[ADINSERTER AMP] [ADINSERTER AMP]

ইলেকট্রিক বাল্ব তৈরির উদ্যোক্তা । পেশা পরিচিতি । পেশা পরামর্শ সভা

ইলেকট্রিক বাল্ব তৈরির উদ্যোক্তা । পেশা পরিচিতি । পেশা পরামর্শ সভা : বিদ্যুতের ব্যবহার দিনকে দিন বেড়েই চলছে। বর্তমানে শহর ছাড়াও গ্রামাঞ্চলের সর্বত্রই বিদ্যুৎ ব্যবহৃত হচ্ছে। এসব কারণে বাজারে বৈদ্যুতিক বাতি বা ইলেকট্রিক বাল্বের চাহিদাও বৃদ্ধি পেয়েছে। ইলেকট্রিক বাল্ব তৈরি এবং বিক্রি মোটামুটি একটি লাভজনক ব্যবসা। বিস্তারিত জানাচ্ছেন- শামস্ বিশ্বাস

ইলেকট্রিক বাল্ব তৈরির উদ্যোক্তা হবার যোগ্যতা :

ইলেকট্রিক বাল্ব তৈরির জন্য দক্ষ শ্রমিক নিয়োগ দিতে হবে। ব্যবসা শুরুর আগে এ বিষয়ে যথেষ্ট ধারণা অর্জন করতে হবে।

ইলেকট্রিক বাল্ব তৈরির উদ্যোক্তা । পেশা পরিচিতি । পেশা পরামর্শ সভা
ইলেকট্রিক বাল্ব তৈরির উদ্যোক্তা । পেশা পরিচিতি । পেশা পরামর্শ সভা

বাল্ব তৈরির কারখানার জন্য স্থান নির্বাচন :

ইলেকট্রিক বাল্ব উৎপাদনের জন্য কারখানা স্থাপন করতে হবে। যেখানে সড়ক বা নদীপথে মোটামুটি ভালো যোগাযোগব্যবস্থা আছে সে রকম জায়গায় কারখানা স্থাপন করতে হবে। এ ছাড়া এ প্রকল্পের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবস্থা আছে এবং সহজে কাঁচামাল পাওয়া যাবে সে রকম এলাকায় কারখানা স্থাপন করতে হবে। উন্নত যোগাযোগব্যবস্থা থাকলে পণ্য পরিবহন ও বিপণন সহজ হবে।

বাল্ব তৈরির কারখানার মূলধন :

ইলেকট্রিক বাল্ব উৎপাদনের ব্যবসার জন্য ৮০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকার মূলধনের প্রয়োজন হয়। তাই ৮-১০ জন উদ্যোক্তা একসঙ্গে মিলে ইলেকট্রিক বাল্ব উৎপাদনের প্রকল্প শুরু করা যেতে পারে। যদি ব্যক্তিগত পুঁজি না থাকে, তাহলে মূলধন সংগ্রহের জন্য নিকটাত্মীয় স্বজন, ব্যাংক বা বেসরকারি ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করা যেতে পারে। এসব সরকারি, বেসরকারি ব্যাংক ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান (এনজিও) শর্তসাপেক্ষে ঋণ দিয়ে থাকে।

বাল্ব প্রস্তুতপ্রণালী :

ইলেকট্রিক বাল্ব অনেকটাই মেশিন নির্ভর প্রতিষ্ঠান। প্রথমে কাচের বাল্বের কাঠামোয় টাংস্টেন ফিলামেন্ট বসিয়ে তাতে বায়ুশূন্য অবস্থায় আর্গন ও নিয়ন গ্যাস ভরে বাল্বের নিচের অংশে স্ক্রুযুক্ত ক্যাপ আটকে দিতে হয়। এর পর প্যাকেজিং মেশিনের মাধ্যমে প্যাকেট করে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়।

বাল্ব বাজারজাতকরণ :

বিদ্যুৎসংযোগ আছে, এমন বাড়ি বা প্রতিষ্ঠানের মানুষই এর ভোক্তা। গ্রাম অথবা শহরের পাইকারি দোকানদারদের কাছে বাল্ব বিক্রি করা যায়। খুচরা বিক্রি তেমন একটা হয় না। বিক্রির আগে বাজারের অন্যান্য পাইকারের কাছে দাম যাচাই করে নিতে হবে। বেশিরভাগ ব্যবসায়ী নিজেদের পণ্য নিজেরাই বিক্রি করেন। নিজস্ব বিপণন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারলে বিভিন্ন লাইটের দোকান, স্টেশনারি কিংবা মুদি দোকানে বাল্ব সরবরাহ করা যায়। এতে লাভের পরিমাণটা পাইকারি বিক্রির থেকে বেশি হবে।

বাল্ব তৈরির কারখানায় আয় :

ভালোভাবে ইলেকট্রিক বাল্ব উৎপাদন ও বিপণন করতে পারলে মাসে ৫০ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা আয় করা সম্ভব।

আরও পড়ুন: