বেকারত্ব দূরীকরণে সুফি ফারুকের পেশা পরামর্শ সভার আওতায় কুষ্টিয়াতে ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং কর্মশালা : কুষ্টিয়া শিল্পকলা একাডেমিতে বেকার যুবক-যুবতীদের জন্য সুফি ফারুকের পেশা পরামর্শ সভার উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং অন আউটসোর্সিং বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এই কর্মশালার শুরু হয়। কর্মশালা পরিচালনা করেন কম্পিউটার ট্রের জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর সোনিয়া মাহমুদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আর.আর ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা রাসেল হোসেন, গুরুকুল পরিবারের সহকারী পরিচালক তানভীর মেহেদী, একাডেমিক ইনচার্জ হাবিবুর রহমান, আইসিটি ইনজার্জ রেজাউল ইসলামসহ শিক্ষক কর্মকর্তাবৃন্দ। গুরুকুলের বর্তমান ও সাবেক ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
আর আর ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা রাসেল হোসেন, বর্তমান বিশ্বে আধুনিক সৃজনশীল পেশা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে আইটি ফ্রিল্যান্সিং। তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোয় তরুণদের তথ্যপ্রযুক্তিতে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজের ক্ষেত্র দিন দিন বেড়েই চলছে। ভারত, ফিলিপাইন, পাকিস্তানের মতো বাংলাদেশের তরুণ-তরুণীদের মাঝেও অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং আউটসোর্সিংয়ের কাজের প্রতি আগ্রহ রয়েছে প্রচুর। প্রয়োজন সঠিক দিকনির্দেশনা। এ কাজে রয়েছে বিশাল সম্ভাবনা, ঠিক তেমনি রয়েছে প্রতিবন্ধকতাও। এসব প্রতিবন্ধকতা দূর করতে ‘সৃজনশীলতার উন্মেষ ঘটাতে হবে।
তিনি বলেন, তথ্য-প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধনে বিশ্ব জ্ঞান ভাণ্ডারের সীমানা একাকার হয়ে গেছে। তরুণ প্রজন্মকে এই জ্ঞানের ভাণ্ডারে প্রবেশ করে অপার নিসম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশগুলোর পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব তরুণ প্রজন্মকে পালন করতে হবে।
গুরুকুল পরিবারের সহকারী পরিচালক তানভীর মেহেদী বলেন, বাংলাদেশে আউটসোর্সিং শব্দটি আজ থেকে পাঁচ বছর আগে খুব বেশি একটা পরিচিত ছিল না। এখন আউটসোর্সিং শব্দটির সঙ্গে কমবেশি অনেকেই পরিচিত বিশেষ করে নবীন প্রযুক্তিপ্রেমীদের মধ্যে। বিশ্বব্যাপী বেড়ে চলেছে আউটসোর্সিং কাজের পরিমাণ, এরই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আমাদের দেশেও বেড়ে চলেছে ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা। বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বের শীর্ষ আউটসোর্সিং দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। তাই দেশের তরুণপ্রজন্মকে আউটসোর্সিং বিষয়ে দক্ষতা উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং আউটসোর্সিং কার্যক্রম প্রসারের লক্ষ্যে গুরুকুল পরিবারের এই উদ্যোগ।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে মাল্টি লেভেল মার্কেটিংয়ের নামে এ সম্ভাবনাময় সেক্টরকে ধ্বংস করতে উদ্যোগী হয়েছে একটি বিশেষ মহল। ইতোমধ্যে তাদের লোভনীয় অফারে পা দিয়ে অনেকেই সর্বস্বান্ত হয়েছে আর প্রতারকরা দিয়েছে গা ঢাকা। কিন্তু এ কথা সত্য যে, আইটিতে হিউমেন রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বা দক্ষ মানব সম্পদ তৈরি না হলে ফ্রিল্যান্সিং কখনো সম্ভব হবে না। এমএলএমএর সঙ্গে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কোনো সমপর্ক নেই। অনলাইনে কাজ করতে হলে আগে নিজেকে যোগ্য করে তুলতে হবে এরপর সারাজীবন আয় করা যাবে। তাই এ সময়ে সম্মেলনটি তরুণ প্রযুক্তিপ্রেমীদের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন প্রযুক্তিবিদ সুফি ফারুক।
কেননা এখনই সুযোগ এ অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর, বাংলাদেশকে আরো ওপরে নিয়ে যাওয়ার। কোনো ধরনের টাকা-পয়সা বিনিয়োগ না করেই একজন ব্যক্তি ইন্টারনেট থেকে তার কর্মক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে উপার্জন করতে পারে বিপুল পরিমাণ অর্থ। বাংলাদেশে থেকে কাজ করে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে কোনো প্রকার ঝামেলা ছাড়াই অর্থ হাতে পাওয়া যাবে এ বিষয়গুলো জানা থাকলে একজন মানুষ সহজে ইন্টারনেট থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারবে এবং তৈরি করে নিতে পারবে নিজেই নিজের কর্মসংস্থান। তবে ইন্টারনেটে কাজ করতে হলে চাই যোগ্যতা ও সঠিক দিকনির্দেশনা।
[ বেকারত্ব দূরীকরণে সুফি ফারুকের পেশা পরামর্শ সভার ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং কর্মশালা ]
আরও পড়ুন: