সুফি ফারুক ইবনে আবুবকর [ পরিচিতি ]

সুফি ফারুক ইবনে আবুবকর সাবেক তথ্য প্রযুক্তি প্রধান [ CIO], দক্ষতা উন্নয়ন উদ্যোক্তা,পূর্ণকালীন রাজনৈতিক কর্মী, পলিসি পরামর্শক, লেখক, শিক্ষক। সে দীর্ঘ সময় দেশি-বিদেশী-বহুজাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তথ্য-প্রযুক্তির দায়িত্বশীল পদে কাজ করেছে। ২০০৯ সালে মোবাইল ফোন কোম্পানি একটেল (বর্তমানে রবি)-এর তথ্য-প্রযুক্তি প্রধানের দায়িত্ব শেষে নিজস্ব মিশন বাস্তবায়ে আত্মনিয়োগ করে।

সুফি ফারুক ইবনে আবুবকর (প্রোফাইল ফটো), অফিশিয়াল - Sufi Faruq Ibne Abubakar (Profile Photo), Official
সুফি ফারুক ইবনে আবুবকর

সুফি ফারুক ইবনে আবুবকর সম্পর্কে নানা জনের নানা রকম আগ্রহ রয়েছে। রাজনীতিতে যুক্ত হবার সুবাদে রয়েছে অপপ্রচার ও অভিযোগ। তাই তার সম্পর্কে একটি বিস্তারিত আর্টিকেল তৈরির উদ্যোগ নেয়া হলো। এখানে তার সব ধরণের সম্পৃক্ততা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য [ তার সাথে কথা বলে] দেয়া হবে। দেয়া হবে প্রচলিত অপপ্রচার এর জবাব ও অন্যান্য তথ্যাদি। যার যে অংশ প্রয়োজন তিনি সেই অংশ কাজে লাগাবেন, বাকিটা এড়িয়ে যেতে পারেন।

সুফি ফারুক ইবনে আবুবকর তথ্য প্রযুক্তি খাতে দক্ষ জনশক্তি (কারিগরি ও কর্মমুখী শিক্ষা) এবং উদ্যোক্তা তৈরির সামাজিক আন্দোলনে যোগ দেয়। প্রত্যক্ষভাবে গড়ে তোলে কিছু সামাজিক ও সেবামুলক সংগঠন। প্রশিক্ষক, বক্তা ও প্যানেল আলোচক হিসেবে দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও সেমিনারে অংশ নিয়েছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক তথ্য প্রযুক্তি সংগঠনের সদস্যতা ছাড়াও, কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংগঠনের বাংলাদেশ চ্যাপ্টার তৈরিতে কাজ করেছেন। তথ্য প্রযুক্তি, উদ্যোক্তা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে – রেডিও, টেলিভিশন, পত্র-পত্রিকা, ব্লগ, ফেসবুক সহ গণমাধ্যমের সকল ক্ষেত্রে সক্রিয় রয়েছে।

Table of Contents

সুফি ফারুক ইবনে আবুবকর এর শৈশব :

সুফি ফারুক ইবনে আবুবকর কুমারখালি উপজেলার, বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রামে, আওয়ামীলীগ কর্মী পরিবারে জন্মগ্রহণ করে। তার বাবা মোহাম্মদ আবুবকর (পিন্টু) ও মাতা মেহেরুন্নিসা। পিত্রালয় – মাতুলালয় দুটিই বাঁশগ্রামে। পিতামহের নাম সুফি মোহাম্মদ আইনুদ্দিন ও মাতামহের নাম আলহ্বাজ মোকাদ্দেস হোসেন। তার বাবা মোহাম্মদ আবুবকর (পিন্টু) ১৯৮২ সালে জাসদ গণবাহিনীর দ্বারা নৃশংস রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। মাতা মেহেরুন্নিসা, পরবর্তীতে প্রতিকুল অবস্থায়, এই ভাসমান সংসারের শক্ত হাতে হাল ধরে, ৬ ভাই বোনকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে, সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

সুফি ফারুক ইবনে আবুবকর এর ছাত্রাবস্থায় লেখাপড়া ও কর্ম:

বেশিরভাগ মানুষ লেখাপড়া শেষে কাজ শুরু করে। সুফি ফারুক এখানে ব্যতিক্রম। তার শিক্ষা ও কাজ চলেছে খুব ছোট বেলা থেকে পাশাপাশি।  তাই তার শিক্ষার পাশাপাশি কর্মের বর্ণনাটা না হলে পরিচয় পূর্ণ হবে না। তার ভাষায় – আমার একাডেমিতে লেগে থাকার যোগত্যা ও দক্ষতার দুটিরই ঘাটতি আছে। তাই মায়ের চাপের  কারণে একাডেমিক লেখাপড়া শেষ করেছি, কিন্ত ওখান থেকে শিক্ষা নিতে ব্যর্থা হয়েছি। আমি যা শিখেছি তা মূলত কাজের মাধ্যমে।”

সুফি ফারুক এর প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয় বাড়ির মক্তবে, জনাব মকসেদ মৌলভী ও তার সন্তানদের কাছে। পাশাপাশি তাকে ভর্তি করা হয়, তাদের পরিবারের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত বাঁশগ্রাম কামিল মাদ্রাসায়। মাদ্রাসায় ৪র্থ শ্রেণীতে অধ্যয়নরত অবস্থায়, তার ছোট চাচা জনাব কুতুব উদ্দিন [ একই মাদ্রাসা শিক্ষক] তাকে সাধারণ লাইনে পড়াবার সিদ্ধান্ত নেন।

সুফি ফারুক ইবনে আবুবকর [ পরিচিতি ] - ডিজিটাল বাংলাদেশ বিষয়ক তথ্য প্রযুক্তি পেশাজীবীদের সেমিনারে সভাপতির বক্তব্য রাখছি।
ডিজিটাল বাংলাদেশ বিষয়ক তথ্য প্রযুক্তি পেশাজীবীদের সেমিনারে সভাপতির বক্তব্য।
সুফি ফারুক কে সাধারণ লাইনের জন্য প্রস্তুত করতে কুতুব উদ্দিন তাকে একটি স্থানীয় কিন্ডার গার্টেনে ভর্তি করেন। তারপর তাকে ভর্তি করা হয় আদাবাড়ীয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। আদাবাড়ীয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় শেষে তাকে ৬ষ্ট শ্রেণীতে ভর্তি করা হয় তার পরিবারের উদ্যোগে প্রতিষ্টিত বাঁশগ্রাম ইউনাইটেড বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। সেখানে সে এক বছর অধ্যয়ন করে। সেসময় তার বই পড়া, আবৃত্তি সহ অন্যান্য সাংস্কৃতিক বিকাশ ঘটার সুযোগ হয়। প্রতিবেশী বড়ভাই জনাব মনিরুজ্জামান মংলা তাকে প্রস্তুত করেন। এরপর বাঁশগ্রাম বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বাৎসরিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগী অনুষ্ঠানে সে – কবিতা, অভিনয়,  গজল, গান সহ সংস্কৃতির প্রতিটি শাখায় প্রথম পুরস্কার অর্জন করে [ একটি ছাড়া]।

৭ম শ্রেনী থেকে সে চলে আসে কুষ্টিয়া জেলা স্কুলে। অষ্টম শ্রেণীতে তার হাতে কম্পিউটার আসে, যা তার জীবনের মোড় চিরতরে ঘুরিয়ে দেয়। নবম শ্রেনী থেকে সে কম্পিউটার তথা তথ্য প্রযুক্তির দিকে ঝুঁকে পড়ে। তার ভগ্নীপতি জনাব গাজী মাহাবুব রহমানের উৎসাহে তার প্রোগ্রামিং এর হাতে খড়ি। সেসময় সে “নবীন চেতনা” নামে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের হয়ে একাধিক মঞ্চ নাটকের প্রধান চরিত্র নির্বাহ করে। তাছাড়া কলেজ নাটক ও রাজনৈতিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তার নিয়মিত অংশগ্রহণ ছিলো।

সুফি ফারুক ইবনে আবুবকর [ পরিচিতি ] - ২০০৯ সালে বাংলাদেশ পুলিশ হেড কোয়াটারে
২০০৯ সালে ITMAB এর পক্ষ থেকে বাংলাদেশ পুলিশ হেড কোয়াটারে “সাইবার অপরাধের ঝুঁকি ও তদন্ত” বিষয়ক দুদিনের ফ্রি কর্মশালার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে পুলিশের শুভেচ্ছা স্বারক গ্রহণ।
মাধ্যমিক পাশ করার আগেই সে একটি “ডার্ক সফঠ” নামে একটি প্রতিষ্টান নির্মানের কাজ শুরু করে। সে কুষ্টিয়া জেলা স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করে। উচ্চ মাধ্যমিকের জন্য ভর্তি হয় কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে। উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ার সময় “টেক ল্যান্ড” নামের ঢাকার একটি কম্পিউটার ও পার্টস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কুষ্টিয়া শাখা খোলে [ অংশীদারি কারবার হিসেবে]। উক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে কুষ্টিয়ার কিছু স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার সরবরাহ করা হয়।

তাছাড়া উচ্চ মাধ্যমিক পড়ার সময় নিজ উদ্যোগে  সে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ও নেটওয়ার্কিং এ বিশেষ দক্ষতা অর্জন করে। এমনকি কম্পিউটারের পেছনে অতিরিক্ত সময় ব্যায় করায় উচ্চ মাধ্যমিকের ফল আশানরুপ হয়নি। তবে এই তথ্য প্রযুক্তির প্রতি একাগ্রতা তার ভবিষ্যৎ পেশাজীবী জীবন গড়তে সাহায্য করেছে।

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার প্রতি তার কোন আগ্রহ ছিল না। বরাবরই আগ্রহ ছিল কারিগরি শিক্ষার প্রতি। তাই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েই সে ঢাকাতে এসে, ভর্তি হয় ভারতীয় এনআইআইটির ধানমন্ডি ক্যাম্পাসে। তবে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল বের হবার পরে, মায়ের অনুরোধে সাধারণ শিক্ষার ডিগ্রি অর্জনের জন্য সে জাতিয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় পাস কোর্সে ভর্তি হয়ে থাকে [ সে কম্পিউটার এপ্লিকেশনে মাস্টার্স করে একাডেমিক শিক্ষা শেষ করে ]।

সুফি ফারুক ইবনে আবুবকর [ পরিচিতি ] - মহামান্য রাষ্ট্রপতির সাথে ইয়ুথ বাংলা কালচারাল ফোরামের অনুষ্ঠানে।
মহামান্য রাষ্ট্রপতির সাথে ইয়ুথ বাংলা কালচারাল ফোরামের অনুষ্ঠানে।
এনআইআইটিতে সে প্রথম সেমিস্টারে রেকর্ড সংখ্যক মার্কস নিয়ে প্রথম স্থান অধিকার করে। তবে অচিরেই এখানেও সে শিক্ষা প্রক্রিয়ার কারণে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। তখন সে মনোযোগ দেয় আন্তর্জাতিক ভেন্ডর সার্টিফিকেট অর্জনে এবং বেশ কিছু ভেন্ডর সার্টিফিকেট অর্জন করে। পাশাপাশি সে “নোভা কম্পিউটার” নামে একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত হয়, যেখানে তার এনআইআইটির সহপাঠীদের সে পড়াতো ও ব্যবহারিক শিখিয়ে প্রস্তুত করতো।

এর পাশাপাশি তার প্রতিষ্টান “ডার্কসফট” একটি ঢাকা অফিস খোলে। অংশিদার হিসেবে যোগ দেয় তার এনআইআইটির দুজন সহপাঠি [ সাকুর তমাল ও সাগর দাস]। ডার্কসফট এর কুষ্টিয়া অপারেশনের দিয়িত্ব দেয় অন্য একজন পার্টনারকে। প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন কুষ্টিয়া ও ঢাকাতে  কম্পিউটার, কম্পিউটার হার্ডওয়ার ও সংশ্লিষ্ট জিনিসপত্রের পাইকারি ও খুবরা সরবরাহ ও নেটওয়ার্কিং এর কাজ করেছে।

সুফি ফারুক ইবনে আবুবকর - ISP Setup Manual - by Sufi Faruq Ibne Abubakar (Front Page)
ISP Setup Manual – by Sufi Faruq Ibne Abubakar (Front Page)

এই সময়েই সুফি ফারুক তার সহপাঠী, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবসায়ী ও সামাজিক সংগঠকদের নিয়ে, কুষ্টিয়াতে গড়ে তোলে “প্রযুক্তিতে কুষ্টিয়া” নামের একটি আন্দোলন ও সংগঠন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সম্ভাবনা সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরি ও তরুণদের প্রযুক্তিতে আগ্রহী করতে এই সংগঠন তৈরি করা হয়। এই সংগঠন হতে তার ১৯৯৯ সাল থেকে কয়েক বছর বাৎসরিক “প্রযুক্তি উৎসব” আয়োজন করা হয়। এসব আয়োজনে সারা দেশ থেকে তথ্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয় ও স্বনামধন্য ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন। আয়োজন করা হয় “উদ্যোক্তা” ও “পেশাজীবী” দের জন্য কর্মশালার। এই ধরণের উদ্যোগ কুষ্টিয়া জেলার মতো মফস্বলে তখন ছিল অভাবনীয়। প্রযুক্তিতে কুষ্টিয়ার পক্ষে সুফি ফারুক ইবনে আবুবকর এর সম্পাদনায় ” কম্পিউটার নিউজ” নামে প্রায় দুবছর একটি মাসিক পত্রিকা বের হয়।

এসময় সে পারিবারিক প্রতিষ্ঠান “এডভান্সড ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন [AWF]” এ সিস্টেম এডমিনিস্ট্রেটর হিসেবে যুক্ত হয়। AWF এর প্রতিষ্ঠান “ইন্সটিটিউট অব সায়েন্স ট্রেড এন্ড টেকনোলোজি [ISTT]” তে সে গড়ে তোলে তখনকার সময়ের সর্বাধুনিক কম্পিউটার ল্যাব, কেন্দ্রীয় প্রযুক্তি প্রশাসন, ডাইরেক্টরি সার্ভিস, নিজস্ব ইমেইল সিস্টেম ইত্যাদি [ যখন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ ধরণের সেটআপ ছিল অভাবনীয় ]। এ সময়ে সে তৎকালীন একুশে টেলিভিশন এ রিসার্চার হিসেবেও কাজ করে। সেসময় প্রকাশিত জাতীয় পর্যায়ের তথ্য প্রযুক্তি পত্রিকাতে নিয়মিত লেখালেখিও শুরু করে।

গ্রাজুয়েশন শেষ করার পরে সে দেশের বিভিন্ন বেসরকারি আইএসপিতে পূর্ণকালীন ও খন্ডকালীন কাজ করে। সে ছিল সেই সময়ে দেশের সবচেয়ে কম বয়সী সিস্টেম এডমিনিস্ট্রেটর। পাশাপাশি সে নিজ উদ্যোগে এক ঝাঁক শিক্ষার্থীদের সিস্টেম এ্যডমিনিস্ট্রের হিসেবে তৈরি করার জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণ দিতে থাকে। একসময় আইএসপির পূর্ণকালীন চাকুরী ছেড়ে দিয়ে পরামর্শক হিসেবে যুক্ত হয়। পাশাপাশি আত্বউন্নয়নে লেখাপড়া ও প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করতে থাকে। সে ঢাকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে সেসময় প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করেছে, যার মধ্যে বেস আইটি অন্যতম।

আইএসপি সেটআপ ম্যানুয়াল [ ISP Setup Manual]

এই সময় সুফি ফারুক ইবনে আবুবকর এর ভাষায় “এময় জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের একটি নিয়েছি“। সেই সিদ্ধান্তটি হচ্ছে – “আইএসপি সেটআপ ম্যানুয়াল [ ISP Setup Manual]” নামে আইএসপি সেটআপ এর একটা পূর্ণ বই লেখার সিদ্ধান্ত। প্রচুর শিক্ষার্থীকে পড়াবার কারণে তার শিক্ষার্থীদের সব রকমের সমস্যার বিষয়ে জানাশোনা ছিল। সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সে বইটি লিখতে শুরু করে। ২০০৪ সালের শুরুর দিকে বইটি লেখা শেষ হয়। এরপরে বইটি শিক্ষার্থীদের একটি টিম করে, কারিগরি বিষয়গুলো পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য দেয়া হয়।

সুফি ফারুক ইবনে আবুবকর [ পরিচিতি ] - সাইবার নিরাপত্তা সেমিনারে অন্যান্য অতিথিদের সাথে। উক্ত সেমিনারে দেশি ও প্রবাসী শীর্ষ সাইবার নিরাপত্তা পেশাজীবীদের পক্ষ থেকে সরকারকে এ বিষয়ে পেশাদারি মতামত জানানো হয়।
সাইবার নিরাপত্তা সেমিনারে অন্যান্য অতিথিদের সাথে। উক্ত সেমিনারে দেশি ও প্রবাসী শীর্ষ সাইবার নিরাপত্তা পেশাজীবীদের পক্ষ থেকে সরকারকে এ বিষয়ে পেশাদারি মতামত জানানো হয়।
২০০৪ সালের মাঝামাঝিতে, ইংরেজি ভাষায় “আইএসপি সেটআপ ম্যানুয়াল [ ISP Setup Manual] ” এর প্রথম মুদ্রণ প্রকাশিত হয় “পেপারব্যাক” হিসেবে। এটি শুধু কারিগরি বই ছিল না, দারুণ একটি আর্ট-ওয়ার্কও ছিল বটে। বইটির শিল্প-নির্দেশনা দেন সুফি ফারুক এর বন্ধু “কনক আদিত্য”। কিন্তু ওরকম কলেবরে বইটি ছাপানো ছিল খুবই ব্যয়বহুল। বাংলাদেশ থেকে ওরকম বই করাটা সেসময় পাগলামির পর্যায়ে পড়ে। তাই কোন প্রকাশক ওই কলেবরে ছাপতে রাজী হয়নি। সুফি ফারুকও কম্প্রোমাইজ করেনি। শেষমেশ নিজের প্রতিষ্ঠান সুফি এন্ড এসোসিয়েটস্ থেকে প্রকাশনার উদ্যোগ নেয়া হয়।

প্রকাশনায় সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসেন সুফি ফারুক এর আইএসপি লাইনের গুরু “সুমন আহমেদ সাবির”, পরিচিতি বড় ভাই “আবুল কালাম আজদ” সহ অনেকেই, যারা সম্ভাবনা বুঝতে পেরেছিলেন। বইটির প্রথম মুদ্রণ দারণ ভাবে সমাদৃত হয় এবং এক সপ্তাহের মধ্যে প্রথম মুদ্রণ শেষ হয়ে যায়। কারণ এরকম আয়োজনের কোন বই শুধুমাত্র দেশেই নয়, বিদেশেও ছিল না।

সুফি ফারুক ইবনে আবুবকর [ পরিচিতি ] - With Dr. Hans Wijayasuriya during Dialog Telekom Sankara Visit with AKTEL Team
শ্রীলঙ্কা সফরে ডায়লগ গ্রুপের প্রধান নির্বাহী ড: হানস বিজয়সুরিয়ার সাথে
বইটি ইঞ্জিনিয়ারিং কমিউনিটির মাধ্যমে দেশের গণ্ডী পেরিয়ে অচিরেই দেশের বাইরে বিভিন্ন খানে ছড়িয়ে যায়। দেশের বাইরে ভারতে পরিবেশক নিয়োগ দেয়া হয়। সুফি ফারুক বাজার থেকে পূর্ণ মূল্য এডভান্স নিয়ে পরবর্তীতে বই ছাপে। পরবর্তী দু বছরে বইটির ১১ বার মুদ্রণ হয় [ অসংখ্য পাইরেসিও হয়েছে]। সুফি ফারুক এর ভাষায় – “এই বই থেকে যত টাকা আয় করার কথা ভেবেছিলাম তার প্রায় ৪২ গুন বেশি আয় করেছি”। এরপরে একসময় সে বইটি কপি করার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়। কপি করার জন্য উন্মুক্ত করে দেবার পরে অন্যেরা ছেপে বিক্রি করেছে, সুফি ফারুক কে রয়েলিটি দিতে হয়নি।

বহুজাতিক টেলিফোন কোম্পানিতে পূর্ণকালীন চাকরি :

আইএসপি সেটআপ ম্যানুয়াল প্রকাশিত হবার পরে সুফি ফারুক ইবনে আবুবকর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আর চাকরি করবে না। কিন্তু এই বইয়ের একটি কপি সুফি ফারুক এর শিক্ষার্থীর মাধ্যমে টেলিকম মালয়েশিয়ার একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার হাতে পৌছায়। সেসময় টেলিকম মালয়েশিয়ার বাংলাদেশে সিনিয়র পর্যায়ের তথ্য প্রযুক্তির লোক খুঁজছিল। তারা সুফি ফারুক কে সাক্ষাৎকারে আমন্ত্রণ জানান। সুফি ফারুক সাক্ষাৎকারে গেলে কর্মকর্তারা তার বয়স দেখে একটু অবাক হন। এক পর্যায়ে জিজ্ঞেস করেই বসেন বইটি আসলেই কি তার লেখা কি না!

সুফি ফারুক ইবনে আবুবকর [ পরিচিতি ] - Successful Implementation Celebration of SAP-ERP Project of AKTEL
Successful Implementation Celebration of SAP-ERP Project of AKTEL
সাক্ষাৎকার শেষে তাকে সেসময়ের অপ্রত্যাশিত আর্থিক সুবিধা সহ, সিনিয়র ম্যানেজারের পজিশন অফার করা হয় এবং তৎক্ষণাৎ যোগদান করার অনুরোধ করা হয়। সুফি ফারুক যোগদানের দিন থেকে ১৫ দিন ছুটিতে থাকার শর্তে যোগদানে রাজি হয়। সেখানে সে দুবছর কাজ করার পরে তথ্য প্রযুক্তি প্রধানের দায়িত্ব পায়। টেলিকম মালয়েশিয়ার বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি গ্রোথের সময়টিতে সে তথ্য প্রযুক্তির নেতৃত্ব দেয়।

টেলিকম মালয়েশিয়ার জন্য কাজ করার সময় সে কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি ব্যবস্থাপনা, আইপি নেটওয়ার্ক এক্সপানশন, এসএপি ইআরপি বাস্তবায়ন সহ বহু গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের নেতৃত্ব দিয়েছে। এছাড়া তথ্য প্রযুক্তি ব্যবস্থাপনায় নতুন অনেক মডেল বাস্তবায়ন করেছে। তবে সে মনে করে তার গুরুত্বপূর্ণ কাজের একটি হচ্ছে বেশ কিছু তথ্য প্রযুক্তি নেতৃত্ব তৈরি, যারা আজ বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব দিচ্ছে।

সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অপরেটরস্ গ্রুপ [ SANOG ]:

টেলিকম মালয়েশিয়া বাংলাদেশে যোগদানের পূর্বেই সুফি ফারুক স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অপরেটরস্ গ্রুপ [ SANOG ] এর সাথে যুক্ত হয়। SANOG হয়ে সে ঢাকা, ভুটান, ভারতে প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করেছে। বিস্তারিত দেখুন স্যানোগ এর ওয়েবসাইটে

Information Technology Management Association of Bangladesh (ITMAB):

বাংলাদেশের পেশাজীবীদের “তথ্য প্রযুক্তি ব্যবস্থাপনা”র ধারনা, আদর্শ, সেরা মান সম্পর্কে সচেতন করতে এবং দক্ষ করতে সুফি ফারুক Information Technology Management Association of Bangladesh (ITMAB) নামে একটি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগ নেয়। যেই প্রতিষ্ঠানটি থেকে পরবর্তীতে অনেক কার্যক্রম করা হয়েছে।

এসএনএ কনসালটেন্সি সার্ভিসেস [ SnA Consultancy Services ]:

সুফি ফারুক ইবনে আবুবকর ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠা করে তথ্য প্রযুক্তি পরামর্শ ও নিরীক্ষণের জন্য একটি প্রতিষ্ঠান যার নাম “এসএনএ কনসালটেন্সি সার্ভিসেস”। উক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে মূলত তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক প্রকল্প পরামর্শ ও নিরীক্ষণের কাজ করা হয়। প্রতিষ্ঠানটি বেসরকারি খাতে কয়েকটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের জন্য ডেটা সেন্টার স্থাপন, তথ্য প্রযুক্তি নিরাপত্তা অবকাঠামো উন্নয়নের পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছে। এছাড়া সরকারি পর্যায়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল তথ্য প্রযুক্তি অবকাঠামো ও পরিকাঠামো নিরীক্ষণের কাজ করেছে। সম্প্রতি প্রতিষ্টানটি নাম পরিবর্তন করে “গুরুকুল কনসাল্টিং” নাম নিয়েছে।

বাংলাদেশ গুরুকুল [Bangladesh Gurukul ]:

২০০৭ সাল থেকে সুফি ফারুক এর মনে হতে শুরু করে, তার আর কোন গ্রোথ হচ্ছে না, হবে না। কারণ তথ্য প্রযুক্তি প্রধান তথ্য প্রযুক্তি লাইনের শেষ পদ। আর তাছাড়া তথ্য তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের লোকদের প্রধান নির্বাহী বানানোর রেওয়াজ তৈরি হয়নি। এবং পাশাপাশি তার মনে হচ্ছি সে মানুষের জন্য কিছু করতে পারছে না। আমি সহ অন্য বন্ধুদের সাথে এই বিষয়ে বারবার কথা বলেছে।

Gurukul Logo (Black) | গুরুকুল লোগো (কালো)সুফি ফারুকের একটি দোষ বা গুন হচ্ছে যেকোনো আইডিয়া বন্ধু বান্ধব সবাইকে ডেকে তাদের সাথে কথা বলে। একসময় সে আমাদের ডেকে জানায় যে সে একটি দক্ষতা উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান করতে চায়। যেখানে হাতে কলমে শিক্ষা দেয়া হবে। তবে শুধু কারিগরি বিষয় নয়, একই সাথে শিক্ষার্থীদের মানবিকতা গঠনেও কাজ করা হবে। তার স্ত্রী উদ্যোগটির নাম প্রস্তাব করে গুরুকুল। অর্থাৎ আমাদের আদি স্কুল যে নামে হতো। মোটামুটি সেই সিদ্ধান্ত নিয়েই কাজ শুরু হয়।

২০০৯ সালে গুরুকুলের প্রথম ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠানটি অনুমোদিত হয় এবং ২০১০ সালে পাঠদান শুরু হয়। সেই প্রতিষ্ঠানের সূত্র ধরে এখন ১৩ টি প্রতিষ্ঠান হয়েছে এবং প্রচুর শিক্ষার্থী সেখানে বিভিন্ন মেয়াদে লেখাপড়া করছে। অনেক শিক্ষার্থী গুরুকুল থেকে লেখাপড়া শেষ করে বেরিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সুনামের সাথে কাজ করছে। গুরুকুল সম্পর্কে বিস্তারিত দেখুন ওয়েবসাইটে

বর্তমান অন্যান্য সম্পৃক্ততা:

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ :

  • সদস্য,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ,কুষ্টিয়া জেলা শাখা।
  • সদস্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপকমিটি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি।

গুরুকুল :

  • ট্রাস্টি, গুরুকুল ট্রাস্ট।
  • প্রমুখ,গুরুকুল।
  • চেয়ারম্যান, গুরুকুল লিমিটেড।
  • এছাড়া “গুরুকুল” এর নামের ২৭ টি ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী।

অন্যান্য:

  • ট্রাস্টি,সুফি ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন।
  • সভাপতি,প্রযুক্তিতে বাংলাদেশ।
  • এছাড়া “এসএনএ” এর নামের ৪ টি ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী।

অতীত অন্যান্য সম্পৃক্ততা:

  • সভাপতি, ইয়ুথ বাংলা কালচারাল ফোরাম।
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক,বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ,কুষ্টিয়া জেলা শাখা।
  • তথ্য প্রযুক্তি প্রধান,একটেল জিএসএম (বর্তমানে রবি)।
  • অপারেশন প্রধান,আইডিএস বাংলাদেশে (ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডর)।
  • আহবায়ক,আইটি ম্যানেজমেন্ট এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ।
  • ট্রাস্টি,এ্যডভান্সড্ ওয়েলফেয়ার ফউন্ডেশন।
  • ট্রাস্টি,কুমারখালি ফউন্ডেশন।
  • সম্পাদকমন্ডলির সভাপতি,দৈনিক আজকের আলো।
  • আহবায়ক,বঙ্গবন্ধু কিশোর সংসদ (মহানগর)।
  • সদস্য,কুমারখালি মহিলা কলেজ। সদস্য, বাঁশগ্রাম আলাউদ্দিন আহমেদ মহাবিদ্যালয়।
  • প্রভাষক, ইন্সটিটিউট অব সায়েন্স ট্রেড এন্ড টেকনোলোজি।
  • প্রধান নির্বাহী,বিজনেস ইনোভেশন এন্ড ইনকিউবেশিন সেন্টার।
  • পরিচালক,সুফি এন্ড এসোসিয়েটস্ কম্পানিজ।

কার্যক্রমের সারসংক্ষেপ:

তথ্য প্রযুক্তি পেশার কার্যক্রম:

  • ১৯৯৯ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানে তথ্য-প্রযুক্তির দায়িত্বশীল পদে চাকুরী করেছে।
  • ২০০৮ সালে মাত্র ২৮ বছর বয়সে প্রথম বাঙ্গালী হিসেবে একটি বহুজাতিক মোবাইল টেলিফোন কোম্পানির তথ্য প্রযুক্তি প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ।
  • ২০১০ সাল থেকে নিজের তথ্য-প্রযুক্তি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে (কনটেন্ট ব্যবস্থাপনা, ইন্টারনেট সার্ভিস, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবস্থাপনা, তথ্য প্রযুক্তি নিরাপত্তা বিষয়ে) সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে পরামর্শক হিসেবে কাজ।

Panel Discussion in CA Tech Retreat @GOA #India

  • প্রশিক্ষক, বক্তা ও প্যানেল আলোচক হিসেবে দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও সেমিনারে অংশগ্রহণ। এর মধ্যে সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অপারেটরস গ্রুপ (স্যানোগ) এর বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান ও ভারতের মুম্বাই এর কনফারেন্স, কম্পিউটার এসোসিয়েটস এর ভারতের গোয়ায় অনুষ্ঠিত কনফারেন্স, হুয়াওই টেকনোলোজির মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও চিনে অনুষ্ঠিত কনফারেন্স, টেলিকম মালয়েশিয়া ও মাল্টিমিডিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে আইপি কর্মশালা অন্যতম।
  • তথ্য প্রযুক্তি, জনসম্পদ, উদ্যোক্তা উন্নয়ন ইত্যাদি বিষয়ে ইন্ডাস্ট্রি রিসার্চ সহ দৈনিক পত্রিকাগুলোতে নিয়মিত লেখালেখি।
  • • লেখক, আই এসপি সেটআপ ম্যানুয়াল: http://en.wikipedia.org/wiki/ISP_Setup_Manual_(book

সামাজিক ও রাজনৈতিক কার্যক্রম:

ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে পেশাজীবীদের উদ্বুদ্ধ ও যুক্ত করার কার্যক্রম:

২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ সরকার গঠন হবার পর থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সরকারি ও বেসরকারি খাতের তথ্য প্রযুক্তি পেশাজীবীদের উদ্বুদ্ধ করতে ও তাদেরকে যুক্ত করতে সুফি ফারুক তার নেতৃত্বাধিন সংগঠন আইটি ম্যানেজমেন্ট এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইটিম্যাব) এর ব্যানারে বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম গ্রহণ করে।

বাংলাদেশের সকল পেশাজীবীদের সাথে তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের মত বিনিময়, তথ্য প্রযুক্তি পলিসি তৈরিতে পেশাজীবীদের অংশগ্রহণ, বিনা মূল্যে সরকারি কর্মকর্তাদের ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও বাস্তবায়ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম উল্লেখযোগ্য।

বিস্তারিত দেখুন:

মফস্বল শহরে ডিজিটাল বাংলাদেশের বার্তা ছড়িয়ে দিতে “প্রযুক্তি উৎসব“:

সুফি ফারুক এর প্রতিষ্ঠিত সংগঠন “প্রযুক্তিতে বাংলাদেশ” জেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় চ্যাপ্টারগুলোর মাধ্যমে দেশের কয়েকটি জেলা শহরে প্রযুক্তি উৎসবের আয়োজন করেছে। এ সকল উৎসবে দেশের বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তি সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে শিক্ষার্থীরা প্রযুক্তি প্রকল্প নিয়ে যোগ দিয়েছে।

Projukti Utsab Logo | প্রযুক্তি উৎসব লোগো

এসব উৎসবে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য,ট্রেড এসোসিয়েশনের প্রধান,দেশি-বিদেশী গবেষক,সরকারের নীতি নির্ধারনী পর্যায়ের ব্যক্তিরা বক্তা হিসেবে যোগদান করেছেন। এসব উৎসবের মধ্য দিয়ে চলে সরকারের পরিকল্পনা ও উন্নয়নের প্রচার।

তথ্য প্রযুক্তি পেশাজিবী তৈরিতে ফ্রি সচেতনতা ও কারিগরি প্রশিক্ষণ:

সুফি ফারুক এর উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে আয়োজিত তথ্য প্রযুক্তি কর্মশালায় এ পর্যন্ত প্রায় ৫০০০ প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেছে।

Freelance Outsourcing Workshop, Kushtia (ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং কর্মশালা, কুষ্টিয়া) #ProjuktiteKushtia #ProjuktiteBangladesh #FreelanceOutsourcing

সুফি ফারুক এর উদ্যোগে প্রশিক্ষণ নেয়া শিক্ষার্থীদের এর মধ্যে ৬ শতাধিক শিক্ষার্থী দেশে বিদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সুনামের সাথে কাজ করছে।

এসকল কর্মশালায় বক্তারা প্রাসঙ্গীক ভাবে সরকারের তথ্য প্রযুক্তিতে নেয়া উদ্যোগসমুহ ও তার ভবিষ্যত সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। এসব কার্যক্রমের বেশিরভাগ পরিচালিত হয়েছে সুফি ফারুক এর প্রতিষ্ঠিত সামাজিক সংগঠন প্রযুক্তিতে বাংলাদেশের বন্যারে।

 

জনগণের কাছে শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়নের বিস্তারিত তথ্য পৌঁছে দিতে “হাট পরিক্রমা” ও “উঠান বৈঠক”:

তৃনমূলের জনগণের কাছে শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়নের বিস্তারিত তথ্য পৌঁছে দিতে “হাট পরিক্রমা” ও “উঠান বৈঠক” এর আয়োজন করা হয়।

haat porikroma 1 সুফি ফারুক ইবনে আবুবকর [ পরিচিতি ]

 

গ্রাম্য হাট-বাজারে একটি প্রশিক্ষিত টিম গিয়ে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর এর মাধ্যমে শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়নমুলক কার্যক্রম তুলে ধরে। একই উদ্দেশ্যে গ্রামের বিভিন্ন লোকালয়ে আয়োজন করা হয় “উঠান বৈঠক”।

উঠান বৈঠক এর ব্যানার : Uthan Boithak - Banner

উঠন বৈঠকে উন্নয়ন প্রচার করার পাশাপাশি জনগণের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয়।

 

গ্রামীণ তথ্য সেবা কেন্দ্র:

সুফি ফারুক ২০০৭ সালে প্রথম নিজের ব্যক্তিগত ব্যয়সংকোচন করে কুমারখালি উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়ন পরিষদে একটি কম্পিউটার, ইউপিএস ও প্রিন্টার প্রদানের মাধ্যমে গ্রামীণ তথ্য সেবা কেন্দ্র শুরু করে।

একই সাথে বেশ কটি বাজারে আরও কয়েকটি জায়গায় নবীন উদ্যোক্তাদেরকে উৎসাহিত করে গ্রামীণ তথ্য সেবা কেন্দ্র স্থাপন ও কম্পিউটার প্রদান করে। এসকল উদ্যোক্তাদের অনেকেই আজ স্বাবলম্বী।

তরুন সমাজের কাছে দল ও সরকারের প্রচারের জন্য “দিন বদলের আড্ডা” প্রকল্প:

দিন বদলের আড্ডা মুলত উঠান বৈঠক ধরনের কার্যক্রম। গ্রামের মাঠে, উঠানে বা বাজারে এই আড্ডার আয়োজন করা হয়। স্থানীয় ছেলে-মেয়েরা এই আড্ডার আয়োজন করে। বাইরে থেকে দু একজন অতিথি যায়।

Din Bodiler Adda | দিন বদলের আড্ডা | Sufi Faruq Ibne Abubakar | সুফি ফারুক ইবনে আবুবকর | Kushtia | কুষ্টিয়া
Din Bodiler Adda | দিন বদলের আড্ডা

স্থানীয় তরুনরা মুল আয়োজক হলেও কখনও এলাকার মুরব্বীরা এই আড্ডায় যোগ দেয়।

দিন বদলের আড্ডা, বাঁশগ্রাম বাজার । din bodoler adda -banshgram bazar
দিন বদলের আড্ডা, বাঁশগ্রাম বাজার ।

খুব ইনফরমাল কায়দায় চা, মুড়ি খেতে খেতে ওই এলাকার মানুষের সমস্যা নিয়ে কথা বলা হয়। আলোচনার মধ্যে উঠে আসে সে এলাকার – সামাজিক সমস্যা,তরুনদের সমস্যা,কর্মসংস্থান,উদ্যোগ ইত্যাদি। সেই সমস্যাগুলো স্থানীয় পর্যায়ে সমাধানের জন্য উপায় বের করার চেষ্ট করা হয়।

দিন বদলের আড্ডা
দিন বদলের আড্ডা

এলাকার বাইরের কোন সাহায্য প্রয়োজন হলে তার নোট নেয়া হয়। সেই নোট অনুযায়ী পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেয়া হয়। মাঝে মধ্যে দু একজন সফল মানুষকে সাথে করে নিয়ে যাওয়া হয় যাকে দেখে মানুষ উৎসাহ বোধ করে।

দিন বদলের আড্ডা, শিলাইদহ কুঠিবাড়ি আলো টুরিস্ট কমপ্লেক্স । din bodoler adda - shelaidah kuthibari
দিন বদলের আড্ডা, শিলাইদহ কুঠিবাড়ি আলো টুরিস্ট কমপ্লেক্স ।

এই কর্মসূচির মাধ্যমে সাধারণ তরুণ তরুণীদের সাতে সম্পৃক্ততা বাড়ে। তাদের বিভিন্ন ভুল ধারণা সঠিক যুক্ত তর্কের মাধ্যমে সমাধান দেয়া যায়। অনেক অপপ্রচারের জবাব দেয়া যায়।

আরও দেখুন:

 

 

ডিজিটাল সাধারন তথ্যের সাথে দল ও সরকারের প্রচারের জন্য “ডিজিটাল কুষ্টিয়া” প্রকল্প:

ডিজিটাল কুষ্টিয়া প্রকল্পের আওতায় কুষ্টিয়ার বিভিন্ন স্বনামধন্য ব্যক্তি ও দর্শনীয় স্থানের উপর ৫০০ সহস্রাধিক ইন্টারনেট পাতা ও তথ্য ভাণ্ডার তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া শিশুদের জন্য বিভিন্ন বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গের ডিজিটাল জীবনবৃত্তান্ত তৈরি করা হচ্ছে।

Digital Kustia | ডিজিটাল কুষ্টিয়া | Sufi Faruq Ibne Abubakar | সুফি ফারুক ইবনে আবুবকর | Kushtia | কুষ্টিয়া
Digital Kustia Logo | ডিজিটাল কুষ্টিয়া লোগো

এই প্রকল্পের আওতায় “বাউল সম্রাট লালন সাঁই” কে কচিকাঁচাদের মাঝে পরিচয় করাতে ২০১০ সালে ছোটদের লালন নামে একটি ডিজিটাল প্রকাশনা তৈরি করা হয়েছে ।

বর্তমানে কুষ্টিয়া বিষয়ক যেসব তথ্য ইন্টারনেটে পাওয়া যায় তার বেশিরভাগই এই প্রকল্পের মাধ্যমে তুলে আনা

 

শেখ হাসিনা হেলথ ক্যাম্প:

কুমারখালীর বিভিন্ন যায়গায় এই হেলথ ক্যাম্প এর আয়োজন করা হয়। প্রতিটি ক্যাম্পে প্রায় ২ শতাধিক রোগীকে বিনা মূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা, প্রেসক্রিপশন, রক্তের গ্লুকোজ-গ্রুপ নির্ণয় ও কিছু সাধারণ টেস্ট সহ ঔষধ সরবরাহ করা হয়। এছাড়া সরকারি স্বাস্থ্য সুবিধা কোথায় কিভাবে পাওয়া যাবে, সে বিষয়ে পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হয়।

হেলথ ক্যাম্প এর উদ্বোধন | Inauguration of monthly health camp
হেলথ ক্যাম্প এর উদ্বোধন | Inauguration of monthly health camp

নিয়মিত মাসিক এই হেলথ ক্যাম্পটির নাম “শেখ হাসিনা হেলথ ক্যাম্প”। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর “হত-দরিদ্ররা যেন চিকিৎসা বঞ্চিত না হয়” – শ্লোগানের বাস্তবায়নে এই কর্মসূচি। এই ক্যাম্পে আর্থিক সহায়তা দেয় আমাদের পারিবারিক সংগঠন “সুফি ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন”। ক্যাম্পে ডাক্তার, নার্স সহ অন্যান্য পেশাজীবীদের দিয়ে কারিগরি সহায়তা করে আমাদের গুরুকুলের হেলথ ক্লাব।

 

ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য “প্রযুক্তি নির্ভর দক্ষ জনশক্তি উন্নয়ন”:

সুফি ফারুক প্রযুক্তি নির্ভর দক্ষ জনশক্তি তৈরির উদ্যোগ হিসেবে কারিগরি ও কর্মমুখী শিক্ষা জনপ্রিয় করনে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নিয়েছেন। পাশাপাশি নিজ উদ্যোগে একাধিক কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছেন। সকল প্রতিষ্ঠান হতে বছরে ৫০০+ শিক্ষার্থী ৪ বছরের কারিগরি শিক্ষা নিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে যুক্ত হচ্ছে।

 

ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য “প্রযুক্তি নির্ভর ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা” তৈরি কার্যক্রম:

ডিজিটাল বাংলাদেশ শ্লোগান বাস্তবায়নে নতুন প্রযুক্তি নির্ভর উদ্যোক্তা তৈরি ছাড়া সম্ভব নয়। তাই ২০০৮ সাল থেকেই এ খাতে উদ্যোক্তা তৈরির জন্য বিভিন্ন সামাজিক আন্দোলনের সাথে যুক্ত রয়েছেন সুফি ফারুক। পাশাপাশি উদ্যোক্তা তৈরিতে সহায়তা করার জন্য কিছু প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামো গড়ে তুলেছেন। ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ও এঞ্জেল ক্যাপিটালের মাধ্যমে বেশ কিছু উদ্যোক্তাকে ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন।

 

বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারী উদ্যোক্তা ইনকিউবেটর: বিদেশে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোক্তা তৈরির সফল ইনকিউবেটরের মডেল গবেষণার মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্য ইউনিক একটি মডেল তৈরি করেছেন। এই প্রতিষ্ঠান হতে নতুন উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ সহায়তার পাশাপাশি, আইডিয়াকে অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান করার একটি মডেল তৈরি বা বিজনেস কেস তৈরি,অবকাঠামোগত সহায়তা,টিম গড়তে সহযোগিতা, প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, আইনি সহায়তা, ইত্যাদি দেয়া হয়।

উদ্যোক্তা সমাবেশ ও সম্মাননা: সুফি ফারুক এর উদ্যোগে প্রতি বছর সেরা তরুণ ও প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে এগিয়ে আসা উদ্যোক্তাদের সম্মাননা দেয়া হয়।

হ্যাকাথন: বিশ্বব্যাংক এর সহায়তায়, নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য আয়োজিত, আন্তর্জাতিক হ্যাকথাকন এর বাংলাদেশ ইভেন্টে অন্যতম সংগঠক ও মেন্টর হিসেবে কাজ করেছেন সুফি ফারুক।

ন্যাশনাল এন্টারপ্রেনর সামিট: মাননীয় অর্থ মন্ত্রী জনাব আবুল মাল আব্দুল মুহিত এর পৃষ্ঠপোষকতায় টিম এন্জিনের নেতৃত্বে, ২০১৩ সালে বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় এন্টারপ্রেনর সামিট অনুষ্ঠিত হয়। আমি এই সামিটের একজন অন্যতম সংগঠক।

 

পেশা পরামর্শ সভা:

এই প্রকল্পটি নেয়া হয়েছে কুমারখালী-খোকসার তরুদের ডিজিটাল বাংলাদেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর পেশাগুলোর উপযুক্ত হয়ে তৈরি হাবার জন্য সচেতনতা ও দিকনির্দেশনা দেবার জন্য। এসব সভায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্মিত ডিজিটাল বাংলাদেশ ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য পুত্র ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব জয়ের ভবিষ্যৎ জ্ঞান ভিত্তিক অর্থনীতির বাংলাদেশের অবারিত পেশাজীবীদের সম্ভাবনাগুলো তুলে ধরা হয়। পাশাপাশি সেসব পেশায় তৈরি হবার জন্য প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেয়া হয়।

 

মুজিব গ্রাফিক নভেল এর “পড় মুজিব” কর্মসুচি:

মফস্বলের শিশু-কিশোরদের বঙ্গবন্ধুর ছেলেবেলার সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে,কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন স্কুলে “পড় মুজিব” শীর্ষক একটি অনুষ্ঠান শুরু করেছিলাম। এই আয়োজনটি কুষ্টিয়াতে শুরু করার পর সামাজিক গণমাধ্যমের কল্যাণে সারা দেশে ব্যাপক সাড়া পেয়েছে। এখন দেশের বিভিন্ন জেলা,উপজেলা ও প্রত্যন্ত গ্রামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একই ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন হচ্ছে। মুল গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে মাদ্রাসায়।

পড় মুজিব কর্মসূচি মূলত বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ অবলম্বনে তৈরি মুজিব গ্রাফিক নভেল এর সাথে পরিচিতি অনুষ্ঠান। বঙ্গবন্ধুর ৯৫তম জন্মবার্ষিকীতে তার দৌহিত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক’র উদ্যোগে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) প্রকাশ করেছিল এই বইটি। ২৪ পাতার এই বইয়ের শিরোনাম ‘মুজিব’। এটিকে দেশের প্রথম জীবনী ভিত্তিক ‘গ্রাফিক নভেল’ বলা যায়।

“পড় মুজিব” অনুষ্ঠানে প্রথমে শিক্ষার্থীদের নভেলটি পড়ে শোনানো বা প্রজেক্টরে দেখানো হয়। এরপর বই এর মধ্যে থেকে কুইজ আকারে প্রশ্ন করা হয়। কুইজের বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে, উপহার হিসেবে তুলে দেয়া হয় “মুজিব গ্রাফিক নভেল” এর কপি।

শিক্ষকদের আন্তরিকতা আর শিক্ষার্থীদের উৎসাহে প্রতিটি অনুষ্ঠান হয় দারুণ প্রাণবন্ত। এসব অনুষ্ঠানের মুল আয়োজক শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা। আমি আয়োজনে উৎসাহ এবং উপহার দেবার জন্য গ্রাফিক নভেল সরবরাহ করা হয়।

 

সামাজিক নেটওয়ার্কে প্রচার টিম:

কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামলীলীরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের আওতায় সন্প্রতি গড়ে তোলা হয়েছে অনলাইনে প্রচারের জন্য বিশেষ টিম। যারা নির্বাচন পর্যন্ত “শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের উন্নয়ন” শির্ষক একটি বিশেষ ক্যাম্পেইন চালাবে। পাশাপাশি দলের নিয়মিত ক্যাম্পেইন কার্যক্রমে অংশ নেবে।

 

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ গৃহীত দলীয় নতুন ঘোষণাপত্র নিয়ে তৃনমূলে মতবিনিময়:

কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর ২০ তম জাতীয় কাউন্সিলে গৃহীত দলীয় নতুন ঘোষণাপত্র নিয়ে, ইউনিয়ন পর্যায়ে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের মতবিনিময় সভার আয়োজন করছেন সুফি ফারুক। এই বিশ্বাস থেকেই কাজটি করা হচ্ছে যে দলীয় ঘোষণাপত্র ভালোভাবে বুঝতে পারলে কর্মীরা নিজে অনুপ্রাণিত ও আত্মবিশ্বাসী হবে ।

 

সাংস্কৃতিক অঙ্গনে দলের জন্য কাজ:

একজন সংস্কৃতি কর্মী হিসেবে ইয়ুথ বাংলা কালচারাল ফোরাম এর সংগঠক হিসেবে কাজ করছি। এই প্লাটফরমটি তৈরি করা হয়েছে তরুণ শিল্পীদেরকে পৃষ্ঠপোষকতার জন্য। তাদেরকে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের পক্ষের মানসিকতায় গড়ে তোলার জন্য। এই সংগঠনে ইতোমধ্যে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশের বেশিরভাগ স্বনামধন্য সাংস্কৃতিক কর্মী। সংগঠনটির লোগো উন্মোচন করেন সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।

 

নেত্রী ও সংগঠনের সংগঠনের জন্য অনলাইন প্রচারণা:

২০১২ সাল থেকে সংগঠনের জন্য অনলাইন প্রচারণায় পরিকল্পিত ভাবে কাজ করছেন। ফেসবুক, টুইটার, লিংকড ইন, গুগুল প্লাস দেশি ও ইন্টারন্যাশনাল অডিয়েন্স এর জন্য ভিন্ন ভিন্ন কনটেন্ট তৈরি ও প্রচার চলছে। এছাড়া কয়েকটি হার্ড কপি প্রকাশনার সাথে যুক্ত থেকেছেন।

কাউন্সিল উপলক্ষ্যে জননেত্রী শিখ হাসিনার উপরে উপরে “বিশ্বসভায় শেখ হাসিনা” শির্ষক একটি ডকুমেন্টরি নির্মান করেছেন যা বিভিন্ন সামাজিক গণমাধ্যম চ্যানেলে প্রায় ২ লক্ষ ৫০ হাজার মানুষ দেখেছে। ইউটিউব লিংক:

সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ নির্মুলে কার্যক্রম:

Seminar : Countering Radicalization and Extremism : Role of Students & Teachers

সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের মুল কারণকে মানুষের সামনে তুলে ধরা ও তা নির্মূলের জন্য অনলাইন ও অফলাইনে প্রচার করে চলেছে। এলাকার নেতাকর্মীদের সম্পৃক্ত করে ও আমার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ওহাবী মতবাদ, বিকৃত শরিয়াহ, ইসলামের নাম ধরে ক্ষমতা দখলের লোভীদের চিনে নেয়া ও তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য সাধারণ মানুষকে সচেতন করার কাজ করছেন।

অন্নপূর্ণা বঙ্গমাতা অতিথিশালা:

এই প্রকল্পটি নেয়া হয়েছে হাটবারে কুমারখালীতে আগত স্বল্প আয়ের মানুষ এবং ভবঘুরেদের জন্য। সম্পূর্ণ বিনা খরচে স্বল্প আয়ের মানুষ ও ভবঘুরেদের এক বেলা খাবার নিবেদন হয় এই প্রকল্পের আওতায়। কুমারখালী ট্রেন স্টেশনে হাটবারে “অন্নপূর্ণা বঙ্গমাতা অতিথিশালা” থেকে আগত অতিথিদের অন্ন নিবেদন করা হয়।

 

স্থানীয় সামাজিক ও দলীয় কার্যক্রম:

২০০১ সাল থেকে সুফি ফারুক সমাজের সাথেসম্পৃক্ত রয়েছেন। এলাকাতে ধর্মীয় স্থাপনা নির্মাণ, কবরস্থান সংস্কার,শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সহায়তা সহ বিভিন্ন সেবামুলক কর্মকাণ্ড করে আসছেন। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা সহায়তা, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের কর্মসংস্থান, দুস্থ্য নেতাকর্মীদের চিকিৎসা ও সন্তানদের লেখাপড়ার সহযোগিতা করে আসছেন। পাশাপাশি প্রতি বছর গরীব ও দুস্থদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ, ধর্মীয় উৎসবের পূর্বে কাঁচা খাবার বিতরণ সহ বিভিন্ন ভাবে তাদের সাথে থাকবার চেষ্টা করছেন।

 

শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ:

কম্পিউটার এপ্লিকেশন এ স্নাতকোত্তর। ই-টেকনোলোজি নেটওয়ার্ক সেন্টারর্ড কম্পিউটিং এ স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা। মাইক্রোসফট সার্টিফাইড প্রফেশনাল, সিসকো সার্টিফায়েড নেটওয়ার্ক প্রফেশনাল, আইটিআইএল ৩ সার্টিফায়েড, সার্টিফায়েড সিকিউরিটি এসেসর, সার্টিফায়েড ডেটা সেন্টার প্রফেশনাল সহ বহু আন্তর্যাতিক সার্টিফিকেট।

 

যোগাযোগ:

ফেসবুক প্রোফাইল : https://www.facebook.com/sufi.faruq
ফেসবুক পাতা : https://www.facebook.com/Sufi.Faruq.Ibne.Abubakar
টুইটার প্রোফাইল : https://twitter.com/sufifaruq
লিংকড্ ইন প্রোফাইল: http://www.linkedin.com/in/sufifaruq
ইউটিউব চ্যানেল: http://www.youtube.com/sufifaruq
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট: http://www.sufifaruq.com/

ঢাকা অফিস : বাড়ি ৪৫০, রোড ৩১, মহাখালি ডিওএইচএস, ঢাকা ১২০৬। টেলিফিান : +৮৮০-২-৯৮৯১১৯০, ৮৮৩৬৮৭৫।
ঢাকা বাসা: প্রপার্টি এনক্লেভ, ৫৪ নিউ ইস্কাটন, তেজগাঁও, ঢাকা। টেলিফোন: +৮৮০-২-৯৩৪৬৭৬১।
কুষ্টিয়া অফিস : ৫/২ জেহের আলী বিশ্বাস লেন, কালিসংকরপুর, কুষ্টিয়া। ফোন: +৮৮০ (১৭) ৬৩০৩৮,৬৩০৩৯।
কুষ্টিয়া বাসা : সি ৭৫ হাউজিং স্টেট, কুষ্টিয়া- ৭০০০, কুষ্টিয়া। টেলিফোন: +৮৮০(৭১) ৬৩১৬৬.
কুমারখালী অফিস: কুমারখালী বাস স্ট্যান্ড, দুর্গাপুর, কুমারখালী।
কুমারখালি বাসা : গ্রাম বাঁশগ্রাম, পোস্ট দুর্বাচারা, থানা কুমারখালি, জেলা কুষ্টিয়া।

23 thoughts on “সুফি ফারুক ইবনে আবুবকর [ পরিচিতি ]”

Leave a Comment