না যেয়ো না – গানটি সলিল চৌধুরীর অনবদ্য সৃষ্টির একটি। সুর দেবার পাশাপাশি বাংলা গানটি তিনি নিজেই লিখেছিলেন। হিন্দি সংস্করণের কথা লিখিয়েছিলেন গীতিকার শৈলেন্দ্র-কে দিয়ে। শুরুর দিকে কম্পোজ করা হয়েছে খামাজ বা খাম্বাজ রাগের উপর। তার পরের সুর তিনি করেছেন খাম্বাজ ঠাটেরই রাগ কলাবতী ব্যবহার করে। দুটি সংস্করণই গাইয়েছিলেন লতা মঙ্গেশকর কে দিয়ে। গানটির কম্পোজিশন বেশ জটিল। তিন সপ্তকে গলা স্বাচ্ছন্দ্য দখল না থাকলে গানটি গাওয়া প্রায় অসম্ভব।
শোনা যায় একদিন গাড়িতে করে কোথাও যাচ্ছিলেন সলিল। মাঝ পথে ঝুম বৃষ্টি আসে। সেই বৃষ্টিতে বসেই তার মনে আসে আসে প্রথম অন্তরার সুর (আমি যে তোমারি)। এজন্য সুরটি তার সপ্তক বিস্তৃত উঠেছে, সুর তীব্র হয়েছে। তারপর নিচে পড়ে বৃষ্টির ফোটা দেখে মনে আসে অন্তরার সুর (যে কথা বলিতে বাধে)। এজন্য অন্তরার সুর হয়েছে মন্দ্র সপ্তকের দিকে ঝুঁকে।
না যেয়ো না
না যেয়ো না।
রজনী এখনো বাকি
আরও কিছু দিতে বাকি
বলে রাত জাগা পাখি
না যেয়ো না (২) ..
আমি যে তোমারি শুধু জীবনে মরণে (২)
ধরিয়া রাখিতে চাহি নয়নে নয়নে।
না যেয়ো না..
রজনী এখনো বাকি
আরও কিছু দিতে বাকি
বলে রাত জাগা পাখি
না যেয়ো না…
যে কথা বলিতে বাধে
যে ব্যথা মরমে কাঁদে
সে কথা বলিতে ওগো দাও (২)
জীবনে রজনী জানি এমনি পোহাবে (২)
চাঁদের তরণী তুমি সুদূরে মিলাবে …
না যেয়ো না
রজনী এখনো বাকি
আরও কিছু দিতে বাকি
বলে রাত জাগা পাখি
না যেয়ো না (২)
আরও দেখুন: