আটপৌরে গল্প– শচীন ভৌমিক
- উর্দু শের– শচীন ভৌমিক
- গুজব– শচীন ভৌমিক
- পটের বিবি থেকে POT এর বিবি– শচীন ভৌমিক
- এনার্জি– শচীন ভৌমিক
- সফর সংকীর্তন– শচীন ভৌমিক
- কাগজ – শচীন ভৌমিক
- কুড়েমি – শচীন ভৌমিক
- স্ট্রিকিং– শচীন ভৌমিক
- বচন ফকিরের কল্কে – শচীন ভৌমিক
- একটি ডেড্ লেটারের ইতিহাস – শচীন ভৌমিক