‘টেকনোলজি একুইজিশন স্কিল [ Technology Acquisition Skills ]’ স্থানীয় সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রির চ্যালেঞ্জ : আমাদের দেশি মার্কেটে আইটি সলিউশন (বিশেষ করে সফটওয়্যার) বিক্রির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো কাস্টমারের ‘টেকনোলজি একুইজিশন স্কিল’। টেকনোলজি একুইজিশনের জন্য এক ধরনের দক্ষতা লাগে, লেখাপড়া লাগে। সেই বিষয়টা ক্রেতা পক্ষকে বোঝানে একটা বিরাট চ্যালেঞ্জ। আর সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রথম ঝুঁকি হলো কাস্টামারের বিরাট ইগো।
ক্রেতাকে বলা মুশকিল- কেনাকাটা কিভাবে করতে হয় সেটা আগে শিখে আসেন। তার উপরে যার হাতে টাকা, তিনি সাধারণভাবেই একটু বেশি বোঝেন (আমিও যখন টেবিলের ওই দিকে বসতাম, মানে ক্রেতা ছিলাম, তখন হয়ত কাছাকাছি দোষে দুষ্ট ছিলাম)। ফলাফল দেখা যায় রিকোয়ারমেন্ট ঠিকমতো তৈরি হয় না, বারবার অকারণ পরিবর্তন হয়, বিক্রেতা সেটা যৌক্তিক কারণে না মানতে চাইলে অকারণে সম্পর্ক নষ্ট হয়, প্রজেক্ট উভয় পক্ষের আশানুরূপ ভাবে শেষ হয় না, সলিউশনের চেয়ে ইন্টারফেস নিয়ে অবসেসড থাকার কারণে মূল কাজটা ব্যবহৃত হয়, এসব কারণে অনেক যোগ্য বিক্রেতা কাজটাও পায় না।
না শিখে কেনাকাটায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় আমাদের মতো উদ্যোক্তারা। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন কিন্তু ক্রেতা বা ক্রেতার পিছনের বিনিয়োগকারী। আইটি সলিউশন এমন জিনিস নয় যে এক কাজে না লাগলে অন্য কাজে লাগানো যাবে। তাই এই কাজটা দক্ষতার সাথে করতে না পারলে পুরোটাই অপচয়। তাই যারা কেনাকাটা করছেন তারা দয়া করে ‘টেকনোলজি একুইজিশন স্কিল’ টা নিতে মাস খানেক সময় ব্যয় করুন। প্রয়োজন হলে কোর্স-ফোর্স করে কিছু অর্থ ব্যয় করুন। আখেরে বিরাট লসের হাত থেকে বাঁচবে। তাই নীতি নির্ধারণ পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধি ও সাধারণের মধ্যে টেকনোলজি একুইজিশন স্কিল ব্যবহারের মাত্রা বাড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। তাই সরকারের নীতি নির্ধারকদের অনুরোধ করব, আপনাদের যেসব কর্মকর্তা কেনাকাটার কাজে সিদ্ধান্ত নেবার প্রসেসের সাথে জড়িত, তাদেরকেও এই স্কিলটা তৈরি করে দিন। দেশের টাকা অপচয়ের হাত থেকে বাঁচবে।
ব্যর্থতার গল্প শুনে শেখার জন্য আমাদের সামনে আমেরিকার কেনাকাটার আশি-নব্বইয়ের দশকের প্রচুর ব্যর্থতার গল্প আছে। আসুন নিজে এক্সপেরিয়েন্স করে শেখার বদলে সেগুলো পড়ে-শুনে শিখি। সব কিছু নিজে এক্সপেরিয়েন্স করে শেখা ভালো না। বারবার চাকা আবিষ্কারের কোন মানে হয় না।
[ ‘টেকনোলজি একুইজিশন স্কিল [ Technology Acquisition Skills ]’ স্থানীয় সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রির চ্যালেঞ্জ ]
আরও পড়ুন: