শহীদুন নবী জুয়েল হত্যা দিবস আজ; মনে আছে ?

শহীদুন নবী জুয়েল হত্যার ১ বছর পুর্ন হলো।
আমরা নিশ্চয় ভুলে গেছি।

তার বাড়ি ছিলো লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র মোহাম্মদ শহীদুন্নবী জুয়েল।

এক বছর আগে কোরআন অবমাননার গুজব রটিয়ে তথাকথিত “তৌহিদি জনতা” তাকে গণপিটুনি দিয়ে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করে।

জুয়েল নাস্তিকও ছিলেন না, অন্য ধর্মেরও না। বরং নিয়মিত নামাজি ও রোজাদার ছিলেন।

আপনি ধর্মপ্রাণ, পরহেজগার কিছু হয়েই লাভ নাই। এই “তৌহিদি জনতা” ধর্ম চেনে না, ন্যায় অন্যায় বোঝে না। এদের নিজেদের সকল ব্যার্থতা আর হতাশা ঝাড়ার জন্য একটা জায়গা দরকার। ধর্ম অবমাননা, চুরি, ছেলেধরা – কিছু একটার গুজব রটিয়ে একটা জায়গা দেখিয়ে দেন। এই উম্মাদের দল, কোন কিছু না বুঝেই ঝাপিয়ে পড়বে। হত্যা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ করবে খেলার মেজাজে। এরা নিয়ন্ত্রণহীন নিউক্লিয়ার বোমার মতই ভয়ংকর।

 

শহীদুন নবী জুয়েল হত্যা দিবস আজ; মনে আছে ?
শহীদুন নবী জুয়েল

তবে এই জনতার উপরে রাগ ক্ষোভ করে আসলে কোন লাভ নেই। এরা মূল ক্রিমিনাল না, এরা বরং এক অর্থে ভিকটিম। অশিক্ষার ভিকটিম। এটা বোঝার মত ক্ষমতাও তাদের নেই। এদের শিক্ষা-দীক্ষা দিয়ে বোধবুদ্ধি উদ্ধার করে, সাংস্কৃতিক ঘষামাজা করে, মানুষ তৈরি করার আগে পর্যন্ত, আমরা নিউক্লিয়ার ফ্লাসপয়েন্ট এর উপরে বসে থাকবো। তার আগে পর্যন্ত, এদের হাত থেকে মানুষকে বাচাতে, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা যতটুকু পারবে, তাই মেনে নিতে হবে।

মুল ক্রিমিনাল তারা, যারা এদেরকে ব্যাবহার করে। কখনো সাম্প্রদায়িক অস্থিরতার জন্য, কখনো সম্পদ দখল করতে, কখনো স্রেফ প্রতিশোধ নিতে। এদের বিরুদ্ধে দল মত নির্বিশেষে সবাইকে রুখে দাঁড়াতেই হবে। কারণ ওরা প্রানপণে চায় ওই নিউক্লিয়ার মব টা আরো বড় হোক, শক্তিশালী হোক।

দেশটাকে বাসযোগ্য করতে অবকাঠামো খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, তবে শেষ কথা নয়। নাগরিকেরা যদি ভালো না হয়, অবকাঠামো ধ্বংস করতে ৬ মাসও লাগে না। বহু উদাহরণ আছে।