প্রজন্ম চত্বর – মানুষ এসেছিলো . আসছে.. আসবে …

আমাদের সমাজের আপার ক্লাস – গনমানুষের দাবিদাওয়ার বিষয়ে একটু স্কেপটিক।
এগুলো নিয়ে হৈচৈ করাতে একটু বিরক্ত থাকেন।
এধরনের বিষয়- তারা চশমার উপর দিক দিয়ে তাকিয়ে অবজার্ভ করেন।
কখনো সোশাল গ্যাদারিংএ ইন্টারেস্টিং এ্যনালিসিস দিতে পছন্দ করেন।
আবার কেউ কেউ এগুলোকে – ইউ নে, মুভমেন্ট স্টাফ, পাবলিক এজিটেশন, পলিটিকাল স্টাফ – টাইপ শব্দগুলো একটু বিরক্তি বা দুঃখের সাথে প্রয়োগ করেন।

আজ কদিন ধরে লক্ষ করছি, এদের অনেকেই আসছেন।
মুভমেন্ট নিয়ে কথা বলছে, উদ্বেগ দেখাচ্ছেন, কিছু করতে চাচ্ছেন, সাধারন মানুষের কাতারে মিশতে চাচ্ছেন। হয়ত নাড়ির টান খুঁজে পেতে শুরু করেছেন।

গতকাল – শহীদ জননী জাহানারা ইমাম – এর ছবির সামনে দাড়িয়ে থাকতে দেখলাম কয়েকজনকে। অনেকক্ষণ ….।
মনে হচ্ছিল গিয়ে বলি – দাড়িয়ে থাকুন, ভাবতে থাকুন। সব মনে পড়বে, কান্না পাবে, ক্রোধ আসবে …. আসবেই ….
সেই সাথে আসবে – দেশের জন্য ভালবাসা, মানুষের জন্য ভালবাসা।
আসবে – মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের প্রতি টান, দেশের প্রতি দায়িত্ববোধ।
জানি – কাউকে বলে দেয়া লাগবে না। এমনিতেই আসবে।

আমরা আশাবাদী.
আন্দোলন চলতে থাক…
আর্থিক/সামাজিক/মানসিক ক্লাস যাই হোক, ক্রমশ সব মানুষ খুঁজে পাবেন – চেতনার কুটুম্বিতা, সমব্যথার আত্মীয়তা, প্রত্যাশার বন্ধন।

তারাও বলবেন – শ্লোগান দিতে গিয়ে …… কে ভাই, কে দুশমন- শ্লোগান….

জয় বাংলা !!!

Leave a Comment