ইনবক্স মেসেজ – আমাদের ও কি পরিণতি হবে মুক্তিযোদ্ধা আইয়ুব খানের মত?
আমাকে একজন লিখেছেন :
সুফি ভাই,
আপনি অনলাইনে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কথা বলেন, আওয়ামী লিগের পক্ষ কথা বলেন।
তাহলে বলবেন কি-
কি ভাবে মুক্তিযোদ্ধা আইয়ুব খানের আত্মহত্যার দু’দিন পরও মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অভিযুক্ত সচিব এম এ হান্নান অফিস করে?
কেন তাকে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কোনও উদ্যোগ নেই?
কেন তদন্তের গতি দেখে মনে হচ্ছে দীর্ঘসূত্রিতায় ফেলার চেষ্টা হচ্ছে?
এখন তো মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের দল ক্ষমতায় রয়েছে, তাহলে কি ভাবে মতিউর রহমান নিজামীর সাবেক পিএস মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব হয় কিভাবে?
[ আমাদের ও কি পরিণতি হবে মুক্তিযোদ্ধা আইয়ুব খানের মত? ]
নিজ মতের লোকদের যে পিএস করা হয় এটা বোঝার জন্য নিশ্চয় রকেট সাইন্স বোঝার দরকার হয় না।
যতটুকু তথ্য পেলাম সচিব এম এ হান্নানের বাড়ি মুন্সিগঞ্জে। ছোট ভাই গোলাম রসুল জিন্না ডিআইজি সমমর্যাদার পোষ্টে মিরপুর ১৪ নম্বর পুলিশ লাইনের প্রধান হিসাবে রয়েছে। ২০০৪ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা আক্রান্ত ড. হুমায়ুন আজাদকে সিএমএইচে দেখতে গেলে এই জিন্না সাহেব নেত্রীকে ক্যান্টনমেন্টের গেটে আটকে দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু-কন্যাকে ৭ কিলোমিটার পায়ে হেটে সিএম এইচ যেতে হয়েছিল। ঐ পরিবারের সকলে বিএনপি-জামাতের সাথে সংশ্লিষ্ট। দুই ভায়েরই একাধিক এপার্টমেন্ট আছে ঢাকার অভিজাত এলাকায়। ছেলে মেয়েরা অভিজাত স্কুলে পড়ে। দামী গাড়ি আছে উভয়েরই। ওদের বাবার তেমন কোন জমিদারি ছিল বলে জানা যায় না। তবে এত টাকা এলো কোথা থেকে? আর ক্ষমতার উৎসই বা কি?
সুফি ভাই, আজও আমরা যারা স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির সাথে লড়ে যাচ্ছি, আমাদের ও কি পরিণতি হবে মুক্তিযোদ্ধা আইয়ুব খানের মত?
—
ইন-বক্সে পাঠানো উপরের ম্যাসেজের উত্তর আমি দিতে পারেনি।
শুধু এটুকুই বলব- বঙ্গবন্ধু হত্যার পরে দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশের আদর্শ-বিরোধী যে শেকড় রোপণ করা হয়েছে, সেটা তুলতে আরও কিছুটা সময় তো লাগবে। আজও সমাজ-রাষ্ট্রের মাথায় অনেকে বসে আছে, যারা মুখে বাংলাদেশের বন্দনা করলেও মনে আছে “পাক সার জমিন…”। আবার তারা ফিরে যেতে চায় সেই সামন্ততান্ত্রিক পাকিস্তানি সমাজব্যবস্থায় যেখানে ধর্ম এবং বংশের নামে ইচ্ছামতো শোষণ নির্যাতন করা যাবে।
ভরসা এটুকুই যে আজ দেশ বঙ্গবন্ধুর কন্যার হাতে। পাকিস্তানি প্রেতাত্মাদের শেকড় উৎপাটনে তার আন্তরিকতার কমতি নেই বলে বিশ্বাস করি। বিভিন্ন শ্রেণীর চাপে কিছুটা দেরি হলেও, শেকড় একদিন উৎপাটিত হবেই। প্রতিষ্ঠিত হবেই সেই বাংলাদেশ, যার ওয়াদা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এবং তার অনুগামী স্বাধীনতার নেতৃত্বদানকারী নেতৃবৃন্দ “প্রকেইমেশন অব ইন্ডিপেন্ডেন্স” ও ৭২ এর সংবিধানে করে গেছেন।
আমি জানি না- আমার পরিণতি শ্রদ্ধেয় মুক্তিযোদ্ধা আইয়ুব খানের মতো হবে কি না। তবে হলেও ক্ষতি নেই। ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের মূল্য প্রতিষ্ঠায় যদি আমার-আপনার মতো চুনোপুঁটির অবদান থাকে, তবে সে মৃত্যু আকাঙ্ক্ষিত।
আরও দেখুন: