আমার এক দিদা মজা করে বলতেন:- যার রান্না খাইনি সে বড় রাঁধুনি, যার চেহারা দেখিনি সে বড় সুন্দরী, বড়শি থেকে ছুটে যাওয়া মাছটা সবচেয়ে বড়।
অনেকদিন পর এই কথাটা মনে পড়ে গেল মোহাম্মদ জুনায়েদ আব্দুর রহিম সাকি সংক্ষেপে জোনায়েদ সাকি’র ভোট বর্জনের ঘোষণা শুনে।
‘তিনি অনেক বড় নেতা, কিন্তু ভোট পান না’ এই ট্যাগ কাটাতেই কি ‘টকশোর তারকা’, মিডিয়া কর্মীদের নয়নের মনি, তরুণ প্রজন্মের আশার প্রদীপ, বিশিষ্ট কমিউনিস্ট নেতা সাকি সাহেবের সরে যাওয়ার নাটক?
কনটেস্ট করা বেশি ইম্পরট্যান্ট নাকি নিশ্চিত জিত? পরাজয় মেনে নিয়ে কর্মীদের পাশে থাকা ইম্পরট্যান্ট, নাকি নিজের গা বাঁচাতে বাঁকা পথ নেয়া?
জনগণের জন্যই যদি আপনার রাজনীতি হয়ে থাকে, তা হলে ভোট না পাওয়াটা স্বীকার করতে সমস্যা কোথায়? নেতার কর্মীদের কাছে ফিরে গিয়ে নতুন করে শুরু করতে সমস্যা কোথায়? নতুন মেয়রকে অভিনন্দন জানানোতে সমস্যা কোথায়?
আপনাকে নতুন এপলিটিক্যাল প্রজন্মের অনেকেই ভোট দিয়েছে। তারা আপনাকে এরকম পালোয়ান (শুরুতেই যিনি পালিয়ে যান) আশা করে না। বরং তারা আশা করে আপনি নতুন মেয়রকে অভিনন্দন জানিয়ে নিজেকে স্বতন্ত্র প্রমাণ করবেন।
সাকি সাহেব, বাস্তবতা মেনে নিতে শিখুন। নিজের ইমেজ বাঁচাতে গিয়ে অপশক্তিকে শক্তিশালী করবেন না। একবার বিভ্রান্ত হবার পীড়নে ভোগা সমর্থকদের আবারও নাকে খত দেয়াবেন না।
