কুমারখালী সরকারি পাইলট বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় বাংলাদেশের প্রথম বালিকা বিদ্যালয়। এটি কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী পৌরসভায় অবস্থিত। কৃষ্ণধন মজুমদার ১৮৬৩ সালে প্রায় ১৫ শতাংশ জমির ওপর বিদ্যালয়টি গড়েছিলেন। শুরুতে এই বিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিল ৮ জন। হরিনাথ মজুমদার এই বিদ্যালয়ের প্রথম শিক্ষক ছিলেন। ১৮৮০ সালের অক্টোবর মাসে বিদ্যালয়টি মাসিক ১২ টাকা সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত হয়। ১৯২৮ সালে বিদ্যালয়টিতে ছাত্রীসংখ্যা বেড়ে হয় ৮০। বাংলাদেশের এই প্রথম বালিকা বিদ্যালয়টি ২০১৭ সালে জাতীয়করণ হয়।

কুমারখালী সরকারি পাইলট বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়
বর্তমানে বিদ্যালয়ে সাধারণ শাখায় বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগে প্রায় ১ হাজার ৪০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। কৃষিবিজ্ঞান, গার্হস্থ্য অর্থনীতি ও কম্পিউটার বিষয়ে পাঠদানের অনুমতি রয়েছে। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে কারিগরি শিক্ষার তিনটি ট্রেড চালু আছে। বিদ্যালয়ের আধুনিক বিজ্ঞানাগার রয়েছে, রয়েছে শেখ রাসেল ডিজিটাল কম্পিউটার ও ভাষা ল্যাব। ভোকেশনাল শাখায় তিনটি বিভাগের পৃথক তিনটি পরীক্ষাগার রয়েছে।
প্রতিবছর এসএসসি ফলাফল পাসের হার ৯০%-এর বেশি। জেএসসি ফলাফলও একই রকম। উভয় পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি। জেলার মধ্যে ফলাফলে পঞ্চম থেকে ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পুনর্মিলনের আয়োজনও করে থাকে।
আরও দেখুন: