কি করতে চাই?

কি করতে চাই ?

আমি চাই একটি সচ্ছল, সুখী, বহুত্ববাদী, বুদ্ধিবৃত্তিক সমাজ ও রাষ্ট্র। যে রাষ্ট্র জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শে অনুপ্রাণিত, মহান স্বাধীনতার চেতনায় বলিয়ান।

সেই লক্ষ্যে অর্জনের জন্য একটি শিক্ষিত, দক্ষ, কর্মঠ, রুচিশীল ও মানবিক প্রজন্ম তৈরি প্রয়োজন। একজন কর্মী হিসেবে কাজ করতে চাই। কর্মী হিসেবে আমার কিছু ভাবনা আছে। আমি বিভিন্ন খাত নিয়ে কি ভাবি এবং সেটি কিভাবে করতে চাই তা জানাবার জন্য এই প্রয়াস।

SufiFaruq.com Logo 252x68 2 কি করতে চাই?

 

জনশক্তি উন্নয়ন

কুমারখালী-খোকসায় একটি সুশিক্ষিত, দক্ষ, কর্মঠ, রুচিশীল ও মানবিক প্রজন্ম গড়ে তুলতে চাই।

  • প্রতিজন তরুণ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত হবে।
  • যেকোনো একটি কাজে দক্ষতা অর্জন করবে।
  • যোগ্যতা ও দক্ষতা অনুযায়ী কাজ করার কর্মস্পৃহা ও উদ্দীপনা থাকবে।
  • তারা হবে রুচিশীল ও মানবিক।
  • প্রযুক্তি শিক্ষা, কারিগরি প্রশিক্ষণ ও উদ্যোক্তা তৈরি হবে অগ্রাধিকার।

 

জনগণের দোরগোড়ায় সরকারি পরিসেবা

  • প্রযুক্তির মাধ্যমে সকল পরিসেবা জনগণের হাতের নাগালে পৌঁছে যাবে।
  • প্রত্যাশা, চাহিদা ও অভিযোগ জানানোর সহজ ব্যবস্থা থাকবে।
  • সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া হবে স্বচ্ছ।
  • জনপ্রতিনিধিদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে।
  • নাগরিক চার্টার প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে বাস্তবায়ন করা হবে।

 

সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও দক্ষতা নির্ভর কৃষি

  • কৃষকরা সর্বশেষ কৃষি প্রযুক্তি ও কর্মকৌশলে প্রশিক্ষিত হবে।
  • সর্বাধিক উৎপাদন নিশ্চিত করে কৃষিকে লাভজনক করা হবে।
  • কৃষিপণ্য সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বাজারজাতকরণে আধুনিক ব্যবস্থা থাকবে।
  • অফলাইন ও অনলাইনে আধুনিক মার্কেট-প্লেস তৈরি করা হবে।
  • জৈব ও টেকসই কৃষিকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।

 

জনস্বাস্থ্য

  • প্রতিরোধযোগ্য ও নিরাময়যোগ্য রোগ সচেতনতার মাধ্যমে সমাজ থেকে দূর করা হবে।
  • স্বাস্থ্যসেবাকে সামাজিক দায়িত্ব হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
  • সরকারি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ ও বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবায় অনৈতিক বাণিজ্য বন্ধ হবে।
  • মাতৃস্বাস্থ্য, শিশুস্বাস্থ্য ও প্রবীণদের জন্য বিশেষ সেবা নিশ্চিত হবে।
  • মানসিক স্বাস্থ্যসেবাকে গুরুত্ব দেওয়া হবে।

 

ব্যবসা বাণিজ্য ও শিল্প উন্নয়ন

  • স্থানীয় আর্থিক সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে শিল্পায়ন ঘটানো হবে।
  • বিনিয়োগ-বান্ধব পরিবেশ তৈরি করা হবে।
  • ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (SME) উন্নয়ন, নারী উদ্যোক্তা ও স্টার্টআপ প্রমোট করা হবে।
  • পর্যটন শিল্প উন্নয়নে বিশেষ পরিকল্পনা থাকবে।

 

সঠিক ধর্মীয় শিক্ষা নিশ্চিতকরণ

  • সত্যিকার ধর্মীয় শিক্ষা, নৈতিকতা ও মূল্যবোধের শিক্ষা প্রচলন করা হবে।
  • কুসংস্কার, গোঁড়ামি ও ভুল ব্যাখ্যার বিরুদ্ধে কাজ করা হবে।

 

মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদ মুক্ত বহুত্ববাদী সমাজ প্রতিষ্ঠা

  • সব ধর্ম, জাতি ও মতাদর্শের প্রতি সমান সম্মান থাকবে।
  • বৈষম্য ও বিভেদ দূর করা হবে।
  • সামাজিক সম্প্রীতি ও সহনশীলতা বৃদ্ধি করা হবে।

 

সুশাসন, ন্যায়বিচার ও আইনি সহায়তা

  • প্রশাসনে স্বচ্ছতা ও দুর্নীতি প্রতিরোধ।
  • সহজলভ্য আইনি সহায়তা নিশ্চিত করা।
  • নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে কঠোর পদক্ষেপ।
  • স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী ও জনগণমুখী করা।

 

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ঝুঁকি প্রশমন

  • প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার।
  • ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন।
  • দুর্যোগকালীন ত্রাণ কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত।
  • জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনা।

 

শিক্ষা ও গবেষণা

  • বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত (STEM) শিক্ষা জোরদার করা।
  • গবেষণাভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা।
  • মাতৃভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় বিশেষ উদ্যোগ।

সংস্কৃতি ও ক্রীড়া উন্নয়ন

  • স্থানীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও বিকাশ।
  • ক্রীড়া অবকাঠামো উন্নয়ন ও তরুণদের ক্রীড়ায় সম্পৃক্ত করা।
  • মাদকমুক্ত প্রজন্ম গঠনে সংস্কৃতি ও ক্রীড়াকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার।

পরিবেশ সংরক্ষণ

  • বনভূমি, নদী ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় উদ্যোগ।
  • টেকসই উন্নয়নের জন্য সবুজ অর্থনীতি গড়ে তোলা।