কুমারখালী উপজেলার সদকী ইউনিয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার হলো বানিয়াকান্দী বাজার। এ বাজারটি মূলত কৃষিভিত্তিক এলাকা ঘিরে গড়ে উঠেছে এবং স্থানীয় মানুষের জীবনযাত্রা ও অর্থনীতির সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। আশপাশের গ্রামগুলোর কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ধান, গম, পাট, শাকসবজি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী এখানে নিয়ে আসেন এবং এখান থেকেই পাইকারি ও খুচরা বেচাকেনার মাধ্যমে এলাকায় সরবরাহ হয়। বিশেষ করে ধান ও পাটের মৌসুমে বাজারটি বেশ জমজমাট হয়ে ওঠে।
এখানে প্রতিদিন ছোটখাটো বেচাকেনা চললেও সপ্তাহে এক বা দুই দিন বড় হাট বসে, যেখানে আশপাশের গ্রাম থেকে ব্যাপক লোকসমাগম হয়। বাজারে মুদি দোকান, মিষ্টির দোকান, পোশাক ও জুতো দোকান, চা-স্টলসহ সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন চাহিদা মেটানোর মতো সবকিছুই পাওয়া যায়। এ বাজারটি কেবল ব্যবসা-বাণিজ্যের কেন্দ্রই নয়, বরং সামাজিক যোগাযোগ, তথ্য আদান-প্রদান এবং স্থানীয় সংস্কৃতিরও মিলনস্থল।
বানিয়াকান্দী বাজার
বানিয়াকান্দী বাজারে – সুফি ফারুক ইবনে আবুবকর এর কার্যক্রম:
কুমারখালী উপজেলার সদকী ইউনিয়নের বানিয়াকান্দী বাজারে – সুফি ফারুকের পেশা পরামর্শ সভার প্রস্তুতি সভা
যুব সমাজকে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ কর্মী হিসেবে গড়ে তুলতে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার সদকী ইউনিয়নের বানিয়াকান্দী বাজারে সুফি ফারুকের পেশা পরামর্শ সভার প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। “কারো দয়ায় নয়, নিজের যোগ্যতায়—নিজের পায়ে সম্মানের সাথে দাঁড়াব” — এ স্লোগানকে সামনে রেখে তরুণ-যুবকদের অংশগ্রহণে কর্মশালা, আলোচনা ও ফরম পূরণের কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।

যুব সমাজের অবক্ষয় ঠেকাতে এ উদ্যোগ
এই উদ্যোগের কারণ জানতে চাইলে পেশা পরামর্শ সভার উদ্যোক্তা ও কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সুফি ফারুক ইবনে আবুবকর বলেন—
“আজকের যুব সমাজ ভয়াবহ অবস্থার মধ্যে আছে। আর্থসামাজিক বাস্তবতায় তারা অনেক সময় সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, খুন-খারাবি ও অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। নৈরাজ্য, অবক্ষয়, হতাশা ও ব্যর্থতার আর্তনাদ শোনা যাচ্ছে সর্বত্র। যদিও গোটা যুব সমাজ এভাবে জড়িয়ে নেই, তবে একটি অংশ এর সাথে সম্পৃক্ত। বৃহত্তর যুব সমাজের কল্যাণ ভেবেই এ উদ্যোগ নিয়েছি।”
তিনি আরও বলেন, যুব সমাজ দেশের সচেতন নাগরিক ও ভবিষ্যতের কর্ণধার। সততা, আদর্শ, নিষ্ঠা ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ যুবকরাই জাতির সেরা সম্পদ। তাদের উন্নয়নের মধ্য দিয়েই জাতির অগ্রগতি সম্ভব।

পেশা পরামর্শ সভার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
- তরুণদের ক্যারিয়ার কোচিং ও দিকনির্দেশনা দেওয়া
- ডিজিটাল বাংলাদেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর পেশাগুলোর সাথে পরিচিত করা
- শেখ হাসিনার নির্মিত ডিজিটাল বাংলাদেশ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির ভিশন তুলে ধরা
- তরুণদের এসব পেশায় উপযুক্ত হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা গড়ে তোলা

প্রশিক্ষণ কার্যক্রম
- বিভিন্ন খাতের সফল পেশাজীবী ও মানবসম্পদ (HR) প্রশিক্ষকদের দ্বারা পরিচালিত হয় কর্মশালাগুলো।
- অংশ নিতে পারে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
- যারা পড়াশোনা শেষ করে বর্তমানে কর্মহীন, তারাও অংশ নিতে পারেন।
প্রশিক্ষণের বিষয়বস্তু:
- পেশা বাছাইয়ের কৌশল
- নিজেকে পেশাজীবী হিসেবে তৈরি করা
- সিভি লেখা ও ইন্টারভিউ দেওয়ার কৌশল
- হাতে-কলমে পেশাদারি প্রশিক্ষণ
- স্কিল অ্যাসেসমেন্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর অতিরিক্ত প্রশিক্ষণের প্রয়োজন নির্ধারণ
এছাড়া যেসব শিক্ষার্থীর অধিকতর প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হবে, তাদের জন্য আলাদা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয় কিংবা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ নিতে হলে বৃত্তির ব্যবস্থা করা হয়।
সম্পূর্ণ ফ্রি প্রশিক্ষণ
পেশা পরামর্শ সভার এই পুরো উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের জন্য সম্পূর্ণ ফ্রি। অর্থাৎ কুমারখালী-খোকসার তরুণদের জন্য এটি প্রযুক্তিবিদ সুফি ফারুকের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ উপহার।
