বসন্ত ঋতুসংগীত নিয়ে আজকের আলোচনা।
১৯৩২ সালের দিকের কথা।
সেবার ওস্তাদ এনায়েত খাঁ সাহেব লন্ডন সফরে, ছেলে বিলায়েত কে সাথে নিয়েছেন। বিলায়েত খাঁর বয়স তখন ৫ কি ৬।
রয়েল আলবার্ট হলের কনসার্টে, অনেক বিস্তার করে বসন্ত রাগ বাজাচ্ছিলেন খাঁ সাহেব।
শুনতে শুনতে একসময় ঘুমিয়ে যায় ছোট্ট বিলায়েত।
শ্রোতার হাততালির শব্দে ঘুম ভেঙ্গে দেখে – চারদিকে শুধু হলুদ রঙের সমারোহ।
বিলায়েতের অবাক চোখের দিকে চেয়ে, খাঁ সাহেব বলেছিলেন “বাবা, এটাই বসন্ত রাগের রঙ” !!!
(যদিও গল্প শুনে আমার বউ বলেছিল – ওসব রাগ-ফাগ কিছু না। নিশ্চয় মাথায় গুঁতো লাগায়, সর্ষে ফুল দেখছিল !!!)
আজ আমাদের জীবনে – ঋষি নাই, ঋতু নাই। “ঋ” বর্ণ দিয়ে আর কিছুই প্রায় অবশিষ্ট নাই (বিভিন্ন ধরনের “ঋণ” ছাড়া)।
গান (শোনার ধৈর্য) নাই, প্রেম (করার অবসর) নাই, দেখা (করার জায়গা) নাই।
তারপরেও আছে !
ঢাকা শহরে – তরুণ-তরুণী, যুবক-যুবতীদের হলুদ কাপড়ে রঙিন হয়ে যাওয়া, একটি দিন হলেও আছে।
সবাইকে বসন্ত দিনের শুভেচ্ছা !!
আজ সারাদিন বসন্তে, প্রেমে, গানে – চোখে সরষের ফুল দেখতে থাকুন।
আপনার এই বসন্ত দিন সহ পুরো বসন্তকালকে উপভোগ করার জন্য একটা সঙ্গীতের তালিকা করার চেষ্টা শুরু করলাম।
যারা শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ভক্ত, তারা শুরুতেই ঘুরে আসতে পারেন বসন্ত রাগের নোট এ।

বসন্ত ঋতুসংগীত
নজরুলের গানে বসন্ত:
১. এলো ওই বনান্তে পাগল বসন্ত (নজরুল সঙ্গীত)
৩. আসে বসন্ত ফুল বনে:
– ফিরোজা বেগম:

রবীন্দ্রনাথের গানে বসন্ত:

আধুনিক বাংলা গানে বসন্ত:
২. মধু বসন্ত আজি এলো ফিরিয়া (দীপালী নাগ)
ভারতের বাংলা ছায়াছবিতে বসন্ত:
১. বসন্ত এসে গ্যাছে [চতুষ্কোণ]
বাংলাদেশি ছায়াছবির গানে বসন্ত:
১. এলো বসন্ত [হারানো প্রেম]
