হিন্দুস্থানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীত

হিন্দুস্থানি সিস্টেম বা হিন্দুস্থানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে আলাদা আলাদা ভাবাবেগের প্রকাশ করা হয় স্বতন্ত্র রাগ দিয়ে। রাগগুলো যথারীতি ঋতু, সময় এবং মেজাজ ভিত্তিক। কণ্ঠের পাশাপাশি হিন্দুস্থানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীত যন্ত্র সঙ্গীতে সমান জনপ্রিয়। তানপুরা তে সুর ধরে রেখে, তবলা বা পাখোয়াজকে তালবাদ্য হিসেবে ব্যাবহার করে পরিবেশন করা হয়।

 

হিন্দুস্থানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীত

 

এই রাগগুলোতে বিভিন্ন জনরার সঙ্গীতগুলো গাওয়া/বাজানো হয়। রাগের শুদ্ধতা বজায় রেখে – ধ্রুপদ, ধামার, খেয়াল, সাদরা, তারানা রীতির (genre) সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। হিন্দুস্থানি সঙ্গীতে উপশাস্ত্রীয় ধারাগুলোর মধ্যে – গজল, ঠুমরী, কাওয়ালি, টপ্পা, কাজরি, হরি, সুফি রীতিগুলো জনপ্রিয়। তাছাড়া উপশাস্ত্রীয় ধারায় আমাদের দেশে – রবীন্দ্র, নজরুল, কীর্তন গান রয়েছে। একসময় উপশাস্ত্রীয় ধারার অসখ্য প্লেব্যাক এবং আধুনিক গানও হয়েছে।

হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীত বা হিন্দুস্থানী শাস্ত্রীয় সঙ্গীত ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের উত্তর ভারতীয় শাখা। খ্রিষ্টপূর্ব ১০০০ অব্দে উদ্ভূত বৈদিক স্তোত্রগুলির মধ্যে এই ধারার উৎস নিহিত রয়েছে। তবে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের আধুনিক ধারাটির উদ্ভব খ্রিষ্টীয় দ্বাদশ শতাব্দীতে। আমির খসরুকে (১২৫৩-১৩২৫) আধুনিক শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের জনক মনে করা হয়। হিন্দুস্থানি কণ্ঠসঙ্গীতের প্রধান শাখাগুলি হল খেয়াল, ধ্রুপদ ও তারানা। অন্যান্য ধারাগুলির উল্লেখযোগ্য ধামার, কাজরী, টপ্পা, ঠুংরি, দাদরা, গজল, ভজন ইত্যাদি।

উত্তর ভারতীয় “হিন্দুস্থান” অঞ্চল থেকে এ সঙ্গীত ঐতিহ্যের নাম রাখা হয়। এই সঙ্গীত প্রথা বিন্ধ্য পর্বতের উত্তরে সমগ্র ভারতে প্রচলিত।

 

সূচি:

Leave a Comment