আড়পাড়া গ্রামটি কুষ্টিয়া জেলার, কুমারখালী উপজেলার, শিলাইদহ ইউনিয়নের একটি গ্রাম।

শিলাইদহ ইউনিয়নের আড়পাড়া গ্রামে পেশা পরামর্শ সভা অনুষ্টিত:
কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের আড়পাড়া গ্রামে ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘পেশা পরামর্শ সভা’। পেশা পরামর্শ সভা মূলত তরুণ প্রজন্মের ক্যারিয়ার কোচিং। এটি কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক তথ্য প্রযুক্তিবিদ সুফি ফারুকের একটি উদ্যোগ।

এই প্রকল্পের আওতায় কুমারখালী-খোকসার তরুদের ডিজিটাল বাংলাদেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর পেশাগুলোর উপযুক্ত হয়ে তৈরি হাবার জন্য সচেতনতা ও দিকনির্দেশনা দেয়া হয়। পাশাপাশি তাদেরকে এসব সভায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্মিত ডিজিটাল বাংলাদেশ ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য পুত্র ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব জয়ের ভবিষ্যৎ জ্ঞান ভিত্তিক অর্থনীতির বাংলাদেশের অবারিত পেশাজীবীদের সম্ভাবনাগুলো তুলে ধরা হয়। এছাড়া সেসব পেশা গ্রহণ করার উপযোগী হয়ে তৈরি হবার জন্য প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেয়া হয়।

বিভিন্ন খাতের সফল পেশাজীবী ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষকদের দিয়ে পরিচালিত হয় এসব কর্মশালা। সকল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্যই মূলত এই আয়োজন। পাশাপাশি যারা বর্তমানে লেখাপড়া শেষ করে কর্মহীন রয়েছেন তারাও অংশগ্রহণ করে এসব কর্মশালাতে।
পেশা বাছাই, নিজেকে পেশাজীবী হিসেবে গড়ে তোলা, সিভি বানানো, ইন্টার্ভিউ দেয়াসহ সফল হবার জন্য দরকারি বিভিন্ন বিষয়ে হাতে কলমে পেশাদারি প্রশিক্ষক গনের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। স্কিল এসেসমেন্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অধিকতর প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তা অনুধাবিত হলে তাদের জন্য সে ধরনের প্রশিক্ষণের আয়োজন বা অন্য কোন যায়গা থেকে প্রশিক্ষণ নেবার জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা করে দেয়া হয়।
এই পুরো বিষয়টি শিক্ষার্থীদের জন্য সম্পূর্ণ ফ্রি। অর্থাৎ সুফি ফারুক এর পক্ষ থেকে উপহার।

সুফি ফারুক ঘোষণা করেছেন ‘কুমারখালী-খোকসায় একটি শিক্ষিত, দক্ষ, কর্মক্ষম ও রুচিশীল প্রজন্ম তৈরিই আমার- জয় বাংলা’। তার সেই স্বপ্ন পূরণের ধারাবাহিকতায় নেয়া সকল প্রকল্পের মধ্যে এটি অন্যতম।
‘পেশা পরামর্শ সভা’ বিষয়ে বাংলাদেশের খবরের পক্ষ থেকে সুফি ফারুকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ ও সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরিকল্পিত জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতিতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার উপযোগী করে আমাদের ছেলেমেয়েদের তৈরি করতেই এই উদ্যোগ। অামাদের বেকার তারুণ্য সঠিক দিক নির্দেশনা পেলে ভালো কিছু করতে পারে তার নজির বহুবার প্রমাণ হয়েছে। আমরা তাই এই শিক্ষিত তরুণ সমাজ কে দক্ষ জনশক্তি ও দেশের মূল্যবান সম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে একের পর এক ‘পেশা ও পরামর্শ সভা’ করে চলেছি।

আড়পাড়া গ্রামে পেশা পরামর্শ সভার দর্জি প্রশিক্ষণ সমাপনী:
আড়পাড়া গ্রামে পেশা পরামর্শ সভার দর্জি প্রশিক্ষণ সমাপনী : নারীকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলতে কুষ্টিয়ার ৪ আসনের কুমারখালীতে সুফি ফারুকের পেশা পরামর্শ সভার আওতায় চলছে সেলাই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম। উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়নের আড়পাড়াগ্রামে সেলাই প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের সমাপনী অধিবেশনে সুফি ফারুক বলেন, নারী ক্ষমতায়নে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়া জরুরি। আর সে কারণেই তাদের জন্য এই সেলাই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমার মিশন কুমারখালী-খোকসায় একটি শিক্ষিত, দক্ষ, কর্মঠ ও রুচিশীল প্রজন্ম তৈরি করা। সেই প্রজন্ম তৈরির প্রাথমিক শর্ত মা বোনদের শিক্ষিত, সক্ষম ও স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলা। আর সে কারণেই তাদের জন্য আমাদের এই সেলাই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম।

পেশা পরামর্শ সভার উদ্যোক্তা তথ্য প্রযুক্তিবিদ সুফি ফারুক জানান, শেখ হাসিনার আদর্শে প্রাণিত হয়ে আমরা পেশা পরামর্শ সভার আওতায় মা-বোনদের স্বাবলম্বী করার লক্ষ্য নিয়ে সম্পূর্ণ ফ্রি সেলাই প্রশিক্ষণ প্রদান করেছি। ভর্তি থেকে শুরু করে প্রশিক্ষণ শেষ করা পর্যন্ত এই বিষয়ে তাদের একটি পয়সাও ব্যয় করতে হয় না। এই প্রশিক্ষণটি তাদের কাছে আমার নেত্রীর পক্ষ থেকে উপহার। এই প্রশিক্ষণ পর্বে প্রশিক্ষণার্থীরা নিত্য প্রয়োজনীয় পোশাকের নূন্যতম ২০ টি আইটেম ও সর্বোচ্চ ৩২ টি আইটেম বানানো শিখেছে। মাপ নেয়া, কাটিং থেকে শুরু করে সেলাই কাজের বিস্তারিত তারা শিখছে। এই কাজগুলো শেখার জন্য এক মাস থেকে ৩ মাস পর্যন্ত প্রতিজন শিক্ষার্থীকে নিয়মিত প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। প্রথম ধাপের প্রশিক্ষণ সফল ভাবে শেষ করার পর তারা শুধুমাত্র বাড়ির প্রয়োজনই নয়, নিজের অর্থসংস্থানের উপায় হিসেবে এই দক্ষতা আজীবন কাজে লাগাতে পারবে।
আমাদের অন্যান্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে দেখা গেছে, নারীদের অনেকেই ইতোমধ্যে নিজের সেলাই মেশিন কিনে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কাজ শুরু করে দিয়েছেন। অন্যদিকে অর্থের অভাবে যারা সেলাই মেশিন কিনতে অক্ষম, তাদের প্রতি ৫০ জনের জন্য একটি করে ‘শেখ হাসিনা কমিউনিটি সেলাই কেন্দ্র’ তৈরির প্রকল্প গ্রহণ করা হয়, যেগুলোর ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন হচ্ছে। এসব কেন্দ্র কমিউনিটি ভিত্তিতে পরিচালনা হচ্ছে। সেই সেলাই থেকে উপার্জনের সম্পূর্ণ অর্থ তারা নিয়ে যাবে। আর এর মাধ্যমে তাদের সঞ্চয় থেকে একসময় সেলাই মেশিন কিনে নিজেই স্বাবলম্বী হবে।
এসব প্রশিক্ষণার্থীদের মূলধারার অর্থনীতিতে সম্পৃক্ত করতে উদ্যোক্তা প্রতি গ্রুপের একটি সমবায় তৈরির বিষয়ে উৎসাহিত করছেন। এসব সমিতি ও বাইরের বাণিজ্যিক উদ্যোক্তাদের সম্পর্ক তৈরিতে কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে। উদ্যোক্তা জানান, তাদের উত্তরোত্তর দক্ষতা ও আর্থিক সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বিবিধ কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।

পেশা পরামর্শ সভা কুমারখালী উপজেলার সমন্বয়কারী আব্দুল সালাম বলেন, নেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে সুফি ফারুক ভাই কুষ্টিয়ার ৪ আসনের কুমারখালীতে সুফি ফারুকের পেশা পরামর্শ সভার আওতায় মা-বোনদের স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে সম্পূর্ণ ফ্রি সেলাই প্রশিক্ষণ প্রদান করছেন। যাতে করে গ্রামের মা-বোনেরা স্বাবলম্বী হতে পারে। সুফি ফারুকের পেশা পরামর্শ সভার আওতায় এ পর্যন্ত বশ কয়েকটি টিমের প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে। প্রশিক্ষণের পরে যাদের নিজস্ব সেলাই মেশিন কেনার মতো সামর্থ্য নেই তাদের জন্য সুফি ফারুক ভাই ‘শেখ হাসিনা কমিউনিটি সেলাই কেন্দ্র’ তৈরির প্রকল্প গ্রহণ করেছে। যেখানে কাজ করে প্রশিক্ষণ গ্রহণকারীরা নিজস্ব সেলাই মেশিন কিনতে পারে।
সেলাই প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের প্রশিক্ষক শিল্পী আপা বলেন, এরই মধ্যে আমরা বেশ কয়েকটি টিমের প্রশিক্ষণ শেষ করেছি। প্রশিক্ষণ গ্রহণকারীরা এক থেকে ৩ মাসের মধ্যে মাপ নেয়া, কাটিং থেকে শুরু করে সেলাই কাজের বিস্তারিতসহ নূন্যতম ২০ টি আইটেম ও সর্বোচ্চ ৩২ টি আইটেম বানানো শিখেছে। সুফি ফারুক ভাইয়ের পেশা পরামর্শ সভার আওতায় ফ্রি সেলাই প্রশিক্ষণ এলাকার মা-বোনদের স্বাবলম্বী করে তুলতে সাহায্য করবে।

আড়পাড়া গ্রামে পেশা পরামর্শ সভার দর্জি প্রশিক্ষণ সমাপনী অনুষ্ঠানের বিস্তারিত ছবি:











কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের আড়পাড়া গ্রামে শেখ হাসিনা কমিউনিটি সেলাই কেন্দ্র’র কার্যক্রম শুরু:
কুমারখালী–খোকসার নারীকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলতে সুফি ফারুক-এর উদ্যোগে শিলাইদহ ইউনিয়ন-এর আড়পাড়া গ্রামে শুরু হয়েছে শেখ হাসিনা কমিউনিটি সেলাই কেন্দ্র’র কার্যক্রম।
সুফি ফারুক-এর পেশা পরামর্শ সভার আওতায়, দীর্ঘ ৩ মাসের ফ্রি দর্জি প্রশিক্ষণ শেষে, দরিদ্র মা-বোনদের মধ্যে যাদের নিজেদের মেশিন কিনে নেবার সামর্থ্য নেই তাদের জন্য তৈরি করা হয় ‘শেখ হাসিনা কমিউনিটি সেলাই কেন্দ্র’। একটি নির্দিষ্ট জায়গা ঠিক করে, সুফি ফারুক-এর পক্ষ থেকে প্রয়োজন অনুযায়ী সেলাই মেশিন স্থাপন করা হয়। শর্ত থাকে উক্ত মেশিন সবাই মিলে ব্যবহার করবেন। কেউ নিজে মেশিন তার বাড়িতে নিয়ে যেতে পারবেন না। কাজ করে পরিমাণ মত পুঁজি সঞ্চয় করার পরে, তারা তাদের নিজেদের সেলাই মেশিন কিনে নেবেন।
ইতিমধ্যে বিভিন্ন সেলাই কেন্দ্র থেকে কাজ করে, আয় করে, নিজেদের পুঁজি তৈরি করে, নিজেদের সেলাই মেশিন কিনে স্বাবলম্বী হয়েছেন অনেকেই।
বিগত ১৮ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের আড়পাড়া গ্রামে শেখ হাসিনা কমিউনিটি সেলাই কেন্দ্র’র কার্যক্রম শুরু করা হয়। সেলাই মেশিন স্থাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এই প্রকল্প সমন্বয়কারী আশরাফুননাহার শিল্পী, উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুভাষ দত্ত, কুমারাখালী গুরুকুলের সমন্বয়কারী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শিলাইদহ মহিলা কলেজের প্রভাষক আব্দুস সালাম।
আরও পড়ুন:
