পরশ্রীকাতরতা থেকে আমাদের নিজের শ্রেণীকে ঘৃণা !

পরশ্রীকাতরতা থেকে আমাদের নিজের শ্রেণীকে ঘৃণা !

নিজের ক্লাসের কেউ একটু ভালো আপ্যায়ন, সম্মান বা ট্রিটমেন্ট পাচ্ছে দেখলে আমাদের খুশি হবার কথা।
আমরা কি তা হই?

সম্প্রতি চট্রগ্রাম গিয়েছিলাম।
একজন দাওয়াত করলেন। দামী রেস্তোরাঁ, দুপুরের খাবার, বুফে। সজ্জন হোস্ট ভদ্রলোক আমাদের গাড়িচালক দুজনকে একই সাথে খাবার আমন্ত্রণ জানালেন। দুজনকে ফোন করে ডাকলাম।

পরশ্রীকাতরতা থেকে আমাদের নিজের শ্রেণীকে ঘৃণা
Daily Diary of Sufi Faruq Ibne Abubakar

খেয়াল করলাম চালক দুজন ঢুকে অপ্রস্তুত দাঁড়িয়ে আছে, বসছে না। সার্ভার/ওয়েটার কেউ বসতে বলছে না। এমন ভাব করছে যেন ওখানে কেউ নেই।

ডেকে পাশে বসালাম। বসা মাত্রই দেখলাম একজন সার্ভার এসে একটা ঝটকায় ওদের সামনে থেকে ন্যাপকিন উঠিয়ে নিয়ে গেলো। এরপর ওদের সাথে এমন ব্যাবহার করতে লাগলো যেন বেচারারা ঠিকমতো খেতে না পারে। দুবার সাবধান করার পরেও আচরণ খুব একটা বদলালো না।

এর মাঝে ডেজার্ট আনতে গিয়ে দেখি বুফের পাশে তখনও জবুথবু দাঁড়িয়ে আছে, খাবার নেয়নি। দুজনের হাতে প্লেট দিয়ে খাবার উঠিয়ে দিয়ে বললাম পরে এসে যা লাগে নিয়ে যেয়ো।

অনভ্যস্ততার কারনে যায়নি, খালি প্লেট দেখে আবারও খাবার এনে দিলাম। এটা দেখেও সার্ভারের আচরণ বদলালো না। ধুপ ধাপ করে পাশে পানির বোতল রাখে, কোমল পানিয়র গ্লাস এত জোরে রাখলো যে কিছুটা ছিটিয়ে পড়লো।

অথচ এর মাঝে তেলতেলে মুখ করে আমাকে অন্তত ২০ বার জিজ্ঞেস করেছে কিছু লাগবে কি না।

ওদের জন্য মিস্টি-দই বেড়ে রেখে ওয়াশরুমে গেছি, অল্পক্ষণেই ফিরে এসে দেখি ওরা নেই, থালা বাসনও নেই। মানে আমি যাওয়ামাত্র ওদের উঠে যাবার তাগাদা দিয়েছে!

রেস্তোরাঁর সার্ভার আর গাড়িচালক প্রায় একই রকম আয়ের মানুষ। তাদেরই এক ভাই এখানে বসে খাচ্ছে দেখে খুশি হনার কথা। কিন্তু হয় উল্টো!

আমরা খুশি হইই না৷ বরং আমরা কেমন যেন হিংস্র হয়ে উঠি! মহান আল্লাহ আমাদের নিচতার পাপ থেকে হেফাজত করুন।

================================
আমি যে সব সময় এরকম খোঁজ খবর নিতে পারি তা নয়। তবে চেস্টা করছি)ল। তাছাড়া দাওয়াতে অনেক লোকজন থাকে। সবার প্রতি ওরকম মনোযোগ দেয়া হয়না। ওই দিনটা ফ্রি ছিলাম।

#Diary পরশ্রীকাতরতা থেকে আমাদের নিজের শ্রেণীকে ঘৃণা

আরও পড়ুন:

Leave a Comment