কুষ্টিয়া গুরুকুলে পেশা পরামর্শ সভা

বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজ থেকে পাশ করার পর দীর্ঘ সময় ধরে চাকরি খুঁজে বেড়ানো বাংলাদেশে নতুন কিছু নয়। দেশে শিক্ষিত বেকারের সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখলেই সংখ্যাটি যে কম নয় তা বোঝা যায়।

এই প্রেক্ষাপটে বেকার তরুণদের জন্য প্রযুক্তিবিদ সুফি ফারুকের উদ্যোগে কুষ্টিয়া গুরুকুলের লালন সাঁই ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হলো পেশা পরামর্শ সভা। অনুষ্ঠানের শিরোনাম ছিল— “কিভাবে স্বপ্নের চাকরি পাবেন।”

কুষ্টিয়া গুরুকুলে পেশা পরামর্শ সভা

কুষ্টিয়া গুরুকুলে পেশা পরামর্শ সভা

 

অনুষ্ঠানের আয়োজন

রোববার সকাল ৯টায় শুরু হওয়া সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন চৌধুরী শোভন রফিক শুভ, অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার (হিউম্যান রিসোর্সেস), লি অ্যান্ড ফুং (বাংলাদেশ) লিমিটেড।

সভায় গুরুকুল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের বিভিন্ন ট্রেডের (সিভিল, ইলেক্ট্রিক্যাল, টেক্সটাইল, মেকানিক্যাল, জিডিপিএম, কম্পিউটার) প্রায় ৬০ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

নিশ্চিত সাফল্যের ৪টি পরামর্শ

 

 

সুফি ফারুকের বক্তব্য

উদ্যোগ নেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সুফি ফারুক বলেন—

“দেশে কর্মমুখী শিক্ষার অভাবে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বাড়ছে। অথচ কারিগরি ও বিশেষায়িত শিক্ষায় দক্ষদের চাকরির বাজারে চাহিদা রয়েছে। কিন্তু বিদ্যমান শিক্ষাব্যবস্থা চাহিদানুযায়ী দক্ষ জনবল তৈরি করতে পারছে না। ফলে তরুণরা ব্যর্থতা ও হতাশায় ভোগে, অনেক সময় তারা ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। এ সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্যই আমার এই উদ্যোগ।”

 

প্রধান আলোচকের পরামর্শ

চৌধুরী শোভন রফিক শুভ বলেন—

“নিজেকে কর্মক্ষম ও যোগ্য করে তুলতে হবে। যে খাতে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্য পান, সেখানে নিজেকে দক্ষ করে তুলুন। কর্মমুখী খাতগুলোতে সুযোগ বেশি। একজন শিক্ষিত যুবক কখনো বেকার হতে পারে না। সুশিক্ষিত মানুষ সবসময় নিজেকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে পারে। তাই বেকার হয়ে বসে না থেকে যেকোনো ছোট, মাঝারি বা বড় উদ্যোগ নিন। তাতে হতাশা কমবে।”

তিনি এ ধরনের আয়োজনের জন্য প্রযুক্তিবিদ সুফি ফারুককে ধন্যবাদ জানান।

 

শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়া

উপস্থিত শিক্ষার্থীরা বলেন,

“গুরুকুল সবসময় কর্মমুখী শিক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করে। আমাদের অনুপ্রাণিত করতে নিয়মিত এমন কর্মসূচি হয়। এখানে আসার পর থেকে আমরা যা শিখছি তা বাস্তব জীবনে কাজে লাগানো সম্ভব। এখান থেকে শিক্ষা শেষ করে নিজের পছন্দের কাজ শুরু করা খুব একটা কঠিন হবে না। দেশের অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও যদি এভাবে শিক্ষার্থীদের নিয়ে ভাবত, তাহলে আরও অনেক দক্ষ কর্মশক্তি তৈরি হতো।”