সঙ্গীতের রস (Rasa/Aesthetics) বা ভাব নিয়ে একটু আলাপ করা যাক।

আমাদের অন্তরে যে ভাব বা রস তৈরি হয় তাকে নবরস বা নয় রসে বড় দাগে ভাগ করা হয়েছে। রাগশাস্ত্র মতে এই নয়টি রস হল:
১। হাস্য রস (Hasya Rasa, comic)
২। শৃঙ্গার রস (Shringara Rasa, love)
৩। করূণ রস (Karuna Rasa, melancholia)
৪। রুদ্র রস (Raudra Rasa, fury)
৫। বীর রস (Vira Rasa, heroism)
৬। ভয়ানক রস (Bhayanak Rasa, terror)
৭। বীভৎস রস (Bhibatsa Rasa, disgust)
৮। অদ্ভুত রস (Adbhuta Rasa, amazement)
৯। শান্ত রস (Shanta Rasa, tranquility)
প্রাচীন শাস্ত্রে বর্ণিত আছে, মানুষের মধ্যে নয়টি মৌলিক রস (emotion) বিদ্যমান। তবে বিভিন্ন সময়ে এসব রস মিলে আবার তৈরি হয় নতুন রস। যেমন আমরা তিনটি রং RGB, বা ৪ টি রং CMYK থেকে বাকি বহু রং তৈরি করতে পারি।

এই ৯টি রস সঙ্গীতের সৌন্দর্যবীক্ষণ (aesthetics) এর মূল ভিত্তি। আর এটা কোন রাগের বিষয় নয় যে, এই রস পরিবহন করার জন্য একটি শাব্দিক (acoustic) বাহন দরকার, যার নাম রাগ (rag)। এই রাগগুলি মাঝে মাঝে মানুষের মত রূপ ধারণ করে, তখন এদের নাম হয় গান্ধর্ব্য (demigod) ও অপ্সরা (celestial nymph)। ৯ এর ছড়াছড়ি গ্রিক পুরাণেও আছে। সেখানকার ছন্দ কলার দেবী (Muse, অপ্সরা আর কি) নয় বোনের কথা মনে করুন:
১। Calliope: মহাকাব্য
২। Clio: ইতিহাস
৩। Erato: ভালোবাসা
৪। Euterpe: সঙ্গীত
৫। Melpomene: বিরহগাঁথা
৬। Polyhymnia: পবিত্রগাঁথা
৭। Terpsichore: নৃত্য
৮।Thalia: হাস্যরস
৯। Urania: জোতির্বিদ্যা
প্রতিজন মানুষের মনে প্রতিটি রসের রং কাছাকাছি হলেও ভিন্নতর। একই সঙ্গীতে, দুজন মানুষের মধ্যে, সেই রং এর প্রকৃত রূপ গড়ে, ওই দুজনের শিক্ষা, অভিজ্ঞতা ও চর্চার উপরে ভিত্তি করে।

সিরিজের বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল সূচি:
