কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলার শোমসপুর ইউনিয়নে অবস্থিত আবুতালেব ডিগ্রী কলেজ এলাকাটির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই কলেজটি স্থানীয় শিক্ষার্থীদের উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার জন্য উন্মুক্ত সুযোগ হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। গ্রামীণ পটভূমিতে প্রতিষ্ঠিত হলেও কলেজটি নিজস্ব উদ্যোগ, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্তরিকতা এবং সমাজের সহযোগিতার মাধ্যমে একে একে নিজেদের অবস্থান শক্ত করেছে। শিক্ষার্থীদের মানসম্পন্ন পাঠদান ছাড়াও সহশিক্ষা কার্যক্রম, পেশা পরামর্শ সভা, ক্যারিয়ার গাইডেন্স, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচির মাধ্যমে কলেজটি একটি আধুনিক শিক্ষাকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
কলেজটি বিশেষভাবে স্থানীয় তরুণ-তরুণীদের মধ্যে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিয়ে তাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখছে। পল্লি অঞ্চলের মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের জন্য এটি এক বড় আশ্রয়স্থল, যেখানে তারা শিক্ষার পাশাপাশি আত্মনির্ভরশীল হওয়ার প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা ও সহায়তাও পেয়ে থাকে। সময়োপযোগী শিক্ষা ব্যবস্থা, দায়িত্বশীল পরিচালনা পর্ষদ এবং নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষকমণ্ডলীর মিলিত প্রচেষ্টায় আবুতালেব ডিগ্রী কলেজ এখন শুধুই একটি কলেজ নয়, বরং শোমসপুর ইউনিয়নের শিক্ষার প্রাণকেন্দ্র।
আবুতালেব ডিগ্রী কলেজ বিভিন্ন করর্যক্রম:
পেশা পরামর্শ সভা
খোকসা, কুষ্টিয়া | শনিবার: কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার শোমসপুর ইউনিয়নের আবুতালেব ডিগ্রি কলেজ প্রাঙ্গণে আজ এক সময়োপযোগী “পেশা পরামর্শ সভা” অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কুষ্টিয়া জেলা শাখার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সুফি ফারুক ইবনে আবুবকর।
এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য ছিল তরুণ ও যুব প্রজন্মকে পেশাজীবী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সময়োপযোগী দিক নির্দেশনা প্রদান করা। দিনব্যাপী আয়োজিত এ কর্মসূচিতে অংশ নেন বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, সদ্য লেখাপড়া শেষ করা বেকার তরুণ, এবং আগ্রহী যুব সমাজ।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সুফি ফারুক ইবনে আবুবকর। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ‘কুষ্টিয়া গুরুকুল’-এর লিগ্যাল ও অ্যাডমিন বিভাগীয় কর্মকর্তা শামীম রানা, উন্নয়ন প্রশিক্ষক তানভির আহমেদ, খাইরুল ইসলামসহ আরও অনেকে।
সভায় আলোচিত মূল বিষয়বস্তু:
সুফি ফারুক ইবনে আবুবকর তাঁর বক্তব্যে বলেন,
“সফল ক্যারিয়ার গঠনের জন্য আমাদের তরুণদের শুধু পুঁথিগত বিদ্যা নয়, বাস্তব অভিজ্ঞতা ও পেশাগত সক্ষমতা অর্জন করাও জরুরি। অনেকেই নিজের আগ্রহ ও সামর্থ্য সম্পর্কে সচেতন নয়। ফলে অন্যের ইচ্ছায় বা সামাজিক চাপেই পেশা নির্বাচন করে, যা ভবিষ্যতে অনুপ্রেরণা তৈরি করে না। নিজের ভিতর থেকেই সেই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে শিখতে হবে।”
তিনি আরও বলেন,
“শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গড়ে উঠা ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির যে পথচলা, তাতে আমাদের তরুণদের প্রযুক্তি ও দক্ষতা ভিত্তিক চিন্তায় নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। আর সে কারণেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”
সভায় আরও জানানো হয়, কেবল বক্তৃতা নয়, ভবিষ্যৎ পেশা নির্বাচন, সিভি তৈরি, ইন্টারভিউ প্র্যাকটিস, আত্মবিশ্বাস ও কমিউনিকেশন স্কিল বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর পেশাদার প্রশিক্ষকরা হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেবেন। থাকবে ‘স্কিল অ্যাসেসমেন্ট’ সেশনও।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও আহ্বান:
এই কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নের জন্য কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের পক্ষ থেকে জেলার সকল ভাতৃপ্রতিম সংগঠন ও ছাত্র-যুব নেতাকর্মীদের নিজ নিজ এলাকার শিক্ষার্থীদের নিবন্ধনে সহযোগিতার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।
আজকের প্রতিযোগিতামূলক যুগে তরুণদের সঠিক পথনির্দেশ ও বাস্তবমুখী পেশাগত দক্ষতা অর্জনের সুযোগ করে দেওয়াই এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য। ‘পেশা পরামর্শ সভা’ নিঃসন্দেহে তরুণ প্রজন্মের জন্য একটি যুগোপযোগী এবং আশাব্যঞ্জক পদক্ষেপ, যা ভবিষ্যতের সফল ও আত্মনির্ভর জাতি গঠনে ভূমিকা রাখবে।

